ইরাক ও সিরিয়ায় ‘প্রতিশোধমূলক হামলা’ শুরু করার খবর দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের ভাষায় জর্দানে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের ওপর সাম্প্রতিক রক্তক্ষয়ী হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এ হামলা চালানো হচ্ছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের কৌশলগত মিত্র হিসাবে আমেরিকা লোহিত সাগরে তেল আবিব সরকারের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থ বজায় রাখার জন্য ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে গার্ডিয়ান অফ ওয়েলফেয়ার নামে পরিচিত একটি সামুদ্রিক জোট গঠনের ঘোষণা দেয়। এ জোটকে ব্রিটেন ছাড়া ইউরোপের আর কোনো দেশ স্বাগত জানায়নি। এ কথিত জোট লোহিত সাগর এবং বাব আল-মান্দাব প্রণালীতে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার দাবির করে ইয়েমেনে বেশ কয়েকবার হামলা করেছে এবং এই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির বিভিন্ন পয়েন্টে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর সেনাদের গুপ্ত হামলায় লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর একজন গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার শহীদ হয়েছেন। আজ (সোমবার) ইসরাইলের যুদ্ধবিমান থেকে ওই কমান্ডারের গাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে তিনি শহীদ হন।
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির একজন সিনিয়র কমান্ডার বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলা প্রতিহত করার জন্য ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা একদিন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করবে। তিনি আরো বলেছেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর শক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের কমান্ড এবং কন্ট্রোল সিস্টেম সম্পূর্ণভাবে অক্ষত রয়েছে এবং তারা সেখান থেকেই ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করছে। খোদ ইহুদিবাদী ইসরাইলের গণমাধ্যম এই খবর দিয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সিরিয়ায় তার দেশের সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাজি মূসাভিকে হত্যা করার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলকে চড়া মূল্য দিতে হবে। তিনি গতরাতে (সোমবার রাতে) এক বার্তায় বলেন, আইআরজিসি’র সামরিক উপদেষ্টার হত্যাকাণ্ড অসভ্য ইসরাইল সরকারের বেপরোয়া আচরণের আরেকটি প্রমাণ।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের সাইয়্যেদা জয়নাব এলাকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি সন্ত্রাসী সেনাদের এক বিমান হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর একজন পদস্থ কর্মকর্তা শহীদ হয়েছেন। অভিজ্ঞ সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়্যেদ রাজি মুসাভি সিরিয়ায় সিনিয়র সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদার সামরিক বাহিনী অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান বন্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গেছে। তারা নতুন করে তৃতীয় ধাপের আগ্রাসন শুরু করবে এবং এর আওতায় বিমান হামলা অব্যাহত রাখবে। গত ৭ অক্টোবর থেকে ইহুদিবাদী ইসরাঈল গাজার ওপর বর্বর আগ্রাসন, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে আসছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত কয়েক ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় আরও ১৭৯ জন শহীদ হয়েছেন। এ নিয়ে গাজায় ইসরাইলের চলমান পাশবিক হামলায় শহীদের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৮৭ জনে পৌছালো।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ২৯৭ জন শহীদ হয়েছেন। এ নিয়ে গাজায় ইসরাইলের চলমান পাশবিক হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়ালো। আর আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ হাজার।