কথাবার্তা: ওসি প্রদীপসহ ৩ আসামিকে নিয়ে সেই ঘটনাস্থলে র‌্যাব, দেড় মিনিটের মধ্যেই গুলি!
(last modified Fri, 21 Aug 2020 11:18:58 GMT )
আগস্ট ২১, ২০২০ ১৭:১৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২১ আগস্ট শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • আজ ২১ আগস্ট: নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ভয়াল দিন-দৈনিক প্রথম আলো
  • গ্রেনেড হামলায় তখনকার ক্ষমতাসীনরা সরাসরি জড়িত ছিল-শেখ হাসিনা-দৈনিক যুগান্তর
  • শিপ্রার মালামাল র‍্যাবের কাছে হস্তান্ত করলো পুলিশ-ইত্তেফাক
  • সিনহা হত্যা : দুই মিনিটের মধ্যেই গুলির ঘটনা-মানবজমিন
  • পচাঁত্তরের খুনিদের মতো২১ আগস্টের খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করা হবে-ওবায়দুল কাদের-কালের কণ্ঠ
  • শ্রিংলার সফর দু-দেশের ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিফলিত করে-ভারত-দৈনিক সমকাল
  • করোনা ল্যাবে নমুনা পৌঁছানোর সঙ্গেই নেগেটিভ রিপোর্ট-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:    

  • ২৪ ঘন্টায় দেশে আক্রান্ত প্রায় ৭৯ হাজার -আনন্দবাজার পত্রিকা 
  • নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত! উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে চীন -সংবাদ প্রতিদিন
  • সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুনশান রাস্তা, বন্ধ দোকানপাট-আজকাল

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. বাংলাদেশকে আগে করোনার ভ্যাকসিন দেবে ভারত। এ খবর দিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা। কীভাবে দেখছেন খবরটিকে?

২. মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আমেরিকাকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নেবেন। পারবেন কী তিনি এই মিশন সফল করতে? কী মনে হয় আপনার?জনাব, সিরাজুল ইসলাম আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

আজ ভয়াল ২১ আগস্ট। এদিনে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল রাজধানী ঢাকায়। এ সম্পর্কে প্রায় সব দৈনিকে বিশেষভাবে খবর পরিবেশিত হয়েছে। এ সম্পর্কে প্রথম আলোর খবরে লেখা হয়েছে, ২০০৪ সালের নৃশংস গ্রেনেড হামলার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তখন সংসদে বিরোধী দল আওয়ামী লীগকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়া সংসদ নেতা হয়ে বলেছেন, শেখ হাসিনাকে কে মারবে। সে কথা স্মরণ করে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনিই তো মারবেন। চেষ্টা করেছেন, ব্যর্থ হয়েছেন।’

আজ শুক্রবার ২১ আগস্ট উপলক্ষে এক স্মরণসভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা দেশে এই রকম একটা ঘটনা ঘটে গেছে, আমি বিরোধী দলের নেতা, আমার ওপর এমন একটা গ্রেনেড হামলা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো একটি দল, যে দল দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, সেই দলের একটা সভায় এমন একটা গ্রেনেড হামলা, আর পার্লামেন্টে যিনি সংসদ নেতা, লিডার অব দ্য হাউস, প্রধানমন্ত্রী, সে দাঁড়িয়ে বলে দিল, “ওনাকে আবার কে মারবে।”’

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন তো বলতে হয় যে আপনিই মারবেন। চেষ্টা করেছেন, ব্যর্থ হয়েছেন, সেই জন্য আর পারছেন না। সেদিন এ রকম তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে কথা বলে আমাদের কোনো কথা বলতে দেয়নি এ হামলা সম্পর্কে। অথচ আমাদের নেতা-কর্মীরা, পার্লামেন্ট মেম্বাররা (তখন) আহত অবস্থায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।’

সিনহা হত্যাকাণ্ড:

সিনহা হত্যার স্পটে নিয়ে যাওয়া হলো ওসি প্রদীপসহ ৩ আসামিকে

ওসি প্রদীপসহ ৩ আসামিকে নিয়ে সেই ঘটনাস্থলে র‌্যাব-দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম। আর এ সম্পর্কে মানবজমিনের শিরোনাম- সিনহা হত্যা-দুই মিনিটের মধ্যেই গুলি। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনার বিবরণ জানতে ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে রিমান্ডে থাকা মূল ৩ আসামিকে নিয়ে মেরিন ড্রাইভ রোডের টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কাছে সিনহা হত্যার ঘটনা স্থলে যায় র‌্যাব। এসময় র‌্যাবের মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ৩১ জুলাই সিনহাকে হত্যার সময় কার কী ভূমিকা ছিল তা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলামও আসামিদের বক্তব্য অনুসারে ঘটনার রেকি করেন এবং সচিত্র বর্ণনা তুলে ধরেন।

সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ

রিমান্ডে থাকা টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিবরণ তুলে ধরেন। এই তিন আসামিকে গত ১৮ আগস্ট কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে ৭ দিনের রিমান্ডে র‌্যাবের হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া বক্তব্যের সঙ্গে আলামতগুলো মিলিয়ে দেখতে এ প্রক্রিয়া বলে দাবি করেছেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার।

তিনি বলেন, এমন কী ঘটনা ঘটল যে সিনহাকে এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে গুলি করা হলো। এই প্রশ্নের উত্তর জানতে প্রধান তিন আসামিকে ঘটনাস্থলে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোনো কথা ছাড়াই পরপর লিয়াকত কেন ১ মিনিটের মধ্যে ৪টি গুলি করল তা মেলাতে মূলত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল আরো বলেন, যেহেতু এটি একটি স্পর্শকাতর মামলা তাই তদন্তের স্বার্থে চাইলেও সব বলা সম্ভব না। সুতরাং বাকিটা পরে জানানো হবে বলে সাংবাদিকদের তিনি জানান।

বিশ্বের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৭৯৭,৬১২। মোট আক্রান্ত – ২২,৮৮৯,৩৮৯  এবং মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫,৫৩৭,৩৪৩। করোনায় বাংলাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৩৯ জন।

সময়রেখায় রোহিঙ্গা সংকট-দৈনিক মানবজমিন

Image Caption

মিয়ানমারে নৃশংস সেনা অভিযান থেকে বাঁচতে ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার তিন বছর পূর্ণ হলো চলতি মাসে। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল এই প্রাণে বাঁচার পলায়ন। তিন বছর ধরে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন শিবিরে বাস করছেন তারা। এর মাঝে বহুবার তাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হলেও দেখা যায়নি কোনো অগ্রগতি। চলমান এই সংকটের তিন বছরপূর্তি উপলক্ষে এর একটি সময়রেখা প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সময়রেখা তুলে ধরা হলো:

২৫শে আগস্ট, ২০১৭- মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৩০ পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা)।

২৬শে আগস্ট, ২০১৭- একদিকে, আরসা ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যকার লড়াই তীব্র হতে শুরু করে। অন্যদিকে, রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা।

২রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭- মিয়ানমার সরকার জানায়, রাখাইনের অধিকাংশ এলাকায় ২ হাজার ৬০০’র বেশি ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

১১ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭- মিয়ানমারের সামরিক অভিযানকে ‘জাতি নিধনের নিকৃষ্টতম উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করে।

১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭- মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেন।

কিন্তু জাতি নিধনের অভিযোগ এড়িয়ে যান।

১২ই অক্টোবর, ২০১৭- মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্কট মার্সিয়েলের সঙ্গে এক বৈঠকে মিয়ানমার সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং লেইন বলেন, রোহিঙ্গা মুসলিমরা মিয়ানমারের স্থানীয় নয়।

২রা নভেম্বর, ২০১৭- সেনা অভিযান শুরুর পর প্রথমবারের মতো রাখাইন পরিদর্শনে যান সুচি। জনগণকে ‘ঝগড়া না করতে’ আহ্বান জানান।

২৭শে নভেম্বর, ২০১৭- মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সফরে আসেন পোপ ফ্রান্সিস। বাংলাদেশে শরনার্থী শিবির পরিদর্শনের আগ পর্যন্ত ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি তিনি।

২১শে ডিসেম্বর, ২০১৭- রোহিঙ্গা নির্যাতনের জন্য দায়ী ১৩ ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী ও দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তির’ ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র।

১০ই জানুয়ারি, ২০১৮- মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানায়, তাদের সেনারা রাখাইনের ইন দিন গ্রামে ১০ মুসলিমকে হত্যা করেছে।

২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, সহিংসতার সময় জনশূন্য হয়ে পড়া ৫৫ গ্রাম বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমার।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

১২ই মার্চ, ২০১৮- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর ও মসজিদ ধ্বংস করে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করছে সামরিক বাহিনী।

১১ই এপ্রিল, ২০১৮- ইন দিন হত্যাযজ্ঞের শাস্তি- হিসেবে মিয়ানমারের সাত সেনাকে ১০ বছর কঠোর পরিশ্রমের শাস্তি- দেওয়া হয়।

১৩ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮- সুচি বলেন, তার সরকার রাখাইনের পরিস্থিতি আরো ভালো করে সামলাতে পারতো।

১৫ই নভেম্বর, ২০১৮- রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের একটি প্রচেষ্টা থেমে যায় ও শিবিরগুলোয় বিক্ষোভ দেখা যায়।

৪ঠা জানুয়ারি, ২০১৯- রাখাইনের জাতীয়তাবাদী আরাকান আর্মি মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে ১৩ পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। নতুন করে ফের সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে।

১৮ই মার্চ, ২০১৯- ২০১৭ সালের সামরিক নৃশংসতা তদন্ত করতে সামরিক আদালত গঠনের ঘোষণা দেয় মিয়ানমার।

২৭শে মে, ২০১৯- মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানায়, ইন দিন হত্যাযজ্ঞের দায়ে শাস্তি- দেওয়া সাত সেনাকে আগেভাগে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

২২শে জুন, ২০১৯- মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরাকাম আর্মি অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানায় এক অপারেটর।

২০শে আগস্ট, ২০১৯- জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানায়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টায় নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তবে কোনো শরণার্থী ফেরত যেতে না চাওয়ায় এবারও ব্যর্থ হয় প্রত্যাবাসন।

১১ই নভেম্বর, ২০১৯- মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া।

১৪ই নভেম্বর, ২০১৯- ভিন্ন একটি মামলায় রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তের অনুমোদন দেয় আইসিজে।

২৬শে নভেম্বর, ২০১৯- গু দার পায়িন গ্রামে ২০১৭ সালে সামরিক অভিযানের সময় হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সামরিক তদন্ত শুরু করে মিয়ানমার। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী জানায়, এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি- দেওয়া হয়েছে।

১১ই ডিসেম্বর, ২০১৯- হেগ শহরে আইসিজে’র শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে লড়তে হাজির হন সুচি। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ‘অসম্পূর্ণ ও ভুল’ বলে দাবি করেন।

২০শে জানুয়ারি, ২০২০- মিয়ানমারে সরকারি প্যানেল রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করে জানায়, গণহত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে যুদ্ধাপরাধ ঘটে থাকতে পারে।

২৩শে জানুয়ারি, ২০২০- আইসিজে মিয়ানমারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেও নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

২৫শে জানুয়ারি, ২০২০- মিয়ানমারে এক গ্রামে দুই রোহিঙ্গা নারীকে হত্যা করা হয়। আহত হন আরো সাত জন। স্থানীয় এক আইনপ্রণেতা, গ্রামবাসী ও আরাকান আর্মি এর জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করে। তবে সেনাবাহিনী অভিযোগ অস্বীকার করে।

২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০- মিয়ানমার সেনাবাহিনী জানায়, ২০১৭ সালে আরো দুই রোহিঙ্গা গ্রামে নির্যাতনের অপরাধে দায়ী সেনাদের কোর্ট-মার্শাল করা হবে।

১৬ই  এপ্রিল, ২০২০- মালয়েশিয়া প্রবেশের ব্যর্থ চেষ্টার পর ফিরে আসা ৩৯৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে বাংলাদেশ।

২৯শে এপ্রিল, ২০২০- মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের দূত জানান, রাখাইনে যুদ্ধাপরাধ করছে দেশটি। বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে বেসামরিকদের ওপর বিমান ও কামান দিয়ে হামলা চালানোর পর এমনটা জানান তিনি। তবে মিয়ানমার জানায়, এ অভিযোগ পক্ষপাতদুষ্ট।

২৫শে মে, ২০২০- রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় নেওয়া ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে আইসিজে’তে প্রতিবেদন জমা দেয় মিয়ানমার।

এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি:

ভারতের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি: দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, ২৪ ঘন্টায় দেশে আক্রান্ত ৬৮ হাজার ৮৯৮ জন। আর সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়াল। এসময় মারা গেছেন ৯৮৩ জন। মোট আক্রান্ত ৩০ লাখের পথে। আর মোট মৃত্যু ৫৪ হাজারের গণ্ডিতে। এক দিনে আক্রান্ত বৃদ্ধির নিরিখে আমেরিকা ও ব্রাজিলের থেকে ভারতের এগিয়ে থাকার পরিসংখ্যান আজও অব্যাহত।

দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, রাশিয়ার পথেই ভারত? ট্রায়ালের আগেই দেওয়া হতে পারে টিকায় ছাড়পত্র। আজকাল লিখেছে, বছর শেষেই মিলবে ভারতে তৈরি প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন, দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর।

অন্য খবর- ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর রক্তচাপ,হৃদস্পন্দন স্থিতিশীল, এখনও ভেন্টিলেশনে আছেন । পশ্চিমবঙ্গের খবরে দৈনিক আজকাল লিখেছে, সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুনশান রাস্তা, বন্ধ দোকানপাট।

নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত! উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে চীন

নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত! উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে চীন-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, ডোকলাম ও লাদাখের পর এবার উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ গিরিপথে উত্তেজনা তৈরি করতে চাইছে চিন। কয়েকদিন আগে ভারত ও নেপাল সীমান্তে অবস্থিত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে লালফৌজ (PLA) মোতায়েন করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এবার একটি সংস্থার উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেল ওই এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার জন্য নির্মাণ কাজ শুরু করেছে জিনপিংয়ের প্রশাসন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স ডিট্রেসফা নামে একটি সংস্থার তরফে সম্প্রতি লিপুলেখ (lipulekh) গিরিপথের ট্রাই জংশন এলাকার একটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে সেখানকার প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনেক সেনাকর্মী মোতায়েন করার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের জন্য নির্মাণ কাজ শুরু করেছে চিন। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে তাদের দীর্ঘমেয়াদি কোনও পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই লিপুলেখ গিরিপথ দিয়ে মানস সরোবর যাওয়ার রাস্তা তৈরি করা নিয়েই নেপালের সঙ্গে ভারতের গন্ডগোল শুরু হয়। এরপরই তিনটি ভারতীয় ভূখণ্ড নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধান সংশোধন করে নেপাল। ভারত ও নেপালের এই বিবাদের মাঝেই গত মে মাস থেকে লিপুলেখ সীমান্তে চীন পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করেছিল। তারপর সেখানে আস্তে আস্তে সেনা মোতায়েন শুরু করে। এবার ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করছে।

কাটমানির টাকা কোথায়?’, করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনাতেও ‘দু্র্নীতি’ নিয়ে মমতাকে তোপ ধনকড়ের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

মমতাকে তোপ ধনকড়ের-কাটমানির টাকা কোথায়?

করোনা (Corona Virus) চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম কেনাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি কানে যেতেই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ইস্যুতেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কোথা থেকে সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, কারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানান তিনি।

শুক্রবার সকালে পরপর দুটি টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম কেনাতেও দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে লেখেন, “এবার পর্দা সরিয়ে আসল তথ্য বাইরে আনুন। আর্থিক অনিয়ম এবং নির্দিষ্ট কয়েকজনের লাভবান হওয়ার খবরে বিরক্তি বোধ করছি।” আরেকটি টুইটে ধনকড় লেখেন, “কেনাকাটার কাটমানি কোথায় গেল? কে বা কারা লাভবান হলেন? সেটা খোঁজাই তদন্তের একমাত্র কাজ হওয়া উচিত। করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম ক্রয়ের হিসাব, কোথা থেকে কেনা হয়েছে, কারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা জানিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। স্বচ্ছতার অভাবেই দুর্নীতির জন্ম।”#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২১


 

ট্যাগ