কথাবার্তা: বিরল ‘নজির’ ট্রাম্পের- ৪ বছরে ৩০ হাজার ৫৭৩ মিথ্যে! যড়যন্ত্র নিয়ে তোলপাড়
(last modified Sun, 24 Jan 2021 06:33:48 GMT )
জানুয়ারি ২৪, ২০২১ ১২:৩৩ Asia/Dhaka
  • কথাবার্তা: বিরল ‘নজির’ ট্রাম্পের- ৪ বছরে ৩০ হাজার ৫৭৩ মিথ্যে! যড়যন্ত্র নিয়ে তোলপাড়

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২৪ জানুয়ারি রোববারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

প্রথমে বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • অক্সফোর্ডের টিকায় আস্থা রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা, প্রথম টিকা পাবেন ১ জন নার্স-ইত্তেফাক
  • প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষিত-ভদ্র ব্যবহার শেখাতে প্রশিক্ষণ শুরুই হয়নি -যুগান্তর
  • দেশে এখন ৪২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র -মানবজমিন
  • মধুর নামে কী খাচ্ছি! ভেজাল মেশাচ্ছে নামিদামি ১০ কম্পানি -কালের কণ্ঠ
  • 'নিঃস্ব' সাবেক এমপি জজ মিয়াও পেলেন ঘর -দৈনিক সমকাল
  • আগামীর চাকরির বাজারে বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও অর্থনীতি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে: বিল গেটস -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:

  • ৪ বছরে ট্রাম্পের ৩০ হাজার ৫৭৩ মিথ্যে! -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • বাড়ছে ভীতি! ভ্যাকসিন না নিয়েও নেয়ার মিথ্যা দাবি বহু স্বাস্থ্যকর্মীর -সংবাদ প্রতিদিন
  • ২৬ জানুয়ারি দু’‌ লক্ষ ট্রাক্টর নিয়ে ১০০ কিমি মিছিল করবেন কৃষকদের -দৈনিক আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে অসম্মানজনকভাবে বিদায় হলেও তাঁকে নিয়ে খবরের কমতি নেই। বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্ব মিডিয়ায় এখনও চলছে তাকে নিয়ে তোলপাড়। কখনও বা গোপন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবার ইম্পিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু অন্যদিকে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন নতুনভাবে কাজ শুরু করে ট্রাম্পের নীতির পরিবির্তনে উদ্যোগ নিয়েছে। এসব খবর বেশ গুরুত্বসহ পরিবেশিত হয়েছে। এ সম্পর্কে দৈনিক মানবজমিনের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি।

ট্রাম্পের যড়যন্ত্র নিয়ে তোলপাড়

ট্রাম্পের যড়যন্ত্র নিয়ে তোলপাড়-বিস্তারিত এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, মার্কিন বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকার এক গভীর ষড়যন্ত্র করেছিলেন সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশের পর এখন তোলপাড় চলছে যুক্তরাষ্ট্রে।

ট্রাম্প তার ভারপ্রাপ্ত আ্যটর্নি জেনারেলকে বরখাস্ত করে জর্জিয়া রাজ্যের ভোটের ফলাফল পাল্টে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে  সুপ্রিম কোর্টে মামলা করতে তার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টোফার মিলার ভ্যানেটি ফেয়ারকে বলেন, নভেম্বরে তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর পেন্টাগন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তিনটি বিষয় নিয়ে। এরমধ্যে ছিল সামরিক ক্যু এড়ানো, কোন যুদ্ধ না বাঁধানো এবং আমেরিকার জনপদে সেনাবাহিনীর মোতায়েন ঠেকানো।

মিলার বলেন, সার্বিক পরিস্থিতির উপর প্রতিরক্ষা ও বিচার বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছিল। সভার পর সভা চলছিল উতপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে।

তবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয় ট্রাম্পের উগ্রবাদী গোষ্ঠীর ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায়। মিলার বলেন, ক্যাপিটল হিলের পরিস্হিতি নাজুক আকার ধারনের আগেই আইনসভা ক্যাপিটল ভবনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখা হয়েছিল।

নির্বাচন নিয়ে ট্রাম্পের শেষ ব্যাটল ফিল্ড হয়ে উঠেছিল জর্জিয়া।রাজ্যের গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প ও সেক্রেটারি  অব ষ্টেট ব্র্যাড রাফেনস্পার্জার ট্রাম্পের সরাসরি চাপের মধ্যে ছিলেন।  রাফেনস্পার্জারকে ট্রাম্পের হুমকি দেয়া ফোন কল ফাঁস করে দিয়েছিল সংবাদমাধ্যম। তবে এই দুই কর্মকর্তা ট্রাম্পের হুমকি ও অন্যায় আদেশের কাছে নতি স্বীকার করেননি।

ট্রাম্প কতৃক পেন্টাগনে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা এ্যারজা কোহেন ভ্যানেটি ফেয়ারকে বলেন, ট্রাম্প আমাদের এক নাজুক পরিস্হিতির দিকে ঢেলে দিয়েছিলেন।এই কর্মকর্তা মনে করেন ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, ঐতিহ্য ও মান মর্যদাকে ধবংস করেছেন।।

মানবজমিনের অপর একটি খবরে লেখা হয়েছে, আইনজীবী নিয়োগ ট্রাম্পের অভিশংসন শুনানি ৮ই ফেব্রুয়ারি

সদ্য বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের শুনানি ৮ই ফেব্রুয়ারি শুরু হবে সিনেটে। তার রিরুদ্ধে হাউসে পাস হওয়া অভিশংসন প্রস্তাব সোমবার সিনেটে পাঠানো হবে। সিনেটের নতুন ডেমোক্রেট  মেজরিটি নেতা চাক শুমার শুক্রবার এ কথা জানান। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জনগণকে উত্তেজিত করে সশস্ত্র অভ্যুত্থানে উস্কানির অভিযোগে এখন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে বিচার চলছে। হাউসে ইতিমধ্যে এই প্রস্তাব পাস হয়েছে। গত ৬ই জানুয়ারি ট্রাম্পের প্ররোচনা উস্কানিতে তার উগ্রবাদী সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভায় ইতিহাসের ন্যক্কারজনক এই হামলা চালায়। মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা যখন বাইডেনের ইলেক্টোরাল ভোট সত্যায়নের জন্য সভায় মিলিত হয়ে এ ব্যাপারে কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন তখন ট্রাম্পের নির্দেশে এই ভয়ঙ্কর হামলা চালানো হয় । এতে পুলিশ সদস্য সহ ৫ জন মারা য়ায়।

ট্রামপ ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি এখন অনেকটাই সহনশীল হয়ে উঠছে। তার সময়কে আমেরিকার সাধারণ লোকজন ভুলে  যেতে চাচ্ছে। মার্কিন সিনেটে ডনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসন বিচারে দণ্ড নিশ্চিত করতে সিনেটে ১৭ জন রিপাবলিকানের সমর্থন প্রয়োজন। সময় যত গড়াচ্ছে, এমন সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ মনে হচ্ছে। সিনেটে সর্বোচ্চ ১০ জনের বেশী রিপাবলিকানের সমর্থন পাওয়া যাবে বলে এখনো মনে করা হচ্ছে না। রিপাবলিকান দলের অধিকাংশ  লোকজন ডনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা অভিশংসনকে নিজেদের দলের একটি কালিমা হিসেবেই দেখছেন। পর্দার অন্তরালে এমন অভিশংসন প্রক্রিয়া  থেকে সরে আসার জন্যও  ডেমোক্রেটদের অনুরোধ করা হচ্ছে। রিপাবলিকান রন জনসন বলেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তিনি অভিশংসন না তার প্রশাসনের লোকজনের নিয়োগ নিশ্চিত করাকে জরুরি মনে করেন।

ট্রাম্পের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ-ইত্তেফাক

সদ্য বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার ব্যাংকস ইউনাইটেড এই ঘোষণা দিয়েছে।

গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার পর অনেক প্রতিষ্ঠানই ট্রাম্প এবং তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে। এই তালিকায় ফ্লোরিডার ব্যাংকটি যুক্ত হলো।

৪৮ ঘণ্টায় ৩০ নির্বাহী আদেশ বাইডেনের, ট্রাম্প নীতির পরিবর্তন শুরু-মানবজমিন

বাইডেন গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩০টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেন গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩০টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রবীণ এক  সহযোগী নাম না নেয়ার শর্তে নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, বাইডেন যে গতিতে কাজ করছেন আগামী সোমবারের সূর্য  ওঠার আগেই ট্রাম্প যা করেছিলেন তার সব শেষ হয়ে যাবে। কেবল বিচারিক নিয়োগ ব্যতিত। বাইডেন স্বাক্ষরিত এইসব নির্বাহী আদেশের মধ্যে ১০ টি ডিক্রিই সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে জনস্বার্থে নেয়া হয়েছে।  ট্রাম্প তার চার বছরের বেশিরভাগ নীতির প্রয়োগ করেছেন নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে সহসা কোন রকমের নাটকীয় পরিবর্তন আসছেনা।বাইডেন এক্ষেত্রে অনেকটা ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করে অগ্রসর হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।আপাতত ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক বৈদেশিক নীতি মেনে চলবে বাইডেন প্রসাশন এমন আভাস স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

রাশিয়ায় ‘পুতিনবিরোধী’ বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৩ হাজার -ইত্তেফাক

Image Caption

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক বিরোধীদলীয় নেতা কারাবন্দি অ্যালেক্সি নাভালনির মুক্তির দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন তার সমর্থকরা। শনিবার রাজধানী মস্কোসহ ৯০টির মতো স্থানে এ সমাবেশ হয়েছে। এ সময় তিন হাজারেরও বেশি নাভালনি সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনিকেও গ্রেফতার করা হয়।  খবর আলজাজিরার।

দেশে এখন ৪২ শতাংশ মানুষ দরিদ্র-মানবজমিন

করোনার প্রভাবে দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার (আপার পোভার্টি রেট) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশ। দেশব্যাপী খানা পর্যায়ের জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। নিজেদের অর্থায়নে এই জরিপ পরিচালনা করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম। শনিবার দারিদ্র্য ও জীবিকার ওপর কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।জরিপের উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো- ২০২০ সালে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে রেমিট্যান্স বা প্রবাসীয় আয়ের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হলেও ব্যক্তিক পর্যায়ে তা বরং কমে গেছে।জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, করোনার প্রভাবে দারিদ্র্যের কারণে মানুষ খাদ্যবহির্ভূত ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি অনেকে সঞ্চয় ভেঙে খেয়েছেন, ঋণ নিয়েছেন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনেছেন। আবার জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭.৫২ শতাংশ পরিবার বলেছে, তারা খাপ খাওয়ানোর পথই খুঁজে পায়নি।

অক্সফোর্ডের টিকায় আস্থা রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা,বুধবার প্রথম টিকা পাবেন একজন নার্স, ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী-ইত্তেফাক পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে,

নানা জল্পনা-কল্পনার পর দেশে পৌঁছেছে ভারতের উপহারের টিকার প্রথম চালান। দু-এক দিনের মধ্যে কেনা টিকাও দেশে পৌঁছবে। টিকা দেশে পৌঁছানোর পর বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ওপর আস্থা রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, অক্সফোর্ডের টিকা সহনশীল ও গ্রহণযোগ্য। করোনার তাণ্ডব থেকে বাঁচতে সবাইকেই টিকা নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষিত-ভদ্র ব্যবহার শেখাতে প্রশিক্ষণ শুরুই হয়নি-দৈনিক যুগান্তর

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

প্রবাসীদের সঙ্গে ভদ্র ব্যবহার (শোভন আচরণ) শেখাতে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্মী-স্টাফদের প্রশিক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক বছরেরও বেশি সময় পার হলেও সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়বিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধে ও বিদেশ গমনে দালালদের প্রভাব কমাতে বেশকিছু নির্দেশনা দেন তিনি।জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণে তৎক্ষণাৎ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেন, ভদ্র ব্যবহার বা শোভন আচরণ শেখাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশনার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বিমানবন্দর ব্যবহারকারীদের ওপর গবেষণা চালিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে টিআইবি গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)। ওই প্রতিবেদনে হয়রানি বন্ধে ১৩ দফা সুপারিশ করা হয়।

টিআইবির গবেষণার তথ্যে উল্লেখ করা হয়, তদারকি ব্যবস্থার ঘাটতির কারণে শাহ আমানত বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি যেমন রয়েছে, তেমন নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায় বিদ্যমান। বিমানবন্দরে প্রবেশ থেকে শুরু করে বোর্ডিং লাউঞ্জ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায় করা হয়। প্রবেশ এবং প্রস্থানের সময় আনসার বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা যাত্রী হয়রানির ঘটনা ঘটে।

অর্থের বিনিময়ে ইমিগ্রেশন কর্মীদের একাংশ ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্নে যাত্রীদের সহায়তা করেন। কোনো কোনো যাত্রীর বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও তাদের হয়রানি এবং অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়। ভিসার মেয়াদ কম, ছবি ঠিক নেই-এসব অজুহাতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী যাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায় করা হয়।

'নিঃস্ব' সাবেক এমপি জজ মিয়াও পেলেন ঘর-সমকাল

সারাদেশের প্রায় ৭০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গতকাল জমি ও ঘর দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের সাবেক এমপি এনামুল হক জজ মিয়াও ঘর পেয়েছেন। এক সময়ের প্রভাবশালী ওই এমপির ঘর নেওয়ার খবরে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি দীর্ঘদিন গফরগাঁওয়ের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে এক রুমের এক বাসায় ভাড়ায় থাকতেন। গতকাল ঘর পেয়ে তিনি বলেন, 'এক সময় আমার সবই ছিল। বর্তমানে আমি নিঃস্ব। আমার এই অসহায় অবস্থায় আমাকে একটি ঘর প্রদান করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ফাহ্‌মী গোলন্দাজ বাবেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।'

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

বাড়ছে ভীতি! ভ্যাকসিন না নিয়েও নেয়ার মিথ্যা দাবি বহু স্বাস্থ্যকর্মীর-সংবাদ প্রতিদিন

করোনার টিকাকরণ নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে ভীতি। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষেত্রেই ভ্যাকসিনকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে মেনে নেয়নি প্রশাসন। তবুও আতঙ্ক যে ক্রমে বাড়ছে, তার প্রমাণ মিলেছে। ভারতের বেঙ্গালুরুতে অন্তত ২০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা ভ্যাকসিন না নিয়েও তা নেওয়ার ভুয়া দাবি করেছেন বলে অভিযোগ।

ক দেশ, একাধিক রাজধানী, মমতার দাবি এবং বাস্তবতা-আনন্দবাজার পত্রিকা

দেশে একটি নয়, কয়েকটি রাজধানী চান  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নেতাজি জয়ন্তীতে দিল্লি নির্ভরতা কাটানোর অভিনব ‘সুরাহা’ বাতলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, কলকাতা-সহ দেশের চার প্রান্তে চারটি রাজধানী হওয়া উচিত। বাকি তিনটি প্রস্তাবিত রাজধানীর অবস্থান হিসেবে উত্তর, দক্ষিণ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কথা বলেছেন তিনি। এড়িয়ে গিয়েছেন পশ্চিম ভারতের নাম। ঘটনাচক্রে, দেশের ওই অংশের অন্যতম অঙ্গরাজ্য নরেন্দ্র মোদীর গুজরাত।

ব্রিটিশ ভারতে সওয়া শতকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের রাজধানী ছিল কলকাতা।অতীত এবং সাম্প্রতিক বিশ্বের মানচিত্র বলছে, একাধিক রাজধানী রয়েছে অনেক দেশেই। তবে সাধারণ ভাবে আইনসভা, বিচার বিভাগ এবং প্রশাসনিক বিভাগের অবস্থানের নিরিখেই তা উল্লিখিত হয়। যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে প্রশাসনিক রাজধানী প্রিটোরিয়া। কেপটাউনে দেশের পার্লামেন্ট।ইউরোপের নেদারল্যান্ডসে আইনসভা ও বিচারবিভাগীয় কার্যকলাপ আমস্টারডাম থেকে পরিচালিত হলেও প্রশাসনিক প্রধান এবং রাষ্ট্রপ্রধান (রাজা) অবস্থান করেন দ্য হেগ-এ।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দেশ মালয়েশিয়ায় আইনসভা ও বাণিজ্যিক রাজধানী কুয়ালা লমপুরের পাশাপাশি রয়েছে প্রশাসনিক ও বিচারবিভাগীয় রাজধানী পুত্রাজয়া।দক্ষিণ আমেরিকার চিলি, বলিভিয়া, আফ্রিকার তানজানিয়া, ইউরোপের মন্টেনেগ্রো এমনকি, পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কাতেও রয়েছে জোড়া রাজধানী।ভারতে জম্মু ও কাশ্মীরেও দুই রাজধানী ব্যবস্থা বলবৎ রয়েছে।

২৬ জানুয়ারি দু’‌ লক্ষ ট্রাক্টর নিয়ে ১০০ কিমি মিছিল করবেন কৃষকদের-আজকাল

২৬ জানুয়ারি দু’‌ লক্ষ ট্রাক্টর নিয়ে ১০০ কিমি মিছিল করবেন কৃষকরা

কৃষকদের দাবি শেষমেশ মেনে নিতে বাধ্য হল দিল্লি পুলিশ। প্রজাতন্ত্র দিবসে প্যারেড চলাকালীন রাজধানীতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলের ছাড়পত্র দিল পুলিশ প্রশাসন।  সাধারণতন্ত্র দিবসে ১০০ কিলোমিটার ট্রাক্টর মিছিলের পরিকল্পনা নিয়েছেন কৃষকরা। সেদিন রাজধানীর পথে নামবে দু’‌ লক্ষ ট্রাক্টর। যদিও পুলিশের সেই ছাড়পত্র শর্তসাপেক্ষ। কৃষকরা জানিয়েছেন, সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লি সীমান্ত থেকে রাজধানীর ভিতর প্রবেশ করবে দু’‌ লক্ষ ট্রাক্টর। শহরের একটি নির্দিষ্ট অংশ ঘুরে আবার বেরিয়ে আসবে।২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লি সীমান্তে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন প্রায় ১০ হাজার কৃষক। তাঁরা হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন। দাবি, তিনটি কৃষি আইন সরকারকে প্রত্যাহার করতে হবে। কেন্দ্রের সঙ্গে ১১ দফার বৈঠক ভেস্তে গেছে।

৪ বছরে ৩০ হাজার ৫৭৩ মিথ্যে! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিরল ‘নজির’ ট্রাম্পের- আনন্দবাজার পত্রিকা

৩০ হাজার ৫৭৩ মিথ্যে!

হোয়াইট হাউস ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও, সেনেটে তাঁকে ইমপিচমেন্ট শুনানি এখনও বাকি। তার মধ্যেই ফের অস্বস্তি বাড়ল আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে মিথ্যেবাদী প্রেসিডেন্টের তকমা বসে গেল তাঁর নামের পাশে। ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি সকালে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত তিনি প্রকাশ্যে ৩০ হাজার ৫৭৩ বার মিথ্যে দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

আমেরিকার জনপ্রিয় সংবাদপত্র ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। তারা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগেও বিচক্ষণ হিসেবে তেমন সুখ্যাতি ছিল না ট্রাম্পের। নির্বাচনী প্রচারেও বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি করতে দেখা যায় তাঁকে। তাই তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে প্রথম ১০০ দিন তাঁর প্রতিটি মন্তব্যের রেকর্ড রাখতে শুরু করে তারা। পরে পাঠকদের আর্জি মেনে নিয়মিত রেকর্ড রাখা শুরু হয়।

সত্যাসত্য যাচাই করে ট্রাম্পের মন্তব্যের মধ্যে থেকে সঠিক এবং ভুয়ো তথ্য আলাদা করার জন্য বিশেষ ‘ফ্যাক্ট চেক টিম’ও তৈরি করা হয়। গত বুধবার হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প বিদায় নেওয়ার পর সেই হিসেব মেলানো শুরু হয়। তাতেই ট্রাম্পের সমস্ত ভুয়ো দাবির যোগফল ৩০ হাজার ৫৭৩-এ গিয়ে ঠেকেছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৪

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ