বিপর্যস্ত লিরা
১৯ বছরের মধ্যে তুরস্কে মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে
তুরস্কের মুদ্রাস্ফীতি গত ১৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আজ (সোমবার) প্রকাশিত তুর্কি সরকারি তথ্য অনুযায়ী- ২০০২ সালের পর বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার এখন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান নজিরবিহীন ও অপ্রচলিত কিছু মুদ্রানীতি গ্রহণের পর দেশটিতে সংকট দেখা দেয় এবং হু হু করে বাড়ে মুদ্রাস্ফীতি। সরকার মুদ্রাস্ফীতির যে ধারণা করেছিল তার চেয়ে সাত গুণ বেশি মুদ্রাস্ফীতির হয়েছে বলে তুরস্কের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের চেয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভোক্তাদের খরচ বা পণ্যমূল্য ৩৬.১ ভাগ বেড়ে যায়। গত নভেম্বর মাসে পণ্যমূল্য বেড়েছিল শতকরা ২১.৩ ভাগ।
২০০২ সালের অক্টোবর মাসে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৩৩.৪৫ ভাগে দাঁড়িয়েছিল। এ ঘটনা ঘটেছিল রজব তাইয়্যেব এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট বা এ কে পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে।
২০০১ সালে যে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল তারপর এরদোগানের সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে অনেকটা স্থিতিশীল অবস্থায় আনে। এ সাফল্যের জন্য প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও তার দলের অবদানকে তুরস্কে যথেষ্ট সম্মানের চোখে দেখা হয়। কিন্তু চলমান অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির জন্য এরদোগানের মূদ্রানীতিকেও দায়ী করা হচ্ছে।
২০০১ সালের অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির পর রজব তাইয়্যেব এরদোগানের ইসলামপ্রিয় দল ক্ষমতায় আসে এবং এরদোগান গত দুই দশক ধরে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশটির রাজনীতিতে একক আধিপত্য বিস্তার করে রয়েছেন। আগামী ২০২৩ সালে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা রয়েছে এবং চলমান এই সংকট তার পুনঃনির্বাচনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/৩