ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরাকের ঐতিহাসিক ও গৌরবময় সাহসী পদক্ষেপ!
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i108470-ইসরাইলের_বিরুদ্ধে_ইরাকের_ঐতিহাসিক_ও_গৌরবময়_সাহসী_পদক্ষেপ!
ইরাকের জাতীয় সংসদ গতকাল (২৬ মে) ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে যে কোনো ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করাকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ঐতিহাসিক আইন পাস করেছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মে ২৭, ২০২২ ১৯:১৮ Asia/Dhaka
  • ইরাকি সাংসদদের জনপ্রিয় পদক্ষেপ:  ইহুদিবাদী ইসরাইল বিরোধী নানা শ্লোগান
    ইরাকি সাংসদদের জনপ্রিয় পদক্ষেপ: ইহুদিবাদী ইসরাইল বিরোধী নানা শ্লোগান

ইরাকের জাতীয় সংসদ গতকাল (২৬ মে) ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে যে কোনো ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করাকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে সর্বসম্মতিক্রমে একটি ঐতিহাসিক আইন পাস করেছে।

এ আইনের ফলে দেশটির কোনো সরকার বর্ণবাদী ইসরাইলের সঙ্গে কখনও কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখতে পারবে না। 

এ আইনে বলা হয়েছে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামরিক সম্পর্কসহ যে কোনো ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখা নিষিদ্ধ। এমনকি খেলাধুলা ও বিজ্ঞান বা গবেষণামূলক কোনো বিষয়েও অবৈধ এই রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে ওই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় নির্বিশেষে ইরাকের ভেতরের ও বাইরের সব ইরাকি এবং এমনকি ইরাকে অবস্থানরত বিদেশীরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন বলে ওই আইনে বলা হয়েছে। 

আরও লক্ষণীয় বিষয় হল এই নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে ওই আইনে!  

ইরাকি সংসদে পাস হওয়া এই আইন সংগ্রামী ফিলিস্তিনি জাতিসহ গোটা পশ্চিম এশিয়ার এবং বিশ্বের মুসলিম জাতি ও দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয় একটি দৃষ্টান্ত। মুসলমানদের প্রথম কিবলার দখলদার ও ফিলিস্তিনের ওপর অবৈধভাবে চেপে-বসা অবৈধ বর্ণবাদী সরকার ইসরাইলের সঙ্গে কয়েকটি আরব কুলাঙ্গার শাসকগোষ্ঠী সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ইসলামী, ফিলিস্তিনি ও আরব মর্যাদার সঙ্গে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তার মোকাবেলায় ইরাকি সংসদের এই পদক্ষেপ ইসলামী ও আরব বিশ্বের পক্ষে সাহসিকতা, ন্যায়বিচার ও নৈতিক অবস্থান বজায় রাখার এক জোরালো দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।

এই আইন ন্যায়বিচার ও নৈতিকতার পক্ষে ইরাকিদের জাতীয় ঐক্যেরও বড় দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। 

ইরাকের সংসদে এমন সময় এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেয়া হল যখন বর্ণবাদী ইসরাইল আগামী ২৯ মে পবিত্র কুদস্‌ শরিফে ইসরাইলি পতাকা মিছিল অনুষ্ঠানের অশুভ পাঁয়তারা করছে। ফিলিস্তিনিরা এই মিছিলের বিরোধিতা করছে ও তাতে ব্যাপক বাধা দেয়ারও পরিকল্পনা করছে। তাই ইরাকি সংসদের এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের মনোবলকে চাঙ্গা করবে। 

দুর্বল-চিত্তের ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিহীন তথা গণ-বিরোধী সৌদি সরকারগুলোর মত পশ্চিমাদের গোলাম বা সেবাদাস সরকারগুলো ইরাকি এই পদক্ষেপের কারণে কিছুটা হলেও বাস্তবতামুখি বিচক্ষণতা দেখাবে বলে অনেকেই আশা করছেন।  

লাখ লাখ ফিলিস্তিনি ও আরব হত্যাকারী ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের জনগণের সম্পর্ক ছিল সব সময়ই শত্রুতামূলক, তাই শত্রুতার সম্পর্ক ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে অন্য কোনো সম্পর্কের কথা কল্পনাও করা যায় না। লেবাননের ইসরাইল-বিরোধী জনপ্রিয় প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ ইরাকি সংসদের এই পদক্ষেপকে সাহসী ও শ্রদ্ধাপূর্ণ বলে প্রশংসা করেছে। মুক্তিকামী সব জাতিসহ স্বাধীন ও বিপ্লবী সরকারগুলোও ইরাকি সংসদের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করবে এটাই আজ বিবেকবান সব মহলেরই স্বাভাবিক প্রত্যাশা। #

পার্সটুডে/২৭