'সিরিয়াকে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে রাখাও ছিল তাদের লক্ষ্য'
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i126708-'সিরিয়াকে_দুর্বল_ও_ভঙ্গুর_করে_রাখাও_ছিল_তাদের_লক্ষ্য'
স্কাই নিউজ আরবিকে দেয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকার এই আরব মুসলিম দেশটির সংকটের নানা দিক ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে দামেস্কের সম্পর্কের বিষয়টি বেশ জোরালো ও স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। এত সিরিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে দামেস্কের নীতি অবস্থানের যৌক্তিকতা ফুটে উঠেছে ।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
আগস্ট ১১, ২০২৩ ২০:০৭ Asia/Dhaka

স্কাই নিউজ আরবিকে দেয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকার এই আরব মুসলিম দেশটির সংকটের নানা দিক ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে দামেস্কের সম্পর্কের বিষয়টি বেশ জোরালো ও স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। এত সিরিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে দামেস্কের নীতি অবস্থানের যৌক্তিকতা ফুটে উঠেছে ।

 সিরিয়াকে এক দশক ধরে বিদেশী মদদপুষ্ট নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। আর এই সংকট শুরু হয়েছিল ২০১১ সাল থেকে। দীর্ঘ এই এক দশকের লড়াইয়ে ঠিক কত ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে তার সঠিক সংখ্যা বলা বেশ কঠিন। তবে বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে মনে করা হয় যে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ এই সংকটে প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়াও সিরিয়ার ভেতর ও বাইরে এক কোটি দশ লাখ সিরিয় শরণার্থী হয়েছেন।

বাশার আল আসাদ তাঁর সাক্ষাৎকারে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ও রাশিয়াকে সিরিয়ার বন্ধু হিসেবে এবং প্রতিবেশী তুরস্ক সরকারকে সিরিয়ায় নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গড়ে তোলার কাজে ভূমিকা পালনকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তুরস্ক এখনও সিরিয়ায় দখলদারিত্ব বজায় রাখতে চায় বলেও তিনি দাবি করেছেন।

আসাদ বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান সিরিয়ার ভূমির একাংশের ওপর তুর্কি দখলদারিত্বকে বৈধতা দিতেই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান, আর যতক্ষণ না সিরিয়ায় তুর্কি দখলদারিত্বের অবসান ঘটবে এবং সন্ত্রাসীদের প্রতি তুর্কি অর্থ সাহায্য বন্ধ না হবে ততক্ষণ তিনি এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না। সিরিয়ায় তুর্কি হস্তক্ষেপ বন্ধ হলে তখন প্রতিবেশী দেশ হিসেবে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করার পদক্ষেপ নেবে দামেস্ক এবং এটা সিরিয়ার দীর্ঘমেয়াদি নীতি বলে আসাদ মন্তব্য করেন।

তারা এক সময় খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন, কিন্তু এখন আসাদ মনে করেন সিরিয়ায় তুর্কি-সৃষ্ট সংকট, সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের কারণে এরদোগানের সঙ্গে তিনি বৈঠক করতে বা সাক্ষাৎ করতেও প্রস্তুত নন

বাশার আসাদ তার ওই সাক্ষাৎকারে সিরিয়ায় সংকট সৃষ্টিতে পাশ্চাত্যের প্রধান বা বড় রকমের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেছেন, দখলদার মার্কিন সেনারা এখনও সিরিয়ার একাংশে উপস্থিত রয়েছে এবং পশ্চিমা সরকারগুলো সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের সহায়তা দেয়ায় এই দেশটিতে ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টির জন্য মূলত তারাই দায়ী। আসাদ বলেছেন, পাশ্চাত্য কেবল তাকেই ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়নি, সিরিয়াকে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে রাখাও ছিল তাদের উদ্দেশ্য ঠিক যেভাবে তারা কেবল সাদ্দাম ও গাদ্দাফির পতন নয় একইসঙ্গে ইরাক ও লিবিয়াকেও ধ্বংস বা দুর্বল করতে চেয়েছে।

সিরিয়া ইসরাইলের সঙ্গে কখনও সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না বলেও আসাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি সিরিয়ার ওপর ইসরাইলি হামলা প্রসঙ্গে বলেছেন, সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলা তখনই শুরু হয়েছে যখন সিরিয় সেনারা সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় একের পর এক বিজয়ী হয়েছে। ইসরাইল যতদিন শত্রুতা করবে ও সন্ত্রাসীদের সহায়তা দেবে ততদিন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে আসাদ উল্লেখ করেন।

এটা স্পষ্ট যে সিরিয়ার ইসরাইল-বিরোধী অবস্থান তথা প্রতিরোধকামী অবস্থানের কারণেই কয়েকটি আরব ও পশ্চিমা সরকারগুলো বিশেষ করে মার্কিন সরকার সিরিয়াকে দুর্বল করতে চেয়েছে যাতে ইসরাইলকে শক্তিশালী করা ও টিকিয়ে রাখা সহজ হয়। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/১১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।