‘১৫ বছরে চার বার গাজায় ঢুকতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইল’
গাজায় ইসরাইলি সেনাদের দাফন করা হবে: হামাসের হুঁশিয়ারি
ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর আগ্রাসন অব্যাহত রাখলে এবং গাজায় পা রাখলে ওই উপত্যকায় তাদের দাফন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
হামাসের রাজনীতি ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিভাগের প্রধান বাসেম নাঈম ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইসরাইলি সেনারা যখন গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালানোর পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে তখন তিনি এ হুঁশিয়ারি দিলেন। সম্ভাব্য ওই স্থল অভিযানের আগে তেল আবিবের হুমকির মুখে গাজার উত্তর অংশ থেকে লাখ লাখ মানুষ দক্ষিণের দিকে সরে গেছেন।
বাসেম নাঈম বলেন, “ইহুদিবাদী সেনারা গাজায় অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করলে তারা শুধু পরাজিত হবে না সেইসঙ্গে গাজা উপত্যকায় তাদের কবর রচিত হবে।” এটি কোনো সাধারণ হুমকি নয় বরং পরীক্ষিত বাস্তবতা বলে তিনি জানান। নাঈম বলেন, “গত ১৫ বছরে তারা তিন থেকে চারবার গাজায় অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।”
হামাসের এই সিনিয়র নেতা তার সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, “আমরা মনে করি ইসরাইলের একটি ট্যাংকে অবস্থানকারী একজন সেনা ১৫ বছরের আগের একটি ট্যাংকে অবস্থানকারী একজন সেনার চেয়ে অনেক বেশি দুর্বল অব্স্থানে রয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলি সেনারা দেখেছে তাদের সহকর্মী ও অফিসারদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে। তারা ফিলস্তিনি যোদ্ধাদের সাহস ও শক্তিও প্রত্যক্ষ করেছে। কাজেই আমার মনে হয় গাজায় ঢুকলে তাদের পরিণতি কী হবে তা তারা সহজেই অনুমান করতে পারছে।”
সাক্ষাৎকারে প্রেস টিভির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয়, ইসরাইল সরকার গত ৭ অক্টোবর হামাসের চালানো আল-আকসা তুফান অভিযানের আগে নিজেকে ‘অজেয়’ বলে যে দাবি করত, সেই অবস্থায় কি আর কখনও ফিরে যেতে পারবে? উত্তরে বাসেম নাঈম বলেন, “তারা আর কখনও ৭ অক্টোবরের আগের ভাবমূর্তি ফিরে পাবে না।”
তিনি বলেন, হামাস বেশ কিছুদিন ধরে ইসরাইলকে এই বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিল যে, ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের পাশাপাশি ইসরাইলি সেনাদের হাতে আল-আকসা মসজিদের অবমাননা আর সহ্য করা হবে না। কিন্তু তারা ওই হুঁশিয়ারি আমলে নেয়নি বলে ৭ অক্টোবর সৃষ্টি হয়েছে। গাজায় স্থল অভিযানের ব্যাপারেও তিনি আগেভাগে হামাসের হুঁশিয়ারি আমলে নেয়ার জন্য তেল আবিবের প্রতি আহ্বান জানান।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।