জানুয়ারি ০৫, ২০২৪ ১৫:০০ Asia/Dhaka
  • দাফন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে।
    দাফন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে।

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপপ্রধান সালেহ আল-আরুরির জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) লেবাননের রাজধানী বৈরুতের শাতিলা ফিলিস্তিনি কবরস্থানে আরুরি এবং তার অন্য দুই সহযোগীকে দাফন করা হয়।

দাফন অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। এ সময় নামাজ ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা শূন্যে গুলি ছোঁড়ে। আরুরি এবং তার সহযোদ্ধাদের কফিন ফিলিস্তিনি পতাকায় মুড়ে দেয়া হয়। কফিনের সামনে আরবিতে লেখা ছিল ‘হামাস’।

মঙ্গলবার বৈরুতের একটি ভবনে ফিলিস্তিন এবং লেবাননের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সালেহ আল আরুরি বৈঠক করার সময় ইসরাইলি হামলার শিকার হন। হামলার জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলকেই দায়ী করা হচ্ছে তবে তেল আবিব এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি আবার অস্বীকারও করেনি। 

গত মঙ্গলবার ইহুদিবাদী ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বৈরুতে হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের আরো দুই কর্মকর্তারা শহীদ হন। ইসরাইলের ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে তারা শহীদ হয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে তবে কোনো কোনো গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে- ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে তাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়।

৫৭ বছর বয়সী আরুরি ছিলেন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা। গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের ভেতরে যে অভিযান চালিয়েছে তার প্রধান পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী ছিলেন সালেহ আল আরুরি।

আরুরির শাহাদাতের ঘটনায় হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, “এটি খুবই গুরুতর এবং বিপজ্জনক অপরাধ যা নিয়ে আমরা চুপ থাকতে পারি না।”#

পার্সটুডে/এসআইবি/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ