ফিলিস্তিনি কৌশলে বিশ্ব হতবাক: ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামাসের নতুন আঘাত
-
হামাস যোদ্ধা
বিশিষ্ট আরব বিশ্লেষক ও রাই আল-ইয়াওম পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আব্দুল বারি আতওয়ান সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ওপর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নতুন ধরনের সামরিক কৌশল এবং ধারাবাহিক আক্রমণ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "এই যুদ্ধকৌশল শুধু ইসরাইল নয়, বরং বিশ্বের সামরিক একাডেমিগুলোকেও হতবাক করেছে, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বকে।"
সোমবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে আতওয়ান লিখেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল বর্তমানে এক অভূতপূর্ব সংকটে রয়েছে, যার মূল কারণ গাজার মাটি থেকে দখলদার সেনাবাহিনীর ওপর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ক্রমাগত এবং ভয়াবহ আঘাত।
তিনি আরও বলেন, ৬০০ দিন ধরে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কেবল মিথ্যা প্রচার আর বিভ্রান্তির আশ্রয় নিয়েছেন এবং বারবার গাজায় ‘বিজয়’ দাবি করছেন, অথচ বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত। তার মুখভঙ্গি ও হতাশা দেখলেই বোঝা যায় পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে।
আতওয়ান বলেন, ইসরাইলের কৌশল ছিল ক্ষুধা ও ধ্বংসের মাধ্যমে গাজাবাসীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা, কিন্তু এই পরিকল্পনা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি মিত্র আরব দেশগুলোর কিছু অংশ যারা ইসরাইলের অবস্থানকে সমর্থন করেছে, তারাও আজ স্পষ্টভাবে প্রতিরোধের স্থায়িত্ব দেখে স্তব্ধ।
বিশ্লেষকের মতে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সামরিক কৌশলের অন্যতম দৃষ্টান্ত হলো- গাজার নিচে বিস্তৃত প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সুগভীর সুড়ঙ্গ ব্যবস্থা। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সত্ত্বেও ইসরাইল এই টানেলগুলো ধ্বংস করতে ব্যর্থ।
আতওয়ান সবচেয়ে বেশি বিস্মিত হয়েছেন সম্প্রতি আল কাসসাম ব্রিগেডের ড্রোন হামলার ঘটনায়। ৫০০ দিনের বেশি যুদ্ধ চলার পরও কীভাবে তারা এখনও আত্মঘাতী ড্রোন তৈরি করছে, তাতে রিকন প্রযুক্তি যুক্ত করছে এবং ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে তা পরিচালনা করে ইসরাইলি বাহিনীর ঘাঁটি ধ্বংস করছে — তা সত্যিই বিস্ময়কর বলে মনে করেন তিনি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, "নেতানিয়াহু, কাটজ এবং হার্জোগের অনেক বেশি শোকানুষ্ঠানের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা উচিত, কারণ একটি বড় চমক আসছে।"
পার্সটুডে/এমএআর/১০