ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শত্রুদের জন্য সতর্কবার্তা
ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার পশ্চিমদের সমর্থনপুষ্ট গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জবাবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদর দফতরে হামলা চালায়।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি গতকাল ভোরের দিকে ইরাকের ইরবিলে ইহুদিবাদী ইসরাইলে গুপ্তচর সংস্থা 'মোসাদ' ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদর দফতর এবং সিরিয়ার তাকফিরি গোষ্ঠীগুলোর ঘাটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। আইআরজিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, সন্ত্রাসী ও তাকফিরি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত থাকবে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই অঞ্চলে ইরানের সেনাবাহিনীর অভিযান মূলত আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলকে লক্ষ্য করে, যারা এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা ও সংকট সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। ইরানের এ পদক্ষেপ থেকে বোঝা যায়, তারা যেকোনো আগ্রাসন বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সুস্পষ্ট এবং উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধেও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে সর্বোত্তম সামরিক পন্থা অবলম্ব করবে।
সিরিয়ায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক কাপুরুষোচিত হামলা এবং ইরানের সামরিক উপদেষ্টা সৈয়দ রেজা মুসাভির শাহাদত এবং কেরমানে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ঘটনা সন্ত্রাসী এবং তাদের পশ্চিমা সমর্থকদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে যার জবাবে ইরান এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আইআরজিসি দেশের সীমানা ও ইরানি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর এবং এ কারণে যে কোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে কুণ্ঠাবোধ করে না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, ইরানের বিপ্লবী গার্ড ও সশস্ত্র বাহিনী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কর্মকাণ্ডের এমনভাবে তড়িৎ জবাব দিয়েছে যে এই গোষ্ঠীর সদস্যরা এবং তাদের পশ্চিমা সমর্থকরাও বিস্মিত হয়েছে। আইআরজিসির ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে বোঝা যায় যে, ইরান তার সমস্ত শক্তি দিয়ে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো আপোষ করবে না। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঠিক অবস্থানে আক্রমণ করার ক্ষেত্রে আইআরজিসির পারদর্শিতা আমেরিকা এবং এই অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পশ্চিমা সমর্থকদের জন্য একটি সতর্কবার্তা।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী ব্যক্তিরা এর আগেও পশ্চিমাদের সমর্থনপুষ্ট সন্ত্রাসীদেরকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছিল। ২০১৭ সালের ৭ জুন দায়েশ বা আইএস জঙ্গি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইরানের সংসদ চত্ত্বরে হামলা চালিয়ে অনেক লোককে হত্যা করেছিল। তখন ইরান জবাব দিয়েছিল। এ ছাড়া জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে শাহাদাতের পরও ইরান পাল্টা জবাব দিয়েছিল। এসব ঘটনা থেকে বোঝা যায় ইরান জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষা প্রশ্নে কোনা ছাড় দেয়া না। #
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।