অপুষ্টির কারণে শিশুমৃত্যু; ফ্যাসিবাদী ইসরাইলিদের অব্যাহত শিশুহত্যা
পার্সটুডে-দক্ষিণ গাজার নাসের হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ইহুদিবাদী ইসরাইলের ফ্যাসিবাদী নীতির কারণে উপত্যকার শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে হাজার হাজার শিশুর জীবন হুমকির মুখে পড়বে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
ইরনার বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, নাসের হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান আহমেদ আল-ফারা জোর দিয়ে বলেছেন: খাদ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সীমাহীন পতনের ফলে স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এমন এক ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে যা হাজার হাজার শিশুর জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
আল-ফারাহ আরও বলেন: গাজা উপত্যকা একটি বিপজ্জনক স্বাস্থ্য সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টির ঘটনা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
নাসের হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান আরও বলেন: স্বাস্থ্য প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে ৫২ জনেরও বেশি শিশু মারা গেছে। অপরদিকে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে মানবিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির কারণে গাজার ২৪ লক্ষ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।
আল-ফারা জোর দিয়ে বলেন: শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারণ তারা সাধারণত তাদের মায়ের দুধের ওপর নির্ভরশীল থাকে। মায়েদের অপুষ্টির কারণে শিশুর জীবনও ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশেষ করে যেহেতু গুঁড়ো দুধের সরবরাহও কম তাই বাজারে এর দাম আকাশছোঁয়া।
দক্ষিণ গাজার নাসের হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান গাজার শিশুদের জীবন বাঁচাতে জাতিসংঘ এবং স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন: গাজা উপত্যকার ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য সময় নষ্ট হওয়ার আগেই জীবন বাঁচাতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
১৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে আগ্রাসনের নতুন দফা শুরু হওয়ার পর থেকে ২ হাজার ১৫১ জন শহীদ এবং ৫ হাজার ৫৯৮ জন আহত হয়েছেন।
এ নিয়ে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সাল থেকে গাজায় শহীদের সংখ্যা ৫২ হাজার ২৪৩ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৬৩৯ জনে পৌঁছেছে।#
পার্সটুডে/এনএম/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।