ইরানি হামলার অপ্রত্যাশিত প্রভাব; 'বাজান শোধনাগারকে হাইফা থেকে সরাতে হবে'
-
হাইফায় বাজান কোম্পানির শোধনাগার
পার্সটুডে- ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাইফা শহরের মেয়র ইয়োনা ইয়াহাভ ঐ বন্দর শহরে 'বাজান' কোম্পানির উপস্থিতির বিরোধিতা করে বলেছেন, এই কোম্পানি এবং তাদের শোধনাগারের অস্তিত্বই হাইফার বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক হুমকি। হাইফায় বাজান তেল শোধনাগারে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শোধনাগারটি অচল হয়ে পড়েছে।
হাইফার মেয়র এখন এই কোম্পানি এবং তেল শোধানাগারকে ঐ শহর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি তুলেছেন।
পার্সটুডে জানিয়েছে, হাইফার মেয়র আরো বলেছেন- এই শোধনাগার পরিদর্শনের সময় যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা থেকে এটা স্পষ্ট 'বাজান' কোম্পানি এবং তাদের শোধনাগারের উপস্থিতি শহরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং শহরের বাসিন্দাদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
হাইফার প্রতি এই কোম্পানির হুমকি সম্পূর্ণ স্পষ্ট বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। এই মেয়রের মতে, অবিলম্বে এই কোম্পানিকে এই শহর থেকে সরিয়ে নিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে হাইফার পরিবেশ সমিতির প্রধান আভিহু হান বলেছেন, হাইফার বাসিন্দারা আজ আবারও বাজান কোম্পানি গোষ্ঠীর দম্ভ এবং দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার মূল্য পরিশোধ করেছেন।
তিনি বলেন, হাইফার মানুষের হৃদয়ে এই কোম্পানির আর কোনও স্থান নেই। শোধনাগারটির সংস্কার ও মেরামত অবিলম্বে বন্ধ করে এটিকে এখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
দখলদার ইসরাইলের চ্যানেল-১১ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর জানিয়েছিল, বাজান তেল শোধনাগার কমপ্লেক্সের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর শোধনাগারটি বন্ধ হয়ে গেছে।
ইরানও সেখানে হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে, ১৩ জুন ইসরাইল ইরানে যে আগ্রাসন শুরু করেছিল তার প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা আঘাত করা হয়েছে এবং ট্রু প্রমিজ-৩ অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে দখলদার ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে।
ইহুদিবাদী আগ্রাসনে ইরানের বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডারের পাশাপাশি পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অনেক বেসামরিক ব্যক্তি শহীদ হয়েছেন।#
পার্সটুডে/এসএ/২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।