ইরান কতগুলো ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করেছে?
(last modified Thu, 10 Jul 2025 09:23:16 GMT )
জুলাই ১০, ২০২৫ ১৫:২৩ Asia/Dhaka
  • ইসরায়েলি ড্রোন  \\\'হেরন ৩৪০\\\'
    ইসরায়েলি ড্রোন \\\'হেরন ৩৪০\\\'

পার্সটুডে: ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজায়ী এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধের বিভিন্ন দিক এবং মার্কিন ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রচার কার্যক্রম সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেছেন।  

পার্সটুডে জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "গত ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরাইল ও আমেরিকা ইরানের কাছে পরাজিত হয়েছে।"

ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের সাম্প্রতিক যুদ্ধের ঘটনাবলিকে কেন্দ্র করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে উল্লেখ করে আইআরজিসির সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল মোহসেন রেজায়ী বলেন, "এই প্রচারণার কয়েকটি উদ্দেশ্য রয়েছে: প্রথমত, জনমতকে বিভ্রান্ত করা এবং গল্প তৈরি করে ইরানের বিজয়কে প্রশ্নের মুখে ফেলা। দ্বিতীয়ত, ট্রাম্প যখন বলেন ‘পারমাণবিক ইস্যু শেষ’, সেটাও ইরানকে বিভ্রান্ত করার একটি কৌশল হতে পারে, যেটা তারা আলোচনার সময়ও প্রয়োগ করেছিল।

ইসরায়েলি ড্রোন 'হার্মিস ৯৩৯' 

মোহসেন রেজায়ী আরও বলেন, "এখন দেখার বিষয় হলো, তারা সত্যিই জয়ী হয়েছে কিনা। বিভিন্ন দিক থেকে ইসরায়েলের প্রাপ্তি ও ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করা যেতে পারে। ইসরায়েলের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, এই ১২ দিনে যুদ্ধের ব্যয় ছিল প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময়ে তারা আমেরিকার তৈরিকৃত ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্রের দুই বছরের উৎপাদনের সমপরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যেগুলোর প্রতিটির দাম অনেক বেশি।  অর্থাৎ, ১২ দিনে দুই বছরের সমপরিমাণ অস্ত্র আকাশে ছুড়ে দিয়েছে।”

রেজায়ী ইরানের সামরিক সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, "আমরা প্রায় ৮০টি ড্রোন ধ্বংস করেছি, যার মধ্যে ৩২টি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ আমাদের হাতে রয়েছে। এর মধ্যে হার্মিস ও হেরনের মতো অত্যাধুনিক ড্রোনও রয়েছে। আমাদের রাডার ৮০টি হিট রেকর্ড করেছে। এছাড়া, ইসরাইলের মানবিক ক্ষয়ক্ষতি ও নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলোর ধ্বংসযজ্ঞ ব্যাপক। এখন প্রশ্ন হলো, এত বিপুল খরচ করে তারা আদৌ কী অর্জন করেছে?"

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল নামক অবৈধ রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব একটি ধারণার ওপর ভিত্তি করে গঠিত, যেটি হলো ‘সম্পূর্ণ নিরাপত্তা’। তারা সারা পৃথিবী থেকে মানুষ এনে বলেছে, এখানে কোনো ভয় নেই। সেই নিরাপত্তার সঙ্গে অর্থনৈতিক স্বার্থও যুক্ত। কিন্তু এবার ইসরায়েলের সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। একে বলা চলে নিরাপত্তার একেকটি ছিদ্র। এটা ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য গভীর সংকট ডেকে এনেছে।”

পার্সটুডে/এমএআর/১০