মে ১৯, ২০১৯ ১৯:১৬ Asia/Dhaka

বাংলাদেশের বড় বড় ব্যবসায়ী আর শিল্পপতিরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছেন না। ফলে ব্যাংকগুলোতে দেখা দিয়েছে তারল্য সংকট। এমন পরিস্থিতিতে বেড়ে যাচ্ছে ব্যাংকখাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে ব্যাংকিংখাত থেকে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৬৬ কোটি টাকা। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাংকখাত ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ৮৮ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। গত ৩০ জুনে যার পরিমাণ ছিলো ৮৮ হাজার ২৫৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ৭০ হাজার ১২৯ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে সরকার। গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এই ঋণের পরিমাণ ছিলো ৬৪ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১০ মাসের ব্যবধানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে ৫ হাজার ১১৭ কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে সরকারের যে পরিমাণ ব্যয় বেড়ে গেছে সেই হারে আয় বাড়েনি। এতেই সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের ব্যয় মেটাতে আর্থিক ব্যবস্থাপনা বেশ চাপে পড়েছে। যার ফলে ঋণগ্রহণ বেড়ে গেছে। এদিকে, সরকারের রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক অনুদানও কমে গেছে।

এ প্রসঙ্গে বাসদের কেন্দ্রিয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, মানুষ ব্যাংকে টাকা আমানত রাখে। ঋণখেলাপিরা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করে না। এর পুরস্কার হিসেবে সরকার তাদের সুদ কমিয়ে দেয়া, ঋণ মওকুফ করার মতো নানা সুবিধা দিয়ে আর্থিকখাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রেখেছে। এর উপর সরকার নিজেই ঋণ নিলে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দেয়, ঠিকমতো বিনিয়োগ হয় না। এর মধ্য দিয়ে দেশ জটিল অর্থনৈতিক চক্রের মধ্যে ঢুকে গেছে। এতে অর্থনীতির অবয়ব বিশাল দেখা যাবে কিন্তু বিনিয়োগ বা উন্নয়নে কোন কাজে লাগবে না।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে নেয়া ঋণ পুরোটা পরিশোধ না করলেও আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের বিপরীতে ৪ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করেছে সরকার। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ ছিল ২৩ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। যা এ বছরের এপ্রিল মাস শেষে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা।#

পার্সটুডে/শামস মন্ডল/বাবুল আখতার/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

 

 

ট্যাগ