আরবাইনকে সামনে রেখে কারবালায় নামছে ইসলামপ্রেমিক মানুষের ঢল
আরবাইন বা ১০ই মহররমের ৪০ দিন পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী শোক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য ইসলামপ্রমিক মানুষের ঢল নামছে।
দ্বীনের নবী হজরত মোহাম্মদ (সা) নাতি, হজরত ফাতেমাতুজ জাহরা(সাআ) এবং হজরত আলী(আ) এর পুত্র, বেহেশতে যুবকদের নেতা হজরত ইমাম হোসেইন(আ)কে কারবালা প্রান্তে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করেছিল ইয়াজিদ বাহিনী। বর্বর ইয়াজিদ বাহিনী ভেবেছিল ইমাম হোসেন এবং তার ৭২ সহযোগীকে ১০ মহররম হত্যার মধ্য দিয়ে শান্তির ধর্ম ইসলামের দীপ শিখা নিভিয়ে দেয়া যাবে। বিকৃতির আড়ালে ঢেকে ফেলা যাবে ইসলামের শাশ্বত বাণীকে।
কিন্তু তাদের যে দুরাশা শেষ পর্যন্ত সত্য হয়নি। কারবালার ঘটনাপ্রবাহ আজকের দিনে ইসলামকে পুনঃজাগরণের শক্তি যুগিয়ে চলছে। আরবাইনের নাজাফ এবং কারবালা বিশাল এক অতিথিশালায় বা ধর্মশালায় পরিণত হয়। তিন বেলার খাবার এবং রাতে ঘুমাবার বা বিশ্রামের জন্য জিয়ারতকারীদের কোন চিন্তাই করতে হয় না। পথে পথে বিতরণ করা হয় অঢেল খাবার ও নানা পানীয়। রয়েছে জুতা সেলাই থেকে চিকিৎসা সেবাসহ নানা সেবা দেয়ার দাতব্য ব্যবস্থা। মহল্লায় মহল্লায় রয়েছে মেহমানখানা। এ দৃশ্য না দেখলে মানুষে মানুষে ভালোবাসার এক অপরূপ দৃশ্য দেখার সুযোগ নষ্ট হলো। একমাত্র নবীজির একান্ত অনুসারীরই পার্থিব সব লোভ-লালসার উপরে ওঠে এমন ভালোবাসায় আয়োজন করতে পারেন।
আর আরবাইনের শোক অনুষ্ঠানে মানুষের যোগ দানের মধ্য দিয়ে আল্লাহর দ্বীন ইসলামের গতিপ্রবাহ ক্রমেই অজেয় হয়ে উঠছে। একই সাথে দুরাচারী, জালেম এবং বিদেশিদের মদদপুষ্ঠ শাসকগোষ্ঠীদের ক্ষমতার মসনদে ফাটল ধরছে। নির্যাতিত মানুষ জেগে উঠছে। মানুষের ন্যায় সংগ্রামে আজও উৎসাহ যুগিয়ে চলছে কারবালার ঘটনা এবং আরবাইনের শোক অনুষ্ঠান।
ইরাকের পবিত্র নগরী নাজাফ এবং কারবালা থেকে এ সব গতবার তোলা হয়েছে।
পার্সটুডে/মূসা রেজা/১৩