সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধের পর হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে: জরিপ
(last modified Thu, 17 Jun 2021 05:58:30 GMT )
জুন ১৭, ২০২১ ১১:৫৮ Asia/Dhaka
  • পশ্চিম তীরের জেরুজালেম আল-কুদস শহরে হামাসের পতাকা হাতে সংগঠনটির সমর্থনে ফিলিস্তিনিদের মিছিল (ফাইল ছবি)
    পশ্চিম তীরের জেরুজালেম আল-কুদস শহরে হামাসের পতাকা হাতে সংগঠনটির সমর্থনে ফিলিস্তিনিদের মিছিল (ফাইল ছবি)

সাম্প্রতিক গাজা যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়ে গেছে বলে একটি ফিলিস্তিনি এনজিও পরিচালিত জরিপে জানা গেছে।

ফিলিস্তিনি সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ বা ‘মাসারাত’ পরিচালিত জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, শতকরা ৭৭ ভাগ ফিলিস্তিনি জনগণ মনে করেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের  বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক যুদ্ধে হামাস বিজয়ী হয়েছে। মাসারাতের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে লেবাননের আল-মায়াদিন নিউজ নেটওয়ার্ক।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা ও জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের ১,২০০ ফিলিস্তিনির ওপর এই জরিপ পরিচালিত হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৫৩ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন, গাজা ও পশ্চিম তীরের গোটা ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা হামাসের রয়েছে। অন্যদিকে শতকরা মাত্র ১৪ ভাগ বলেছেন, মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ আন্দোলন ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্ব দেয়ার অধিকার রাখে।

জরিপে অংশগ্রহণকারী শতকরা ৬৫ ভাগ ফিলিস্তিনি মনে করেন, হামাস গাজা উপত্যকা থেকে রকেট হামলা চালিয়ে ইসরাইলকে পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদসের শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।

গাজায় হামাসের সামরিক কুচকাওয়াজ (সাম্প্রতিক ছবি)

গত মাসের গোড়ার দিকে আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি সেনাদের ব্যাপক দমন অভিযান ও শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইল অভিমুখে রকেট নিক্ষেপ শুরু করে হামাস’সহ প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো। দখলদার ইসরাইল টানা ১২ দিন ধরে গাজা উপত্যকার বেসামরিক অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়ে তার জবাব দেয়।

ইসরাইল বিমান হামলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে হাজার হাজার রকেট নিক্ষেপ করহামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠন। তারা এই ১২ দিনে জেরুজালেম, তেল আবিব এমনকি দূরবর্তী হাইফা শহরে চার হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে ইহুদিবাদীদের অন্তরে কাঁপন ধরিয়ে দেয়।ফিলিস্তিনিদের রকেটের পাল্লা ও নিখুঁতভাবে আঘাত হানার ক্ষমতা দেখে তেল আবিব ১২ দিনের মাথায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ