এক নজরে ঢাকা ও কোলকাতার পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ সব খবর
(last modified Sun, 22 May 2016 12:09:13 GMT )
মে ২২, ২০১৬ ১৮:০৯ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক! সালাম ও শুভেচ্ছা নিন। ২২ মে রবিবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি নাসির মাহমুদ এবং মুজাহিদুল ইসলাম। শুরুতেই বাংলাদেশ ও ভারতের গুরুত্বপূর্ণ দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম জানিয়ে দেবো, তারপর যথারীতি বাছাইকৃত কিছু খবর বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো। আপনারা আমাদের সঙ্গেই আছেন এ প্রত্যাশা রইলো।

ঢাকা:

জ্ঞানই সব থেকে বড় সম্পদ: প্রধানমন্ত্রী, প্রথম আলো

‘বাংলাদেশ-আসাম সীমান্ত দুই বছরের মধ্যে বন্ধ’: প্রথম আলো

৬ জঙ্গির দেশত্যাগ ঠেকাতে বেনাপোল সীমান্তে সতর্কতা:ইত্তেফাক

নতুন প্রজন্মকে জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান: ইত্তেফাক

আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা কেবল মুখের বুলি: খালেদা,মানব জমিন

৯ জেলায় নিহত ২৩,রোয়ানুরে লণ্ডভণ্ড উপকূল: মানব জমিন

শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : শেখ হাসিনা – নয়াদিগন্ত

কোলকাতা:

ভারতকে ন্যাটো সদস্যের সমান মর্যাদা দিতে বিল আমেরিকায়, চাপে চিন:আনন্দবাজার পত্রিকা

সঙ্কটে অবিচল সেনাপতিরা: আনন্দবাজার পত্রিকা

মোদির মন্ত্রিসভায় রদবদলের ইঙ্গিত,উত্তরপ্রদেশ ও লোকসভা ভোটই লক্ষ্য:বতর্মান পত্রিকা

রেড রোডে মমতার এবারের শপথ কেন ঐতিহাসিক?:সংবাদ প্রতিদিন

সংসদীয় রাজনীতি থেকে বিদায়ের সম্ভাবনা হেভিওয়েটদের: সংবাদ প্রতিদিন

অর্ডিন্যান্সে রাষ্ট্রপতির সই হলে রাজ্যে মেডিক্যালে জয়েন্টের দিন ঠিক হবে:আজকাল

প্রিয় পাঠক! শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশ ও ভারতের সবচেয়ে আলোচিত কয়েকটি খবরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

জ্ঞানই সব থেকে বড় সম্পদ: প্রধানমন্ত্রী, প্রথম আলো

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মন দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। জ্ঞানই সব থেকে বড় সম্পদ। এই সম্পদ কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের ‘সুপ্ত প্রতিভা’ খুঁজতে জাতীয়ভাবে আয়োজিত সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি মনে করেন, সবচেয়ে মেধাবী হলো এ দেশের ছেলেমেয়েরা। কিন্তু তাদের বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাজ সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। আমরা তা করে দিচ্ছি।’ প্রতিযোগী ও পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সত্যিই উজ্জ্বল।

৬ জঙ্গির দেশত্যাগ ঠেকাতে বেনাপোল সীমান্তে সতর্কতা:ইত্তেফাক

‘চিহ্নিত’ ছয় জঙ্গির দেশত্যাগ ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করার পর বেনাপোল সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিনুল ইসলাম জানান, জঙ্গিরা যাতে দেশত্যাগ না করতে পারে সেজন্য বাড়তি সতর্কতা রাখতে সরকারিভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, যারা বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাচ্ছেন তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা সঠিকভাবে যাচাই করে দেশত্যাগের অনুমতি দিতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন হত্যার ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার ছয় জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তারা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য জানিয়ে তাদের ধরতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।

আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা কেবল মুখের বুলি: খালেদা,মানব জমিন

আওয়ামী লীগ মুখে ধর্ম নিরপক্ষেতার কথা বললেও বাস্তব চিত্রটা ভিন্ন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, তারা ধর্ম নিরপক্ষেতা বিশ্বাস করেনা। তাই যদি হতো তাহলে সকল ধর্মের মানুষকে হত্যা করতো না। তাদের মনে যে কি আছে তা জানা কঠিন। আওয়ামী লীগ দেশটাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়ে প্রয়োজনে নিরাপত্তার খাতিরে দেশ ছেড়ে চলে যাবে। তাই সময় এসেছে সকলকে এক হওয়ার। চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাতে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বরেন, বিএনপি সকল ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। কিন্তু বর্তমানে দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই শান্তি, ঐক্য ও প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক। কারণ সমস্যার সমাধান মারামারিতে নয়, সমাধান করতে হয় আলাপ-আলোচনায়। আর দখল ও হত্যা আওয়ামী শাসকদলের জন্য নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকেও তারা দখল, হত্যা ও নির্যাতন চালিয়েছে। বর্তমানে দেশে কোনো ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নেই। এখন পর্যন্ত যত লোক হত্যা হয়েছে তার হত্যাকারীদের কেউ কি গ্রেপ্তার হয়েছে? গ্রেপ্তার করা হয়নি কারণ এই সকল অপরাধীরা তাদেরই দলীয় লোক।

৯ জেলায় নিহত ২৩,রোয়ানুরে লণ্ডভণ্ড উপকূল: মানব জমিন

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূল। ঝড়ে ৯ জেলায় অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল। গতকাল দুপুরে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে। এর আগে শুক্রবার রাত থেকে ঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বাঁধ ভেঙে পানিতে ভেসে যায় অনেক এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপকূলীয় ১৮ জেলার অন্তত ৫ লাখ লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়ার কথা জানিয়েছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির কারণে আজকের পূর্বনির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় গতকাল রাত থেকে সারা দেশে নৌ চলাচল শুরু হয়েছে।

ভারতকে ন্যাটো সদস্যের সমান মর্যাদা দিতে বিল আমেরিকায়, চাপে চিন:আনন্দবাজার পত্রিকা

নয়াদিল্লিকে কাছে টানতে বিরাট পদক্ষেপ নিল ওয়াশিংটন। ভারতকে ন্যাটো সদস্যসদের সমান মর্যাদা দেওয়ার জন্য বিল পাশ হল মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে। একই বিল পেশ হল মার্কিন সেনেটেও। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির সঙ্গে যে সব অস্ত্রশস্ত্র এবং সামরিক প্রযুক্তির ব্যবসা আমেরিকা অবাধে করে, ন্যাটোর বাইরের কোনও দেশকে আমেরিকা সে সব দিতে পারে না। আইনে সংশোধন এনে এ বার তাই ভারতকে ন্যাটো সদস্যদের সমান মর্যাদা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু।

বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বজায় রাখতে আমেরিকার সামনে এক সময় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সোভিয়েত রাশিয়া। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর থেকে রাশিয়া যত দুর্বল হয়েছে, মার্কিন নেতৃত্ব তত বেশি করে আন্তর্জাতিক মহলের স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এখন চিন নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে চায়। চিনা আগ্রাসন এত দূর পৌঁছেছে যে সমুদ্রের মাঝে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে তারা নিজেদের জলসীমা বাড়িয়ে নিচ্ছে। এই আগ্রাসন মানতে নারাজ আমেরিকা। সেই টানাপড়েনেই চিনের সঙ্গে আমেরিকা তথা ন্যাটোভুক্ত সব দেশগুলির সম্পর্ক এখন তলানিতে।

চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও মোটেই মধুর নয়। ১৯৬২-র যুদ্ধের পর থেকেই ভারত-চিন সম্পর্কে তিক্ততা রয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তানকে সামরিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ভাবে চিন ঢালাও সাহায্য দেওয়া শুরু করায়, ভারত-চিনের পারস্পরিক তিক্ততা আরও বেড়েছে। জৈশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার চেষ্টা চিন আটকে দিয়েছে। ভারতের এএসজি-তে ঢোকার চেষ্টাতেও চিন বাধা দিচ্ছিল। পরে সরাসরি বাধা দেওয়ার পথ থেকে পিছু হঠেছে। কিন্তু ভারত এনএসজি-তে ঢুকলে যাতে পাকিস্তানও ঢুকতে পারে, সেই চেষ্টা শুরু করেছে চিন।

সব মিলিয়ে ভারত এবং আমেরিকার অভিন্ন প্রতিপক্ষ এখন চিন। সে কথা মাথায় রেখেই খুব দ্রুত কাছে আসা শুরু করেছে ভারত ও আমেরিকা।

মোদির মন্ত্রিসভায় রদবদলের ইঙ্গিত,উত্তরপ্রদেশ ও লোকসভা ভোটই লক্ষ্য:বতর্মান পত্রিকা

দু’টি কার্ডেই অসমে অসাধ্য সাধন হয়েছে বিজেপি’র। হিন্দুত্ব এবং নিখুঁত জোট বাছাই করা। অসম গণ পরিষদ ও বোড়ো ফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়ে আগেই অমিত শাহ লড়াইটায় যে এগিয়ে গিয়েছিলেন, তা প্রমাণিত হচ্ছে ভোটের বিশ্লেষণের পর। আর তাই অসমের পর এবার উত্তরপ্রদেশ দখলই প্রধান লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ জুটির। যা সম্ভব হলে আগামী ২০১৯’র লোকসভা ভোটে কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়ার কাজে সাফল্য পাওয়াটা অনেকটাই সহজ হবে। দিল্লির মসনদে থাকা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশ নাগালের বাইরে, এটা কোনও শাসকের কাছেই খুব স্বস্তিকর নয়। বিশেষ করে বিজেপি’র তো নয়ই। কারণ এই রাজ্যের অযোধ্যা থেকেই মাত্র ২ এমপির পার্টি বিজেপি আজ ভারতের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে গিয়েছে। তাই অসমে ক্ষমতা দখল ও কেরল, পশ্চিমবঙ্গে সাফল্যের পর দল এবং মন্ত্রিসভার বড়সড় রদবদলে পথে এগোচ্ছেন মোদি। দলীয় সংগঠনে রদবদলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এসবেরই লক্ষ্য নিশ্চিতভাবে পরের লোকসভা নির্বাচন।

আগামী ১১ জুন জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। তার আগেই দলের সর্বস্তরে পদাধিকারী পরিবর্তন করবেন মোদি। পাশাপাশি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বদলেরও সম্ভাবনা। অসমের ভোট বিশ্লেষণ করে বিজেপি দেখেছে অসমে হিন্দু ভোট প্রায় সম্পূর্ণ তাদের ঝুলিতে এসেছে। শুধু অসমিয়া হিন্দু নয়, বাঙালি হিন্দু ভোটের সিংহভাগ অংশই পেয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মোদি এবং অমিত শাহ কোনও রাজ্যে চরম সাফল্য পেলেন হিন্দুত্ব কার্ডের মাধ্যমে। উন্নয়নের স্লোগান অসমে ছিলই। কিন্তু এর আগে দিল্লি, বিহারে মোদির উন্নয়ন স্লোগান কাজ দেয়নি। বিহারে হিন্দুত্ব কার্ড খেলাও হয়। কিন্তু কাজে আসেনি। এবার অসমে অনুপ্রবেশকারী ইস্যুর কারণেই হিন্দুত্ব কার্ড পুরোপুরি সার্থক হয়েছে। পাশাপাশি অসম গণ পরিষদ ও বোড়ো ফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়ে তোলার সিদ্ধান্তও কাজে এসেছে। বাংলায়ও আগামী দিনে অসমের সাফল্যেরই পুনরাবৃত্তি চান মোদি-অমিত শাহ জুটি।

পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/২২

ট্যাগ