লিরার পতন সত্ত্বেও নিজের অর্থনৈতিক নীতি সমর্থন করলেন এরদোগান
(last modified Thu, 25 Nov 2021 05:55:56 GMT )
নভেম্বর ২৫, ২০২১ ১১:৫৫ Asia/Dhaka
  • গত ২২ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধে’ জয়ী হওয়ার অঙ্গীকার করেন এরদোগান
    গত ২২ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধে’ জয়ী হওয়ার অঙ্গীকার করেন এরদোগান

তুরস্কে ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি ও স্থানীয় মুদ্রা লিরার নজিরবিহীন পতনের জের ধরে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান তার সরকারের অর্থনৈতিক নীতি সমর্থন করে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এক বক্তৃতায় দাবি করেন, সরকারের অর্থনৈতিক নীতির কারণে চলমান পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

তিনি মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি স্বীকার করে দাবি করেন, লিরার পতন থেকে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশে পুজি বিনিয়োগ, উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়বে।

এরদোগান তুরস্কের চলমান সংকটকে একটি ‘মুক্তিকামী অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেন এবং এ যুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য ও জনগণের সমর্থন নিয়ে জয়ী হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

তার সরকারের গৃহিত অর্থনৈতিক পদক্ষেপগুলোর সমালোচকদের প্রতি ইঙ্গিত করে এরদোগান বলেন, বিদেশনির্ভর কথিত অর্থনীতিদরা যেসব পরামর্শ দেয় তা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, তাদের প্রদর্শিত নীতি গ্রহণ করলে দেশ দুর্বল হয়ে পড়বে এবং জনগণের মধ্যে বেকারত্ব, দারিদ্র ও ক্ষুধা বাড়বে।

অনেকে মনে করেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় উচ্চ সুদের হার মুদ্রাস্ফীতি ঘটায় বলে এরদোগানের যে ধারনা রয়েছে তা থেকে গৃহিত নীতির কারণে সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় লিরার নজিরবিহীন পতন হয়েছে।  

তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ১৮ নভেম্বর এক নির্দেশে সুদের হার ১৬% থেকে কমিয়ে ১৫% নির্ধারণ করে। এর ফলে লিরার পতন শুরু হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট এরদোগান ২২ নভেম্বর এক বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন। তিনি বলেন, যেসব সুযোগ সন্ধানী ভয়ঙ্করভাবে দাম বৃদ্ধি করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তিনি বদ্ধপরিকর। এর্দোগানের এ বক্তব্যের পর লিরার পতন ত্বরান্বিত হয় এবং ২৩ নভেম্বর প্রতি ডলারের বিপরীতে লিরার দাম ১২.৬৮ এককে নেমে আসে। ফলে মাত্র একদিনের ব্যবধানে লিরার মুদ্রামান ১০ শতাংশ কমে যায়।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।