অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার মামলায় সু চির চার বছরের জেল
মিয়ানমারের সেনা নিয়ন্ত্রিত একটি আদালত দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রেখে রপ্তানি-আমদানি আইন লঙ্ঘন এবং সিগন্যাল জ্যামার বসানোর দায়ে তাকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ‘গণ অসন্তোষে উসকানি’ এবং ‘কোভিডবিধি ভাঙার’ অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে তাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অভ্যুত্থান নেতা মিন অং হ্লাইং তার অর্ধেক সাজা ক্ষমা করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, গৃহবন্দি থেকে তাকে সাজা ভোগ করতে হবে।
৭৬ বছর বয়সী অংসান সু চির বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন মামলা বিচারাধীন। সবগুলোর রায় হলে তার ১০০ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দেশটির সাবেক এই স্টেট কাউন্সিলর।
২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সু চির পপুলার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ভূমিধস বিজয় অর্জন করে। সামরিক বাহিনীর অভিযোগ, ভোটে জালিয়াতি করে তার দলকে বিজয়ী করা হয়েছে। এরপর ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির দল এনএলডি সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। গ্রেফতার করা হয় সু চিকে।
অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ বিক্ষোভকারী।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো শুরু থেকেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে আসছে।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।