বিক্রমাসিংহকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নেননি বিক্ষোভকারীরা
কলম্বোতে বিক্ষোভকারীদের শিবিরে সেনা অভিযান, গ্রেফতার শতাধিক
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের প্রধান শিবিরে অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই অভিযান চালানো হলো।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) শপথ নেওয়ার পর পরই রনিল বলেছিলেন, সরকারি কোনো ভবন দখল নেওয়া কিংবা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা গণতান্ত্রিক কার্যক্রম নয়। এ ধরনের কোনো কিছু করা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তার এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর অর্থাৎ শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে শত শত সেনা ও পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) কমান্ডোরা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কাছে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হন এবং শিবিরটি খালি করে ফেলে। বিক্ষোভকারীরা যেসব তাবুতে থাকতেন সেগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। এক ঘণ্টার ওই অভিযানে সাংবাদিকসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত ও শতাধিক বিক্ষোভকারী গ্রেফতার হয়েছেন।
বিক্ষোভের মুখে গত মে মাসে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। এরপর সংসদে মাত্র একটি আসন থাকা ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসান মাহিন্দার ছোট ভাই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপোকসে। তাতে জনরোষ কমেনি। তুমুল বিক্ষোভের মুখে গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে প্রথমে মালদ্বীপ ও পরে সিঙ্গাপুরে যান গোতাবায়া।
সেখান থেকে ১৪ জুলাই পদত্যাগপত্র পাঠান গোতাবায়া রাজাপোকসে। এরপর সংবিধান অনুসারে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট থাকার সময় সোমবার থেকেই শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা চলছে।
ছয়বার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েও কোনোবারই মেয়াদ শেষ করতে না পারা রনিল বিক্রমাসিংহে বুধবার দেশটির পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে তিনি ভোট পেয়েছেন ১৩৪টি। যদিও বিক্ষোভকারীরা তাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নেননি। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের জন্য বিক্রমাসিংহকে আংশিকভাবে দায়ী করে তাকেও ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। #
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।