ফ্রান্সে সেক্যুলারিজমের নামে হিজাব বিরোধী তৎপরতা
হিজাব না খোলায় মুসলিম ছাত্রীদের স্কুল থেকে বহিষ্কার
ফ্রান্স সরকারের নির্দেশ মেনে হিজাব খুলে ফেলতে অস্বীকার করায় দেশটির সরকারি স্কুলগুলো থেকে বহু মুসলিম ছাত্রীকে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
ফ্রান্স সরকার গত মাসে ঘোষণা করে, দেশটির সরকারি স্কুলগুলোতে হিজাব ও কামিজ নিষিদ্ধ করা হলো। প্যারিস দাবি করে, এসব পোশাক দেশটির সেক্যুলার আইনের পরিপন্থি। যখন এ ঘোষণা দেয়া হয় তখন ফ্রান্সে গ্রীষ্মের ছুটি চলছিল।
গত সোমবার ছুটে শেষে স্কুল খুললে ফ্রান্সের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সি ২৯৮ জন মুসলিম ছাত্রীকে তাদের হিজাব খুলে ফেলার নির্দেশ দেন। প্যারিসের সরকারি পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, স্কুল শিক্ষকদের নির্দেশ মেনে বেশিরভাগ মুসলিম ছাত্রী তাদের হিজাব খুলে ফেললেও কয়েক ডজন ছাত্রী ওই নির্দেশ পালনে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে শিক্ষকরা তাদেরকে স্কুল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
ফ্রান্সের শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল বিএফএম চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, যেসব তরুণী তাদের পোশাক পরিবর্তন করতে সম্মত হয়নি তাদের অভিভাবকদের কাছে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে যে, “সেক্যুলারিজম কোনো প্রতিবন্ধকতা নয় বরং এটি একটি স্বাধীনতা।” তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এসব ছাত্রীকে যদি আবার হিজাব পরিহিত অবস্থায় স্কুলে দেখা যায় তাহলে তাদের সঙ্গে ‘ভিন্ন ভাষায়’ কথা বলা হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন গত সোমবার স্কুল খোলার দিন হিজাব নিষিদ্ধ করার নির্দেশকে সমর্থন করে বলেন, তার দেশের কিছু ‘সংখ্যালঘু’ ধর্মের নামে দেশের সেক্যুলার আইনকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়।#
পার্সটুডে/এমএমআই/৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।