কোহেনের সাথে বৈঠকের কথা অস্বীকার করলেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ভর করে পাকিস্তান ও ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের ওপর’
পাকিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নির্ভর করে পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থ এবং ফিলিস্তিনিদের স্বার্থের ওপর। ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনের সঙ্গে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম বার্ষিক অধিবেশনের অবকাশে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেছেন বলে যে খবর বেরিয়েছে তাও তিনি অস্বীকার করেছেন।
গত শুক্রবার কোহেন দাবি করেন, তেল আবিব যদি সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে তাহলে মুসলিম বিশ্বের আরো ছয় থেকে সাতটি দেশ ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করবে। এর আগে ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় দাবি করেন, ইসরাইল এবং সৌদি আরব সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গ ধরে এলি কোহেন বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে শান্তির অর্থ হলো বৃহত্তর মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে শান্তি।
সৌদি আরব ছাড়া অন্য কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি তবে তিনি বলেছেন, এই ছয়/সাতটি দেশের অবস্থান আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশ। পরে তিনি আরো বলেন, এর মধ্যে কয়েকটি দেশ সরাসরি তার সাথে যোগাযোগ রাখছে। এলি কোহেনের বক্তব্যের সূত্র ধরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেননি।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরবের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আমেরিকার ফক্স নিউজ টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছেন, তারা ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা করছেন এবং বিষয়টি থেমে নেই। তবে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকার স্বীকার করেই কেবল ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে।
ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি মারাত্মকভাবে পাল্টে যাবে বলে মনে করা হয়। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি সম্প্রতি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা সফল হওয়ার সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না।#
পার্সটুডে/এসআইবি/২৫