গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধে
জরুরি বিশ্ব সম্মেলন ডাকতে আমেরিকার প্রতি চীনের আহ্বান
গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধে জরুরি বিশ্ব সম্মেলন ডাকার আহ্বান জানিয়েছে চীন। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আজ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ওই আহ্বান জানান।
ই বলেছেন গাজায় বেসামরিক লোকজনের জন্য ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনে-এমন যে-কোনো সামরিক হামলার বিরোধী চীন। তিনি এর আগেও বলেছিলেন: গাজায় ইসরাইলি হামলা 'আত্মরক্ষামূলক অভিযানের' সীমা ছেড়ে গেছে। সেখানে এখন বংশনিধন অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা। ই বলেন: নিরীহ মানুষের জীবনের মূল্যে নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষা করা ঠিক নয়। সামরিক পন্থায় কোনো কিছু যে অর্জিত হয় না তা্ নয় বরং উল্টো দুষ্ট চক্রেরও জন্ম দেয়। সে কারণেই চীন গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধে জরুরি বিশ্ব সম্মেলন ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক লি ওন টি এ সম্পর্কে বলেছেন: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন গাজায় ইহুদিবাদী হামলা দমনে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশ্বশক্তি এখন পাশ্চাত্য থেকে প্রাচ্যের দিকে মোড় নিচ্ছে। সুতরাং চীনের কাছ থেকে অবশ্যই বিশ্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রত্যাশা করে। তাই চীনের উচিত গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার অবসান ঘটাতে আমেরিকার জন্য অপেক্ষা না করা।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করেন বিশ্ব বৈঠক আয়োজনে জাতিসংঘকে সকল দেশের সহযোগিতা করা উচিত এবং নিরাপত্তা পরিষদকে তার ভূমিকা পালনে সহায়তা করা উচিত। এ বিষয়ে অবশ্যই বিশ্ব সমাজ সহায়তা করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গাজায় ইসরাইলি বর্বর হামলার ১০ দিন কেটে গেছে। এরইমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার সমর্থনে এবং ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে ইসরাইলি দখলমুক্ত করারও দাবি জানিয়েছে। পশ্চিমাদের সহায়তায় গাজায় ইসরাইলি বংশ নিধন অভিযান প্রমাণ করছে তাদের মানবাধিকারের মিথ্যা ও অর্থহীন দাবির সঙ্গে এই গণহত্যা মোটেও মেলে না।
বিশিষ্ট রাজনীতি বিশ্লেষক আলি খাজায়ি বলেছেন: চীনের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলোর উচিত ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসা। একটি বিশ্ব সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে নিরীহ মানুষ হত্যার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। আমেরিকা যদিও যুদ্ধবিরতিতে বাধা দেবে তবুও চীন নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার ক্ষমতা রাখে। আমেরিকা কখনোই ইসরাইলের বিরুদ্ধে যাবে না এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষেও কথা বলবে না। সুতরাং অপেক্ষায় বসে থাকা নিষ্প্রয়োজন বলে এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন।#
পার্সটুডে/এনএম/১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।