ইয়েমেন সেনাবাহিনীর হুমকির মুখে
ইসরাইল থেকে এবং ইসরাইল অভিমুখে জাহাজ চালানো বন্ধ করল ওওসিএল
-
হংকং-ভিত্তিক চীনা শিপিং কোম্পানি ওওসিএল
এবার হংকং-ভিত্তিক চীনা শিপিং কোম্পানি ওরিয়েন্ট ওভারসিস কন্টেইনার লাইন বা ওওসিএল ইহুদিবাদী ইসরাইল অভিমুখী তার সকল কার্গো জাহাজ বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ইসরাইল অভিমুখী যেকোনো জাহাজে হামলা চালানোর যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দিল চীনা জাহাজ কোম্পানিটি।
ইয়েমেনের সেনাবাহিনী দেশটির উপকূলে ইসরাইলগামী দু’টি কন্টেইনার জাহাজে হামলা চালানোর দু’দিন পর রোববার ওওসিএল এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ইসরাইল থেকে এবং ইসরাইল অভিমুখে কোনো জাহাজ পরিচালনা করবে না ওওসিএল।”
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বর্বরতার প্রতিবাদে গত কয়েক সপ্তাহে ইসরাইল অভিমুখী বেশ কয়েকটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী। ইয়েমেন বলেছে, যতদিন গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ চলবে ততদিন এরকম হামলাও অব্যাহত থাকবে। দেশটির সেনাবাহিনী আরো বলেছে, যেসব জাহাজ ইসরাইলের কোনো বন্দরে যাবে না সেসব জাহাজের কোনো ক্ষতি করা হবে না।
ইয়েমেনের হামলার ভয়ে এরইমধ্যে ইসরাইলের মালিকানাধীন জাহাজগুলো লোহিত সাগর ও বাব আল-মান্দাব প্রণালি এড়িয়ে বিকল্প ব্যয়বহুল রুট বেছে নিয়েছে।
সম্প্রতি ইসরাইলি নৌবাহিনীর সাবেক কমান্ডার এলিজার মারুম বলেন, ইসরাইলের শতকরা ৯৫ ভাগ আমদানি রপ্তানি লোহিত সাগরের মাধ্যমে হয়। “কাজেই ইয়েমেন কার্যত আমাদের বিরুদ্ধে নৌ অবরোধ আরোপ করেছে।”
লোহিত সাগর এড়িয়ে চলতে হলে ইসরাইল অভিমুখী যেকোনো জাহাজকে পুরো আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে ১৩,০০০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিয়ে ইসরাইলে পৌঁছাতে হবে।
চীনা কোম্পানিটির আগে শুক্রবার প্রথমবারের মতো বিশ্বের দু’টি বৃহৎ শিপিং কোম্পানি লোহিত সাগর দিয়ে তাদের পণ্য পরিবহন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে। ড্যানিশ কোম্পানি মার্স্ক এবং জার্মান কোম্পানি হ্যাপাগ-লয়েড পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত লোহিত সাগর থেকে জাহাজ না চালানোর সিদ্ধান্ত জানায়। এরপর শনিবার সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম জাহাজ চলাচলকারী প্রতিষ্ঠান মেডিটেরিনিয়ান শিপিং কোম্পানি বা এমএসসি এবং ফ্রান্সের সিএমএ সিজিএম একই ঘোষণা দিয়েছে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।