পিএমএল-এন, পিপিপি রাজনৈতিক সমঝোতার ফসল
রেকর্ড গড়ে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হলেন জারদারি
পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি’র উপ প্রধান আসিফ আলী জারদারি দ্বিতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ৪১১ ভোট পেয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
ভোটে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পিকেএমএপি’র চেয়ারম্যান মেহমুদ খান আচাকজাই। তিনি মাত্র ১৮১ ভোট পেয়েছেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এর আগে অন্য কোনো প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হননি। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন আসিফ আলী জারদারি।
পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা গতকাল (শনিবার) গোপন ব্যালটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন। দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট, নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ এবং পাঞ্জাব, সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখাওয়া ছাড়া সবকটি প্রাদেশিক পরিষদে পরাজিত হন আচাকজাই।
পাকিস্তানে গতমাসে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন তেহরিকে ইনসাফ পাকিস্তান বা পিটিআই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি এক সমঝোতার মাধ্যমে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়।
সমঝোতা অনুযায়ী এর আগে পিএমনএল-এন নেতা শেহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হন এবং এবার অপর দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হলো। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ফলে জারদারিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
আসিফ আলী জারদারি পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোর বাবা এবং পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী। তিনি এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ১১তম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। এবার তিনি ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।
এদিকে পরাজিত হলেও তার প্রার্থীতার প্রতি সমর্থন দেয়ার জন্য পিটিআইকে ধন্যবাদ জানান আচাকজাই। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ইসলামাবাদে শনিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এবারের নির্বাচনের সবচেয়ে অস্বাভাবিক বিষয়টি ঘটেছে আজ। এই প্রথম কোনো ভোট কেনাবেচা হয়নি।”#
পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/১০