আফ্রিকাকে ঔপনিবেশিক ক্ষতিপূরণ দিতে জার্মানির ওপর চাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন
(last modified Mon, 05 Aug 2024 13:35:08 GMT )
আগস্ট ০৫, ২০২৪ ১৯:৩৫ Asia/Dhaka
  • আফ্রিকাকে ঔপনিবেশিক ক্ষতিপূরণ দিতে জার্মানির ওপর চাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন
    আফ্রিকাকে ঔপনিবেশিক ক্ষতিপূরণ দিতে জার্মানির ওপর চাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন

পার্সটুডে-দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকার ওহারিরো এবং নামা জনগণের বিরুদ্ধে জার্মান যুদ্ধ (১৯০৪-১৯০৮) ছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথম গণহত্যার কারণ। ওই যুদ্ধে প্রায় ৭৫ হাজার আফ্রিকান নিহত হয়েছিল।

ঔপনিবেশিক যুগে জার্মানি ছিল অন্যতম প্রধান এবং নির্মম শক্তি। যার ইতিহাস অন্যান্য সাম্রাজ্যবাদীদের মতই সুপরিচিত নয়। নতুন বই "The Long Shadow of German Colonialism: Amnesia, Denialism and Revisionism" জার্মান উপনিবেশবাদের দীর্ঘ ছায়া: অ্যামনেসিয়া, অস্বীকৃতিবাদ এবং সংশোধনবাদ'য়ে জার্মান ঔপনিবেশিকতার ইতিহাস, জার্মান সমাজ, রাজনীতি এবং মিডিয়ার ওপর এর প্রভাব ইত্যাদি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। 

বইটির লেখক হেনিঙ মেলবার এই ইতিহাস এবং তার পরবর্তীকালের ওপর দৃষ্টি আবদ্ধ করেছেন। পার্সটুডের এই নিবন্ধে সেইসব বিষয় পর্যালোচনা করবো।

হত্যাকাণ্ড চর্চা

ঔপনিবেশিক শক্তি হিসেবে জার্মানি দেরিতে আফ্রিকায় ঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করে। ঔপনিবেশিকতায় এই দেশের প্রবেশ শুরু হয়েছিল সন্দেহজনক চুক্তির মাধ্যমে এবং আফ্রিকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল-বর্তমান নামিবিয়া-ক্যামেরুন এবং টোগো ১৮৮৪ সালে জার্মানি লুণ্ঠন করেছিল।

জার্মান ঔপনিবেশিকতা ছিল ধ্বংস ও সহিংসতাপূর্ণ। পূর্ব আফ্রিকার জনগণের বিরুদ্ধে নৃশংস যুদ্ধ (১৮৯০-১৮৯৮) এই ঔপনিবেশিকতার বর্বরতা দেখিয়ে দিয়েছিল। যুদ্ধটি জার্মান ঔপনিবেশিক সেনা অফিসারদের একটি নতুন প্রজন্মের জন্য প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রও তৈরি করেছিল। তারা তাদের নৃশংসতার দক্ষতা অন্যান্য এলাকায়ও প্রয়োগ করেছিল।

ক্ষতিপূরণ দিতে হবে

জার্মান ঔপনিবেশিকতা শুধু ইতিহাসের একটি বন্ধ অধ্যায়ই নয় বরং একটি অমীমাংসিত সমস্যাও বটে। যেমনটি আমেরিকার লেখক "উইলিয়াম ফকনার" লিখেছেন: অতীত কখনও মৃত নয়, এমনকি এটি অতীতও নয়।

অতএব, ঔপনিবেশিকতার কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ এবং পশ্চিমা মানবাধিকারের দাবি, সেইসাথে বিশ্বের উন্নয়ন থেকে উপনিবেশ কবলিত দেশগুলির পশ্চাদপদতার ফলাফল বিবেচনা করে, জার্মানির উচিত দ্রুত এবং সম্পূর্ণ দায়িত্বের সাথে ঔপনিবেশিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।#

পার্সটুডে/এনএম/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের  ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।`

ট্যাগ