অভিবাসন-বিরোধীদের দমন করে কি আমেরিকার অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে?
https://parstoday.ir/bn/news/world-i149782-অভিবাসন_বিরোধীদের_দমন_করে_কি_আমেরিকার_অর্থনৈতিক_সমস্যার_সমাধান_হবে
পার্সটুডে-অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দমনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট লস অ্যাঞ্জেলেসে ২,০০০ সেনা পাঠিয়েছেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুন ০৮, ২০২৫ ১৬:২১ Asia/Dhaka
  • ভিবাসন-বিরোধী দমন বাহিনী পাঠিয়ে কি আমেরিকার জনগণের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে?
    ভিবাসন-বিরোধী দমন বাহিনী পাঠিয়ে কি আমেরিকার জনগণের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে?

পার্সটুডে-অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দমনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট লস অ্যাঞ্জেলেসে ২,০০০ সেনা পাঠিয়েছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি কঠোর নীতি গ্রহণ করেছেন। অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ রোধ করতে এবং আমেরিকার মাটি থেকে তাদের গণহারে বের করে দিতে কঠোর নিয়মকানুন বাস্তবায়নের জন্য তাদেরকে "দানব" এবং "প্রাণী" বলে অভিহিত করেছেন! মেহের নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের আশেপাশের এলাকায় অভিবাসন বিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তীব্র হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই শহরে ২০০০ সেনা পাঠিয়েছেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানা দ্বিতীয় রাতের মতো বিক্ষোভ শুরু হওয়ার সাথে সাথে, লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি পাড়ায় ফেডারেল বাহিনী বিক্ষুব্ধ জনতার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযানের মাঝে একটি মহাসড়কের কিছু অংশ অবরোধ করে। প্যারামাউন্ট সিটিতে বিক্ষোভকারীরা 'হোম ডিপো' নামের একটি খুচরা দোকানের কাছে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য এবং অনলাইনে পোস্ট করা ছবি ও ভিডিও অনুযায়ী ফেডারেল এজেন্টরা মুখোশ পরে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে এবং সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।  

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ হলো, ট্রাম্প অভিবাসনকে আমেরিকার নিরাপত্তা এবং চাকরির জন্য হুমকি হিসেবে মনে করেন। সেজন্যই তিনি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণ করেছেন। তবে আমেরিকার অর্থনৈতিক সমস্যার মূল কারণ অভিবাসী নয় বরং প্রযুক্তিগত পরিবর্তন এবং পুঁজিবাদী কাঠামো। প্রকৃতপক্ষে অভিবাসীরা সর্বদা আমেরিকার অর্থনীতি এবং সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অভিবাসন সীমিত করা আমেরিকার প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ABC News/Washington Post/Ipsos-এর মতো সংস্থাগুলোর জরিপে আরও দেখা গেছে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে কঠোর অভিবাসন নীতির প্রতি সমর্থন হ্রাস পেয়ে ৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে। পক্ষান্তরে, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী, কর প্রদানকারী এবং কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড নেই এমন অভিবাসীদের বহিষ্কারের বিরোধিতা করেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ (শতকরা ৫৫%) ভাগ মার্কিন জনগণ।#

পার্সটুডে//এনএম/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।