গণহত্যার স্থপতি আমেরিকা; তারা মানবাধিকারের দাবি করলেও তারাই প্রধান অপরাধী
https://parstoday.ir/bn/news/world-i153698-গণহত্যার_স্থপতি_আমেরিকা_তারা_মানবাধিকারের_দাবি_করলেও_তারাই_প্রধান_অপরাধী
পার্সটুডে- আলবানজের কঠোর প্রতিবেদন আমেরিকার গোপন মুখোশ উন্মোচিত করেছে; যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যে মানবাধিকার রক্ষা করার পরিবর্তে উল্টো গাজায় গণহত্যার প্রধান অংশীদার হয়েছে।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
নভেম্বর ০৪, ২০২৫ ১৫:৪৩ Asia/Dhaka
  • •	গণহত্যার স্থপতি আমেরিকা
    • গণহত্যার স্থপতি আমেরিকা

পার্সটুডে- আলবানজের কঠোর প্রতিবেদন আমেরিকার গোপন মুখোশ উন্মোচিত করেছে; যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যে মানবাধিকার রক্ষা করার পরিবর্তে উল্টো গাজায় গণহত্যার প্রধান অংশীদার হয়েছে।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানজে অক্টোবরের শেষে গাজায় গণহত্যায় অনেক দেশের জড়িত থাকার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন। পার্সটুডে জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে জাতিসংঘে যোগ দিতে না পেরে তিনি ভার্চুয়ালি তার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন। আল জাজিরার মতে, এই বিশেষজ্ঞের ২৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে গাজা "গণহত্যায়" ৬৩টি দেশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আল জাজিরা জানিয়েছে: "দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্রান্সেসকা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তার সর্বশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন।" তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখিত দেশগুলির সমালোচনা করে বলেন: 'গণহত্যার ক্রমবর্ধমান প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও, তারা ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে চলেছে। গণহত্যার সহযোগীদের মধ্যে আমেরিকা, জার্মানি এবং ব্রিটেন অগ্রভাগে রয়েছে।'

এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা স্বীকার করে তিনি মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তির মাধ্যমে আরব ও মুসলিম দেশগুলির প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।

ইসরায়েল-বিরোধী আন্দোলননকারীদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো কঠোর পদক্ষেপের মুখে জাতিসংঘের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে আলবানিজ বলেন: 'ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করার জন্য এই বছরের শুরুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যেতে বাধা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘বিপজ্জনক নজির' স্থাপন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ জাতিসংঘের নিজস্ব নীতি, এর স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং এর চেতনার উপর আক্রমণ। যদি এ ধরণের নিষেধাজ্ঞাগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নেয়া হয়, তাহলে বহুপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থার কফিনে আরেকটি পেরেক ঠুকে দেওয়া হবে।"  

'মিডল ইস্ট' ওয়েব সাই্টে আলবানিজের প্রতিবেদনের একটি আকর্ষণীয় অংশ তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, "ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত জাতিসংঘের বিশেষ দূতকে 'যাদুকর' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।" তিনি ওই প্রতিবেদনকে মন্ত্রের বই বলে অভিহিত করেছেন এবং এই প্রতিবেদনের প্রতিটি পৃষ্ঠাকে ইসরায়েলকে অভিশাপ দেওয়ার জন্য একটি মন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন! "

তবে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের এই সমালোচনা সত্ত্বেও, আলবানজে শান্ত ছিলেন এবং তিনি বলেছেন, "এটা অদ্ভুত যে গণহত্যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার অনুসন্ধানকে সম্মান দিতে পারেনি এবং সে আমাকে জাদুকর বলে অভিহিত করেছে। যদি আমার সত্যিই মন্ত্র করার ক্ষমতা থাকত, তাহলে আমি প্রতিশোধের জন্য এটি ব্যবহার করতাম না, বরং আপনার অপরাধগুলি চিরতরে বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতাম।"#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।