এশিয়ার অর্থনীতি | দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জ্বালানি খাতে চীন এখন প্রভাবশালী খেলোয়াড়
https://parstoday.ir/bn/news/world-i154148-এশিয়ার_অর্থনীতি_দক্ষিণ_পূর্ব_এশিয়ার_জ্বালানি_খাতে_চীন_এখন_প্রভাবশালী_খেলোয়াড়
পার্সটুডে- 'ফরেন পলিসি' সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জ্বালানি খাতে চীন এখন প্রভাবশালী খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে। চীন দ্রুত গতিতে দেশটির অভ্যন্তরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সক্ষমতা বাড়িয়েছে। এ বছর দেশটির নবায়নযোগ্য প্রযুক্তি রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে- যা থেকে এটা স্পষ্ট যে, বেইজিং ধীরে ধীরে বৈশ্বিক পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হচ্ছে।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
নভেম্বর ১৭, ২০২৫ ১৮:৫৭ Asia/Dhaka
  • এশিয়ার অর্থনীতি | দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জ্বালানি খাতে চীন এখন প্রভাবশালী খেলোয়াড়
    এশিয়ার অর্থনীতি | দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জ্বালানি খাতে চীন এখন প্রভাবশালী খেলোয়াড়

পার্সটুডে- 'ফরেন পলিসি' সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জ্বালানি খাতে চীন এখন প্রভাবশালী খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে। চীন দ্রুত গতিতে দেশটির অভ্যন্তরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সক্ষমতা বাড়িয়েছে। এ বছর দেশটির নবায়নযোগ্য প্রযুক্তি রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে- যা থেকে এটা স্পষ্ট যে, বেইজিং ধীরে ধীরে বৈশ্বিক পরিচ্ছন্ন জ্বালানি সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হচ্ছে।

জলবিদ্যুৎ খাতেও চীন বিশাল নির্মাণক্ষমতা ও আধুনিক প্রযুক্তির ওপর ভর করে আসিয়ান অঞ্চলে বাঁধ-নির্মাণের প্রধান ঠিকাদার হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন উৎসের তথ্য, সরকারি নথি এবং সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৪ সাল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শুরু হওয়া নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর প্রায় অর্ধেকই চীনা কোম্পানির অংশীদারিত্বে নির্মিত।

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের বাণিজ্যিক সীমাবদ্ধতার বিরুদ্ধে চীনের সতর্কবার্তা

ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে চীনা প্রতিনিধিরা সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কসহ পশ্চিমা বিশ্বের বাণিজ্যিক সীমাবদ্ধতা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদক্ষেপগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর লক্ষ্য অর্জন ও সবুজ প্রযুক্তির অগ্রগতির পথে বড় বাধা তৈরি করছে।

জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেওয়া চীনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টার আরও বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের একতরফা পদক্ষেপের কারণে বিশ্বব্যাপী সবুজ প্রযুক্তিপণ্যের প্রসারের খরচ বেড়ে যাচ্ছে এবং বৈশ্বিক সবুজায়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাদের সতর্কবার্তা হলো- এই পদক্ষেপগুলো কার্বন নির্গমন কমানোর বদলে পারস্পরিক আস্থাহীনতা বাড়াচ্ছে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে।

চীনের পরিবেশবিষয়ক অর্থনীতিবিদ ওয়াং ই বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো চীনের সঙ্গে আচরণে সুস্পষ্ট এক দ্বন্দ্বে ভুগছে—একদিকে তারা চায় চীন দ্রুত নির্গমন কমাক, অন্যদিকে, শুল্কসহ বিধিনিষেধ আরোপ করে চীনের সবুজ প্রযুক্তি উৎপাদন ও রপ্তানির অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করছে।

চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমে আসছে

২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি স্থায়ী সম্পদ বিনিয়োগ, শিল্প উৎপাদন এবং পারিবারিক ব্যয়—এই তিন ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য হ্রাসের মুখে পড়েছে; যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়ার সংকেত দিচ্ছে। বছরের শেষ প্রান্তিকে প্রবেশের পর অর্থনৈতিক শ্লথগতি আরও তীব্র হয়েছে এবং বিভিন্ন পরিসংখ্যান স্থায়ী সম্পদ বিনিয়োগ, শিল্প কার্যক্রম এবং ভোগ্যপণ্যের ব্যয় হ্রাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই পরিসংখ্যান এমন এক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরে, যা কয়েক মাসের দুর্বল প্রবৃদ্ধির পর আবারো চাঙ্গা হতে সংগ্রাম করছে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে স্থায়ী সম্পদ বিনিয়োগ ১.৭ শতাংশ কমেছে—যা এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র পতন।#

 

পার্সটুডে/এসএ/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।