ব্রিকস বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন এনেছে
https://parstoday.ir/bn/news/world-i155118-ব্রিকস_বিশ্ব_অর্থনীতির_ক্ষমতার_ভারসাম্যে_পরিবর্তন_এনেছে
পার্সটুডে: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারীরা মনে করেন- ব্রিকস বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটিয়েছে।
(last modified 2025-12-15T13:33:54+00:00 )
ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ ১৬:৫১ Asia/Dhaka
  • ব্রিকস বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন এনেছে

পার্সটুডে: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারীরা মনে করেন- ব্রিকস বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন ঘটিয়েছে।

বিভিন্ন দেশের ব্রিকসে যোগদানের আগ্রহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই প্রতিবেদনে পার্সটুডে সেই মতামতগুলোর একটি পর্যালোচনা তুলে ধরেছে।

ইরানি এক্স ব্যবহারকারী 'পুরিয়া এস্তারাকি' ব্রিকসের মূল লক্ষ্য হিসেবে লেনদেনে ডলারের ব্যবহার কমানো এবং অন্যান্য মুদ্রাকে তার বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন: "ডলার লেনদেনের মুদ্রা ও বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে। ব্রিকসের মিশনই হলো—লেনদেনে ডলারের ব্যবহার হ্রাস করা এবং অন্যান্য মুদ্রার বিকল্প তৈরি করা।"

এ প্রসঙ্গে, অ্যাঞ্জেলোস ট্যান্টি নামের এক্স ব্যবহারকারী ব্রিকসকে যুক্তরাষ্ট্রকে দুর্বল করার একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি লিখেন: "ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো যদি তেলের মূল্য নির্ধারণে একটি বৈশ্বিক মুদ্রা ব্যবহার করে অর্থাৎ 'ব্রিকসের মুদ্রা'—তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুতর সমস্যায় ফেলবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা যথেষ্ট বড় নয় এবং যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রিকস দেশগুলো এই কাজটি করতে সক্ষম এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভ মুদ্রার যুগের অবসান ও তার প্রভাবের বড় ধরনের অবনতি ঘটবে।"

"রিকার্ডো চামোরো ডেলমো" নামে এক্স ব্যবহারকারী ব্রিক্স সদস্য দেশগুলোর অগ্রগতিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুর্বলতার কারণ হিসেবে দেখেছেন।

তিনি লিখেন: "ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর অগ্রগতির ফলে ইউরোপ দুর্বল হয়ে পড়ছে। সমাজতন্ত্রের বিকল্পগুলোর উত্থান প্রমাণ করে যে, আমাদের মহাদেশে অবিলম্বে একটি বাস্তব রাজনৈতিক পরিবর্তন প্রয়োজন। যদি আমরা প্রতিক্রিয়া না দেখাই, তবে আমরা সরাসরি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাব।"

একইভাবে, এক্সের আরেক সক্রিয় ব্যবহারকারী গ্লেন ডিজেন ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধকে ব্রিকসে যোগদানের প্রতি দেশগুলোর আগ্রহ বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করেন।

তিনি লিখেছেন: "ট্রাম্প দাবি করেন যে তার শুল্ক আরোপের হুমকির জবাবে “সবাই” ব্রিকস ছেড়ে দিয়েছে। বাস্তবে কেউই ব্রিকস ছাড়েনি; বরং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চাপ দেশগুলোকে আমেরিকা থেকে দূরে সরে যেতে উৎসাহিত করেছে।"

এ প্রসঙ্গে, স্প্যানিশ এক্স ব্যবহারকারী গিয়ের্মো রোকাফোর্ত তার দেশের নেতাদের ব্রিকসে যোগদানের পরামর্শ দেন।

তিনি লিখেন: "ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে ব্রিকস-এ যোগ দিন; স্পেনকে আবার মহান করে তুলুন।"#

পার্সটুডে/এমএআর/১৫