যৌথ ঘোষণা ছাড়াই সিরিয়া বিষয়ক লোজান বৈঠক শেষ
সিরিয়ার চলমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে সুইজারল্যান্ডের লোজান শহরে অনুষ্ঠিত বহুজাতিক আলোচনা কোনো ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির আমন্ত্রণে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে রাশিয়া, ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, কাতার, তুরস্ক, জর্দান ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পাশাপাশি জাতিসংঘের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত স্ট্যাফান ডি মিস্তুরা উপস্থিত ছিলেন।
চার ঘন্টাব্যাপী বৈঠক শেষে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সাংবাদিকদের জানান, অংশগ্রহণকারী দেশগুলো অদূর ভবিষ্যত আবার সিরিয়া বিষয়ক আলোচনায় মিলিত হতে সম্মত হয়েছে। বৈঠকে বেশ কিছু ‘আকর্ষণীয় প্রস্তাব’ উত্থাপিত এবং সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তবে লোজান বৈঠকে বিক্ষিপ্ত ও উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। পরবর্তীতে নীচু পর্যায়ের কর্মকর্তারা এ আলোচনা চালিয়ে যাবেন বলে তিনি ঘোষণা করেন। কেরি বলেন, “বৈঠকে কিছু কঠিন সময় এসেছে যেটা ছিল সত্যিকার অর্থে উত্তেজনাপূর্ণ। কিন্তু সেখানে সবার ভূমিকা ছিল গঠনমূলক।”
গতমাসে রুশ-মার্কিন উদ্যোগে সিরিয়ায় একটি যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর এই প্রথম কেরি ও ল্যাভরভ এক টেবিলে বসে আলোচনা করলেন।
লোজান বৈঠক শেষে ইরানের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন জাবেরি আনসারি বলেছেন, শনিবার রাতের বৈঠকের দুই-তৃতীয়াংশ সময় ব্যয় হয়েছে সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসীদের থেকে কথিত ‘মধ্যপন্থি বিরোধী’ গোষ্ঠীগুলোকে আলাদা করার আলোচনায়। এ ছাড়া, গতমাসের যুদ্ধবিরতি ব্যর্থ হওয়ার কারণ এবং আলেপ্পোসহ সিরিয়ার সংঘর্ষপীড়িত অন্যান্য শহরে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আনসারি আরো জানান, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো অচিরেই আবার আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাশিয়া বহুদিন ধরে পশ্চিমা দেশগুলোকে বলে এসেছে, জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো থেকে কথিত মধ্যপন্থিদের বের করে আনতে হবে যাতে সন্ত্রাসীদের উপর রুশ বিমান হামলা চালানো সহজ হয়। পশ্চিমা দেশগুলো সিরিয়ার বাশার আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে এসব মধ্যপন্থিদের সমর্থন দিচ্ছে।
লোজান সম্মেলনের অবকাশে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ তার ইরানি সমকক্ষ মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ ও ইরাকি সমকক্ষ ইব্রাহিম আল-জাফারির সঙ্গে আলাদা আলাদা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন।#
পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/১৬