মুসলিম বিশ্বকে অনিরাপদ করছে ইসরাইল ও দাম্ভিক শক্তিগুলো : আয়াতুল্লাহ কাশানি
(last modified Fri, 01 Sep 2017 12:16:44 GMT )
সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৭ ১৮:১৬ Asia/Dhaka

ইরানের বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ ইমামি কাশানি মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার দিকে যথাযথ দৃষ্টি দিতে মুসলিম সরকার ও জাতিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ (শুক্রবার) তেহরানে মুসলমানদের 'ত্যাগের উৎসব' তথা পবিত্র 'ঈদুল আযহা'র নামাজের খোতবায় তিনি এই আহ্বান জানান।

ইরানের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ কেন্দ্র ও মসজিদ হিসেবে খ্যাত  তেহরানের  ইমাম খোমেনী (র) মোসাল্লায় এই ঈদের জামাত শেষে আয়াতুল্লাহ ইমামি কাশানি বলেন, ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী যেমনটি তার সাম্প্রতিক হজবাণীতে বলেছেন মুসলিম বিশ্বকে সজাগ বা সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে তাদের মধ্যে বিভেদ ও দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছড়িয়ে দেয়া সম্পর্কিত শত্রুদের ষড়যন্ত্রসহ নানা ষড়যন্ত্র সম্পর্কে।

বিশ্বের আধিপত্যকামী দাম্ভিক শক্তিগুলো বিশেষ করে ইহুদিবাদী ইসরাইল মুসলমানদের নিরাপত্তাহীনতা, তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হত্যাযজ্ঞ ও অর্থনৈতিক নানা সংকটের জন্য দায়ী বলে আয়াতুল্লাহ ইমামি কাশানি মন্তব্য করেন। 

মুসলিম জাতিগুলোর অধিকার, নিরাপত্তা, সম্পদ, জীবন ও মর্যাদা রক্ষার জন্য জনগণকেই নিজ নিজ সরকারের কাছে দাবি জানাতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

নিজ নিজ জাতির অধিকার সম্পর্কে কথা বলতে মুসলিম বিশ্বের বুদ্ধিজীবী, জুমার ইমাম ও লেখকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

আয়াতুল্লাহ ইমামি কাশানি এ প্রসঙ্গে বলেছেন: শিক্ষিত সমাজের দায়িত্ব হল ফিলিস্তিন, ইয়েমেন, সিরিয়া ও অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও তার মিত্রদের সৃষ্ট সাম্প্রতিক সংকটগুলো সম্পর্কে কথা বলা এবং সব সরকারকে এসব পরিস্থিতি বোঝাতে হবে।

তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল মুসলিম বিশ্বের আধ্যাত্মিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রসহ সব ক্ষেত্রেই মুসলিম বিশ্বের নিরাপত্তাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

সংবাদ ও গণমাধ্যমগুলো ইহুদিবাদীদের নানা অপরাধ তুলে ধরার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আয়াতুল্লাহ ইমামি কাশানি উল্লেখ করেন।

গতকাল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা  হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী হজ-বাণীতে বলেছেন: মুসলিম বিশ্ব আজ আধ্যাত্মিক ও রাজনৈতিক নিরাপত্তাহীনতার শিকার।এর কারণ হলো আমাদের উদাসীনতা এবং শত্রুদের নির্দয় আক্রমণ। আমরা দুর্নীতিবাজ শত্রুদের আক্রমণ মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে আমাদের দ্বীনি দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করি নি এবং বিচার-বুদ্ধিগুলোকেও সঠিকভাবে কাজে লাগাই নি। আমরা কাফেরদের বিরুদ্ধে আপোষহীন  হওয়ার ও পরস্পরের প্রতি দয়াদ্র হওযার শিক্ষাও ভুলে গেছি। এর পরিণতিতে ইহুদিবাদী শত্রুরা মুসলিম বিশ্ব-ভূগোলের একেবারে হৃদয়ের মাঝে ফেতনা ফাসাদ সৃষ্টি করেই যাচ্ছে।

ফিলিস্তিনিদের মুক্তির ব্যাপারে উদাসীনতার সমালোচনা করে তিনি বলেন:  আমরা সিরিয়ায়, ইরাকে, ইয়েমেনে, লিবিয়ায়, বাহরাইনে গৃহযুদ্ধ এবং পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলা করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে মুসলিম দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ এবং মুসলিম বিশ্বের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ব্যাপক দায়দায়িত্ব রয়েছে। দায়িত্বগুলোর মধ্যে রয়েছে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা, ধর্মীয় ও গোত্রীয় সামগ্রিক নির্যাতন পরিহার করা, সকল মুসলিম দেশ ও জাতিকে শত্রুতার ধরন ও কৌশলগুলোর ব্যাপারে এবং ইহুদিবাদ ও বলদর্পিদের বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাপারে সচেতন করা। #    

পার্সটুডে/এমএএইচ/১

 

ট্যাগ