মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু
(last modified Sat, 16 Feb 2019 11:52:59 GMT )
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯ ১৭:৫২ Asia/Dhaka
  • মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

বিভিন্ন দেশের ৩৫জন নেতা, ৫০ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ৩০ জন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতিতে জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

এই সম্মেলনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের মধ্যে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা ও মতবিনিময়ের সুযোগ এনে দিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফও মিউনিখ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন এবং নিরাপত্তা বিষয়ে ইরানের নীতি অবস্থান ও পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে তিনি বক্তব্য তুলে ধরবেন। ১৯৬৩ সালে প্রথম মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতি বছর এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করা,  আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংকটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরাজমান মতবিরোধ ও সংঘাতের অবসান ঘটানো মিউনিখ সম্মেলন আয়োজনের উদ্দেশ্য।

আমেরিকা পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়ে, সংঘাত সৃষ্টি করে, সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিয়ে এবং জাতিগুলোর মধ্যে শত্রুতা ও বিবাদ বাধিয়ে নিরাপত্তাহীনতা, অস্থিতিশীলতা, দরিদ্রতা ও উগ্রপন্থার ভয়াবহ বিস্তার ঘটিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও স্বীকার করেছেন গত কয়েক দশকে মার্কিন ভুল নীতির কারনে, মধ্যপ্রাচ্যে সাত ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পরও তারা কোনো লক্ষ্যেই পৌঁছতে পারেনি। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও আগের ভুল নীতিই অনুসরণ করে চলেছেন। রাজতন্ত্র শাসিত কয়েকটি আরব দেশের মতো ইরান কখনোই কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র কেনার দিকে ঝুঁকে পড়েনি বরং নিজস্ব মেধা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তুলেছে।

প্রকৃতপক্ষে, সামরিক ক্ষেত্রে ইরানের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন শত্রুর বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে এবং যেকোনো হুমকি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। এ কারণে আমেরিকা অপপ্রচার ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ মিউনিখ সম্মেলনের অবকাশে মার্কিন এনবিসি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছেন, যারা ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরাককে উস্কানি দিয়েছিল তারাই এখন ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধানোর পায়তারা করছে। কিন্তু তাদের এটা বোঝা উচিত ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধানো আত্মহত্যার শামিল।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী তার দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন হুমকি ও ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্রী সরকার ও ইরানি জাতি যদি বৃহৎ শক্তিগুলোকে ভয় পেত এবং পিছু হটত তাহলে আজ ইরান ও ইরানি জাতির কোনো অস্তিত্ব থাকত না।

বাস্তবতা হচ্ছে, ইরান সবসময়ই বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টরা রাশিয়ার সোচিতে আলোচনায় মিলিত হন। যাইহোক, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, যতক্ষণ পর্যন্ত একটি সমাজ শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত প্রয়াস না চালাবে ততদিন পর্যন্ত নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতা চলতেই থাকবে।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৬

 

ট্যাগ