বসনিয়ায় সেব্রেনিৎসা দিবস পালিত; শ্রদ্ধা জানালেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
(last modified Fri, 12 Jul 2019 00:19:38 GMT )
জুলাই ১২, ২০১৯ ০৬:১৯ Asia/Dhaka
  • বৃহস্পতিবার পোটোচারির শোকানুষ্ঠান
    বৃহস্পতিবার পোটোচারির শোকানুষ্ঠান

বসনিয়া হার্জেগোভিনার সেব্রেনিৎসায় মুসলমানদের ওপর বর্বর সার্ব বাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যার ২৪তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) এ উপলক্ষে সেব্রেনিৎসার পোটোচারি কবরস্থানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশটির রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সামরিক ব্যক্তিত্ব, বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, নিহতদের পরিবারবর্গসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

শোকানুষ্ঠানে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট পরিষদের মুসলিম সদস্য শফিক জাফারোভিচ বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাকর বিষয় যে, বসনিয়ার বর্তমান শাসক সেব্রেনিৎসা গণহত্যাকে অস্বীকার করেন। অনুষ্ঠানে বসনিয়ায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ হায়দারি অংশগ্রহণ করেন।

১৯৯৫ সালের ১১ই জুলাই সার্বীয় বাহিনী বসনিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সেব্রেনিৎসা এলাকা দখল করে।  জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষিত হওয়া সত্ত্বেও এবং জাতিসংঘের ডাচ শান্তিরক্ষীদের উপস্থিতিতেই সেব্রেনিৎসায় চালানো হয় নারকীয় গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান।  

এভাবে হতভাগ্য মানুষের লাশ গণকবরে মাটিচাপা দেয় বর্বর সার্ব বাহিনী

সেব্রেনিৎসা দখলের প্রথমদিন থেকেই সার্বীয় বাহিনী স্থানীয় বসনীয় জনগোষ্ঠীর সকল পুরুষকে আলাদা করে নেয়। পরে তাদেরকে গণহারে হত্যা করে।  ১১ই জুলাই থেকে ২২ই জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন সেব্রেনিৎসার কোথাও না কোথাও এই গণহারে হত্যার ঘটনা ঘটেতে থাকে।  হত্যার শিকার ব্যক্তিদেরকে মৃত্যুর আগে নিজেদের কবর খনন করতে সার্বীয় বাহিনী বাধ্য করে।  জুলাই মাসের ২২ তারিখের শেষ নাগাদ এরকম আট হাজারেরও বেশি বসনীয় পুরুষ ও বালক গণহত্যার শিকার হয়। এই গণহত্যা চলার সময় জাতিসংঘ নীরবতা পালন করলেও পরে একে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ বলে স্বীকৃতি দেয়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ

এ গণহত্যার বার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ এক টুইটার বার্তায় বলেন, ২৪ বছর আগে এই দিনে ইউরোপের মাটিতে আট হাজারের বেশি মুসলমানকে হত্যা করা হয়। তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ এ পাশবিকতার কথা ইউরোপীয় বা মুসলমান কারোই ভুলে যাওয়া উচিত নয়।#

পার্সটুডে/মো. মুজাহিদুল ইসলাম/১২