ইমরান খান বিরোধী বিক্ষোভের অনুমতি দেবে না পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ সরকার
-
সিন্ধুর তথ্যমন্ত্রী সাঈদ গণি
পাকিস্তানের পিপলস পার্টি জানিয়েছে, তারা সিন্ধু প্রদেশে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের ডাকে তার সমর্থকদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দেবে না।
সিন্ধুর তথ্যমন্ত্রী ও পিপলস পার্টির প্রভাবশালী নেতা সাঈদ গণি বলেছেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ডাকে বিক্ষোভ কর্মসূচি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে আর এ কারণেই তাদেরকে এই প্রদেশে কোনো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়া হবে না। উল্লেখ করা যায়, পাকিস্তানে একমাত্র সিন্ধু প্রদেশেই সরকার বিরোধী দল ক্ষমতায় রয়েছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামি দলটি প্রথম পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে। এরপর তারা মহাসড়কগুলোতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে ইমরান খানকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের আন্দোলন শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকারও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমানের ডাকে প্রতিবাদ আন্দোলন ঠেকানোর জন্য রাজধানী ইসলামাবাদসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
মাওলানা ফজলুর রহমান প্রায় দুই সপ্তাহ আগে রাজধানী ইসলামাবাদসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ করার জন্য তার সমর্থকদের নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি তার লক্ষ্য অর্জনে অর্থাৎ ইমরান খানকে পদত্যাগে বাধ্য করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ফের আরো কঠোর আন্দোলনে নামার পদক্ষেপ নিয়েছেন। মাওলানা ফজলুর রহমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে প্রভাবশালী বড় দলগুলোকে রাজি করাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রথম পর্যায়ের আন্দোলন স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিলেন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহের জামিল নুরানি দৈনিক নাওয়ায়ে ওয়াক্ত পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, প্রধান দুটি বিরোধী দল পিপলস পার্টি ও নওয়াজ শরীফের মুসলিম লীগ দল সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে অস্বীকার করায় মূলত জমিয়তে উলামায়ে ইসলামি দল তাদের সরকার বিরোধী কর্মসূচি থামিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
এ অবস্থায় সিন্ধুর তথ্যমন্ত্রী ও পিপলস পার্টির প্রভাবশালী নেতা সাঈদ গণি ওই প্রদেশে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ডাকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়া হবে না বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে বোঝা যায়, পিপলস পার্টি সরকার বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করছে না। এ ছাড়া, সিন্ধু প্রদেশের সরকার বিরোধী আন্দোলনের পরিণতির বিষয়টিও ভালভাবে উপলব্ধি করে। এ অবস্থায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামি দলটি প্রথম পর্যায়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে ফের আন্দোলন শুরুর মাধ্যমে অন্য বৃহৎ দলকেও কাছে টানার চেষ্টা করছে যাতে ইমরান খান সরকারের পতন ঘটানো যায়।#
পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৫