প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা ট্রাম্পের! গণ-বিক্ষোভ থামবে কী?
(last modified Tue, 02 Jun 2020 13:46:11 GMT )
জুন ০২, ২০২০ ১৯:৪৬ Asia/Dhaka
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ

মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বড় শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড নৃশংসভাবে নিহত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে একটানা প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলতে থাকায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শক্ত হাতে বিক্ষোভ দমনের নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মে একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ ফ্লয়েডের গলায় পা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করলে গণ-বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভকারীদের ভয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দু'দিন ধরে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকার পর গতকাল (সোমবার) অঙ্গরাজ্যগুলোতে যথেষ্ট সংখ্যক সেনা মোতায়েন করতে  জাতীয় গার্ড বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছেন, কোনো অঙ্গরাজ্যের গভর্নর যদি এই নির্দেশ পালন না করেন তাহলে সেখানে খুব দ্রুত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করব। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বিক্ষোভগুলোতে যেসব সহিংসতা হয়েছে সেসব শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ছিল না বরং সেসব ছিল ঘরোয়া সন্ত্রাস।

ট্রাম্প প্রতিবাদীদের সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অঙ্গীকার করেছেন। এরিমধ্যে ট্রাম্প রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির দিকে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত কয়েক হাজার সেনা পাঠিয়েছেন। সেখানে জনগণের চলাফেরার ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে বলেও তিনি জানান।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পাশবিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের অন্য অনেক দেশেও

ট্রাম্প নজিরবিহীন প্রতিবাদ বিক্ষোভ দমনে বল প্রয়োগের জন্য প্রতিবাদীদের গায়ে সন্ত্রাসের তকমা লাগাচ্ছেন। অথচ এর আগে ট্রাম্প নিজেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের সমর্থক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।

 বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন সমাজ-ব্যবস্থায় বিরাজমান বর্ণবৈষম্য ও অবিচার এবং উগ্র জাতীয়তাবাদ ও ডানপন্থার বিস্তারের মত সমস্যাগুলো সমাধান করা ছাড়া দেশটির বর্তমান সংকট স্থায়ীভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়। ট্রাম্পসহ শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তারা বর্ণবাদকে লালন করছেন বলে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামাও উল্লেখ করেছেন। তিনি মার্কিন বিচার-ব্যবস্থায় সংস্কার আনার দাবি জানিয়েছেন।

মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গদের বেদনাগুলোর কথা শোনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান দলের নেতা মিচ ম্যাক ক'নেল।   

 উল্লেখ্য ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, পোর্টল্যান্ড, ও লস অ্যাঞ্জেলসসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভ থামাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানা অঙ্গরাজ্যের ২৫টি শহরে কারফিউ দেয়া হয়েছে। আটক হয়েছে দেড় হাজার বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভকারী ও এমনকি সাংবাদিকদের ওপরও পুলিশে গুলি চালিয়েছে। ইরান ও চীনসহ বহু দেশের নেতৃবৃন্দ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছেন। #

পার্সটুডে/এমএএইচ/২