অবরুদ্ধ কাবুল
যেকোনো মুহূর্তে পতন, কী বলছে আন্তর্জাতিক মহল?
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের প্রবেশদ্বারগুলোতে তালেবান যোদ্ধাদের অবস্থান নেয়ার প্রেক্ষাপটে এই আশঙ্কা জোরদার হয়েছে যে, যেকোনো মুহূর্তে শহরটির পতন ঘটবে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহল থেকে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের নিকটতম প্রতিবেশী পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী দেশটির জিও নিউজ টেলিভিশনকে বলেছেন, "আফগানিস্তানের অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন তবে এখনো আমরা আমাদের দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেই নি।"
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আরো এক বছর কিংবা পাঁচ বছর মার্কিন সামরিক উপস্থিতি থাকলেও বিশেষ কোনো পার্থক্য হতো না যতক্ষণ পর্যন্ত আফগান সামরিক বাহিনী নিজেদের দেশের দায়িত্ব না নেবে। তিনি আরো বলেছেন, "কোনো একটি দেশের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে আমেরিকার উপস্থিতি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, “তালেবান যদি মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে আনার ব্যাপারে বাধা না দেয় তাহলে আমেরিকা তার বর্তমান সামরিক কৌশলে কোনো পরিবর্তন আনবে না। তালেবানের কাবুলে প্রবেশের ঘটনাকে এখনো আমেরিকা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না।”
এদিকে রাশিয়া বলেছে, আফগান পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের একটি জরুরি বৈঠক আহ্বানের চেষ্টা করছে মস্কো।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা জামির কাবুলভ বলেন, “আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি এবং বৈঠক হবে।” তিনি আরো বলেন, কাবুলে রুশ দূতাবাস খালি করার কোনো পরিকল্পনা নেই কারণ রাশিয়া এবং আরো কয়েকটি দেশকে তাদের দূতাবাসের নিরাপত্তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে তালেবান। তবে কোন কোন দেশকে তালেবান এই আশ্বাস দিয়েছে ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেন নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা কাবুলে তাদের দূতাবাস বন্ধ করবেন না তবে সেখানকার কর্মীদেরকে দ্রুত সরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্টের জরুরি বৈঠক আহবানের পরিকল্পনা নিয়েছেন যাতে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা যায়। ২০ বছরের আফগান যুদ্ধে ৪৫৭ জন ব্রিটিশ সেনা নিহত হয়েছে।
আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রমা বলেছেন, পশ্চিমা শান্তিরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে আফগানিস্তানের যে সমস্ত সেনা কাজ করছে তাদেরকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেবে তার দেশ। এসব সেনা তালেবানের হুমকির মুখে রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।#
পার্সটুডে/এসআইবি/১৫