কাবুলে সিআইএ'র ঈগল ঘাঁটি ধ্বংস করল আমেরিকার সেনারা
(last modified Sun, 29 Aug 2021 05:56:18 GMT )
আগস্ট ২৯, ২০২১ ১১:৫৬ Asia/Dhaka
  • সিআইএ\'র ঈগল ঘাঁটি
    সিআইএ\'র ঈগল ঘাঁটি

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিআইএ'র সর্বশেষ ঘাঁটি ধ্বংস করেছে আমেরিকার সেনারা। আফগানিস্তানে গত বিশ বছর ধরে ভয়াবহ রকমের হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের নীতি বাস্তবায়নের পর যখন মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করা হচ্ছে ঠিক তার শেষ মুহূর্তে এসে কাবুলে সিআইএর এই ঘাঁটি ধ্বংস করা হলো। মার্কিন বাহিনীর কাছে এটি ঈগল ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।

আমেরিকার প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস শুক্রবার এক রিপোর্টে জানিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত সিআইএ'র ঈগল ঘাঁটিটি বৃহস্পতিবার ধ্বংস করা হয়। তার আগে বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১৮০ জন নিহত হয়েছে।

ঈগল ঘাঁটি ধ্বংস করার জন্য দূর নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়। আমেরিকা দাবি করছে, আফগানিস্তানের কাউন্টার টেরোরিজম ফোর্স এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এই ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হতো।

তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর কাবুল বিমানবন্দরে দেশত্যাগী মানুষের উপচেপড়া ভিড়

আফগানিস্তানে সিআইএ'র হয়ে কাজ করা সাবেক কর্মকর্তা মিক মুলরয় জানিয়েছেন, এই ঘাঁটিতে ব্যতিক্রমধর্মী একটি ইউনিট কাজ করত। তিনি আরো বলেন, “গত ২০ বছরে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এই ইউনিট। তালেবানের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছিল এটি ছিল তার মধ্যে সর্বশেষ ইউনিট। তাদের অভিযানে আফগানিস্তানে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।”

আফগানিস্তানে গত বিশ বছর ধরে আমেরিকার যে যুদ্ধ করেছে তার পুরো সময়টাতেই ঈগল ঘাঁটি ব্যবহৃত হয়েছে। প্রথমে এটি একটি ছোট ঘাঁটি হিসেবে জন্ম নিলেও পরবর্তীতে তা বিরাট আকার ধারণ করে।

নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ঘাঁটি উড়িয়ে দেয়ার অর্থ হচ্ছে, সেখানকার সমস্ত সরঞ্জামাদি এবং তথ্য ও দলিল-দস্তাবেজ ধ্বংস করা যাতে সেগুলো তালেবানের হাতে না পড়ে।

৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সমস্ত সেনা প্রত্যাহার করার কথা রয়েছে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/২৯

ট্যাগ