ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২ ১৫:২২ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৬ ফেব্রুয়ারি বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:

  • জীবনযাত্রার ব্যয়-গরিব সংকটে, মধ্যবিত্ত দুর্দশায়-প্রথম আলো
  • বিরোধীরা অনড় সার্চ কমিটি উপায় খুঁজছে-মানবজমিন
  • জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, আবার বাড়বে কাঁচামালের দাম-ইত্তেফাক
  • লোপাট ১৫০০০ কোটি টাকা -যুগান্তর
  • ‘আমাকে একটা চাকরি দিন— মনোভাব নিয়ে অনেকে নিজের নাম প্রস্তাব করেছেন’কালের কণ্ঠ
  • বাড়ছে উত্তেজনা; রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের উদ্বেগ-বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • ‘শেষ বয়সে বড় ধাক্কা খেয়েছেন সন্ধ্যাদি’, গীতশ্রীর মৃত্যুতে পদ্মশ্রী ইস্যু নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ মমতার-সংবাদ প্রতিদিন
  • ইতিহাসের ধাত্রীভূমিতে কি ক্ষতির আশঙ্কায় বিজেপি? নেতারা বলছেন, দায় ‘বাবা’র নয়, মোদীর-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • শরীরে চিপ লাগিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভালের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা! চাঞ্চল্য রাজধানীতে-আজকাল

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

বিরোধীরা অনড় সার্চ কমিটি উপায় খুঁজছে-মানবজমিন

নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ চলছে

এ পর্যন্ত আসা নামের তালিকা প্রকাশ করেছে সার্চ কমিটি। ৩২২ জনের এই তালিকায় অবশ্য সাবেক আমলাদের প্রাধান্যই বেশি। আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সার্চ কমিটিকে ১০ জনের চূড়ান্ত তালিকা জমা দিতে হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং সব দল আস্থা রাখতে পারে- এমন ব্যক্তিদের নাম চূড়ান্ত করতে প্রক্রিয়ায় সব দলকে রাখার চেষ্টা করছে কমিটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিএনপিসহ ১৩টি দল কোনো নাম প্রস্তাব করেনি। এসব দল যাতে নাম দিতে পারে সে জন্য দুই দফা সময় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সার্চ কমিটি। কিন্তু দলগুলো অনড়। তারা এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে চাইছে না।

এ পর্যন্ত আসা নামের তালিকা প্রকাশ করেছে সার্চ কমিটি। ৩২২ জনের এই তালিকায় অবশ্য সাবেক আমলাদের প্রাধান্যই বেশি। আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সার্চ কমিটিকে ১০ জনের চূড়ান্ত তালিকা জমা দিতে হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং সব দল আস্থা রাখতে পারে- এমন ব্যক্তিদের নাম চূড়ান্ত করতে প্রক্রিয়ায় সব দলকে রাখার চেষ্টা করছে কমিটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিএনপিসহ ১৩টি দল কোনো নাম প্রস্তাব করেনি। এসব দল যাতে নাম দিতে পারে সে জন্য দুই দফা সময় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সার্চ কমিটি। কিন্তু দলগুলো অনড়। তারা এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে চাইছে না।

দলগুলো বলছে, নির্বাচন কমিশন গঠনের চেয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিষয়টি আগে সুরাহা হওয়া উচিত। দলগুলোর এমন মনোভাবের মধ্যেও দরজা খোলা রেখেছে সার্চ কমিটি। তারা শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য গতকাল নতুন করে বলা হয়েছে, তালিকা চূড়ান্তের আগ পর্যন্ত দলগুলো চাইলে নাম জমা দিতে পারবে।

সর্বশেষ গতকাল আরও ৪ জন সিনিয়র সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠক করেছে সার্চ কমিটি। বৈঠকের পর সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল জানিয়েছেন, সার্চ কমিটি নাম চূড়ান্ত করতে আরও সময় নিচ্ছে। চূড়ান্ত তালিকা জমা দেয়ার আগ পর্যন্ত যেসব দল নাম প্রস্তাব করেনি তারা নাম প্রস্তাব করতে পারবে।

ইসি গঠনে ৩২২ নাম প্রস্তাব ‘আমাকে একটা চাকরি দিন— মনোভাব নিয়ে অনেকে নিজের নাম প্রস্তাব করেছেন’কালের কণ্ঠ

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন,  এবার সার্চ কমিটির কাছে আমলাদের নামের আধিক্য বেশি। এর কারণ হতে পারে নির্বাচন কমিশনে আমলাদের প্রয়োজনীয়তা আছে। যাঁকে নিয়োগ দেওয়া হবে তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানে যেকোনো ধরনের লোক নিয়োগ দেওয়া উচিত হবে না।

আমি আগেও বলেছি, নির্বাচন কমিশনের প্রায় ১৭ লাখ লোককে ম্যানেজ করতে হয়। ১০ হাজার বিষয় ম্যানেজ করতে হয়। নির্বাচন কমিশনের আড়াই হাজার নিজস্ব কর্মকর্তা আছেন, তাঁদের সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হয়। এ ছাড়া আইন-কানুন বোঝার বিষয় আছে, উদ্ভাবনের ও দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্তের বিষয় আছে। এ বাস্তবতায় যেকোনো লোককে বসিয়ে দিলে তো হবে না।

কিন্তু যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে হাস্যাস্পদ অনেক নাম আছে। আমি নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে যত লেখাপড়া করেছি, তাতে এবার যে হ-য-ব-র-ল অবস্থা দেখছি, তাতে বিস্মিত না হয়ে পারিনি। মনে হচ্ছে, এটা নিছক চাকরি।

আমাকে একটা চাকরি দিন—এ ধরনের মনোভাব নিয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকে নিজের নাম প্রস্তাব করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনের জন্য সে ধরনের আবেগ-অনুরাগ যদি না থাকে তাহলে যাচ্ছেতাই ঘটনা ঘটতে পারে। আমি নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ পাওয়ার পর ওই পদের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে অনেক পরিশ্রম করেছি। অনেক পড়াশোনা করতে হয়েছে, অনেক কিছু জানতে হয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে অভিজ্ঞতা নিতে হয়েছে। লোকে এখন যা কিছুই বলুক, ভুল-ভ্রান্তি থাকার পরও আমরা নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থার জায়গাটা তৈরির চেষ্টা করেছিলাম। আমরা নির্বাচনে সঠিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য পুলিশের আইজিসহ অন্য কর্মকর্তাদের ডেকে সতর্ক করে দিতে দ্বিধা করিনি।

এখন নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জন্য ৩২২টি নাম যখন দেখি, তখন মনে হয় তামাশা হচ্ছে। তার পরও সার্চ কমিটিকে আমরা বলে এসেছি সৎ, বদ যাঁরাই তালিকায় থাকুন না কেন, আপনারা এমন লোকদের নাম প্রস্তাব করেন, যাঁদের নির্বাচন কমিশনের যে আড়াই হাজার জনবল আছে তারা যেন অন্তত সম্মান করতে পারে।   

সেনাবাহিনীতে একটা কথা বলা হয়, আপনার কাছে ক্ষমতা আছে, আপনাকে আমি স্যালুট করব। কিন্তু আপনার এই ক্ষমতাও থাকতে হবে যে আপনাকে আমি মন থেকে স্যালুট করব।

 ইত্তেফাকে প্রকাশিত রাজনীতির টুকরো কয়েকটি বক্তব্য তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির সবকিছুতে না বলা গণতন্ত্রকে না বলার শামিল।১০ বছর ধরে দুজন হুদা গোটা জাতিকে বেহুদা বানানোর চেষ্টা করেছে  বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।রিজভী বলেন, একটা হচ্ছে রকিবুল হুদা (রকিব উদ্দিন আহমেদ), আরেকটা নূরুল হুদা। একজন ১৫৩ জনকে বিনাভোটে নির্বাচিত করিয়েছেন। আরেকজন নিশিরাতে ভোট করেছেন। এই নূরুল হুদা চমৎকার মডেল আবিষ্কার করেছেন— কীভাবে দিনের ভোট ভোররাতে করতে হয়। কৃষিমন্ত্রী ড.মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন,বিএনপি নাম জমা না দিলেও সার্চ কমিটিতে যে নাম এসেছে, তাতে ভাল কমিশন গঠন সম্ভব হবে।ড. রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন বর্জন করে, আন্দোলন করে বিএনপি তাদের ক্ষতি করেছে, জাতির ক্ষতি করেছে। যে কোন বিষয়ে আলোচনা সংলাপের বিকল্প নেই।

লোপাট ১৫০০০ কোটি টাকা-যুগান্তর

(ব্যাংক ঋণ, প্রকল্প ও কেনাকাটায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, জ্বালানি তেল ক্রয়, খাদ্য বিতরণ, প্রণোদনা ও রাজস্ব খাতে শনাক্ত)

সরকারি ব্যয়ের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি

সরকারি ব্যয়ের মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও অনিয়ম চিহ্নিত হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন প্রকল্প, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি, জ্বালানি তেল ক্রয়, খাদ্য বিতরণ, ব্যাংক, বিমা ও রাজস্ব খাত ঘিরে এ অনিয়ম হয়। পাশাপাশি কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য বিদেশি প্রকল্পে সরঞ্জাম কেনাকাটায় অনিয়ম ধরা পড়ে। করোনাকালেও থেমে ছিল না শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও গরিব মানুষের খাদ্য বিতরণের টাকা ব্যয়ে অনিয়ম। যা নিরীক্ষা বিভাগের ২০২০-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) কার্যালয় থেকে শিগগিরই আর্থিক অনিয়মের এ প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করা হবে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও অডিট আপত্তির সম্পূর্ণ অর্থ সমন্বয় হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে দুর্নীতির সামান্য কিছু অর্থ আদায়ের পর বাকিগুলো অনিষ্পন্ন অবস্থায় ঝুলে থাকে বছরের পর বছর। হয়তো এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।

জীবনযাত্রার ব্যয় গরিব সংকটে, মধ্যবিত্ত দুর্দশায়-প্রথম আলো

(দ্রব্যমূল্য, পরিবহন ব্যয়, বাসাভাড়া, শিক্ষার খরচ—সবই বেড়েছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াও চলছে।)

দিন মজুর ( ফাইল ফটো)

 সাইফুল ইসলাম একজন খেটে খাওয়া।  তিনি বলেন, সংসার চালাতে এখন প্রতি মাসেই ধারকর্জ করে চলতে হচ্ছে। সাইফুল ইসলামের মতো সাধারণ মানুষের সংসারে ব্যয়ের বড় খাত চারটি—খাদ্য ও ঘরকন্নার উপকরণ কেনা, বাসাভাড়া ও সেবার বিল, সন্তানদের পড়াশোনা এবং পরিবহন। দেশে এই চারটি খাতেই একসঙ্গে পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম অবস্থা মানুষের।ব্যয়ের সব খাতে এই চাপ এমন একটা সময় পড়েছে, যখন করোনার কারণে দেশের মানুষের একটি অংশ অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত।

‘হিজাব না পরায় ভারতে ধর্ষণের হার সর্বোচ্চ-মানবজমিন

হিজাব বিতর্ক

কিছু নারী হিজাব পরেন না বলে ভারতে ধর্ষণের হার সর্বোচ্চ। স্কুল-কলেজে হেডস্কার্ফ পরা নিয়ে ভারতের কর্ণাটক রাজ্য যখন উত্তপ্ত, তখন এ মন্তব্য করেছেন ওই রাজ্যে কংগ্রেসের একজন বিধায়ক জমির আহমেদ। তিনি বলেছেন, ইসলামে হিজাব অর্থ হলো পর্দা। যখন মেয়েরা বয়ঃপ্রাপ্ত হয়, তখন তাদের সৌন্দর্যকে আড়াল করে রাখে এই পর্দা। আপনি এখন দেখতে পাবেন ভারতে ধর্ষণের হার সর্বোচ্চ। এর কারণ কি বলে মনে করেন? এর কারণ হলো, অনেক নারী হিজাব পরেন না। বার্তা সংস্থা এএনআই’কে তিনি আরও বলেছেন, তবে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক নয়। যারা নিজেদেরকে সুরক্ষিত রাখতে চান এবং যারা চান যে, তাদের সৌন্দর্য অন্যরা না দেখুক- তারাই হিজাব পরেন।এই রীতিই বছরের পর বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে।

সারাবিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবাদের পোস্টার গার্ল হয়ে উঠেছেন।

এ ইস্যুটি ওঠে কর্ণাটক হাইকোর্টে। শুক্রবার এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছে কোর্ট। তাতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে হিজাব, গেরুয়া শাল বা কোনো রকম ধর্মীয় পোশাক এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদেরকে।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

ইতিহাসের ধাত্রীভূমিতে কি ক্ষতির আশঙ্কায় বিজেপি? নেতারা বলছেন, দায় ‘বাবা’র নয়, মোদীর-আনন্দবাজার

স্থানীয় বিজেপি নেতারা বলছেন, প্রথম দফার ৫৮ আসনের ফল ভাল না হলে তার ‘দায়’ বর্তাবে মোদীর উপর। যোগীর উপর নয়। কারণ, কৃষি আইন মোদীর। যোগীর নয়। তাঁদের কথায়, ‘‘কৃষি আইন কি বাবার (ভক্তরা যোগী আদিত্যনাথকে এই নামেই ডেকে থাকেন) মাথা থেকে বেরিয়েছিল? ওটা তো মোদীর আইন!

উত্তর প্রদেশ ভোট

কৃষক আন্দোলন। যে আন্দোলনের সামনে নতিস্বীকার করেছিলেন প্রবল পরাক্রান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রথম ক্ষমা চাওয়া। সে অর্থে দেখতে গেলে এই গাজিপুর সীমানা ইতিহাসের ধাত্রীভূমি। ইতিহাস জয়ের। পরাজয়েরও।

গত ১৯ নভেম্বর মোদী যখন কৃষি আইন বলবৎ করার জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন, তখন গাজিপুর সীমান্তে মিষ্টি বিলি হয়েছিল। কিন্তু কোনও উচ্ছ্বাস ছিল না। কারণ, কৃষকেরা চেয়েছিলেন, যত দিন না সংসদে ওই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার করা হয়, তত দিন তাঁরা উচ্ছ্বসিত হবেন না। সেটা হয়েছিল ২৯ নভেম্বর।

মোদী ক্ষমাপ্রার্থনা করে কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন গুরু নানকের জন্মদিবসে। কিন্তু সকলে জানতেন, সেই ঘোষণা পঞ্জাবের জন্য ছিল না। ছিল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের জন্য। কারণ, ফেব্রুয়ারি-মার্চে উত্তরপ্রদেশে মহাগুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা ভোট।

যে ভোটের উপর অনেকটাই নির্ভর করছে ২০২৪ সালে মোদীর দিল্লির তখ্‌তে ফিরে আসার সম্ভাবনা। যে ভোট হয়ে গেল গত ১০ ফেব্রুয়ারি, উত্তরপ্রদেশে মোট সাত দফার প্রথম দফা ভোটে।

মোদীর ক্ষমাপ্রার্থনা করে কৃষি আইন প্রত্যাহার করা কি ছাপ ফেলেছে সেই ভোটে?

নরেন্দ্র মোদির ক্ষমা চাওয়া

কর্ণাটকের উদুপি জেলায় গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে ৬ ছাত্রীকে মাথায় স্কার্ফ পরার কারণে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি গত মাসে। এই ঘটনা শুধু কর্ণাটক, ভারতকেই নাড়া দিয়েছে এমন নয়। এ ইস্যুটি বিশ্ব মিডিয়ায় শিরোনাম হয়েছে। এর কারণ, ছাত্রীরা স্কার্ফ পরার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। পাল্টা বিক্ষোভ করেছে উগ্রপন্থি বিজেপি’র সমর্থক ছাত্ররা ও বহিরাগতরা। তারা মুসকান নামের একজন মুসলিম ছাত্রীকে হেনস্তা করেছে। কয়েকশ’ বিজেপি সমর্থক ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করে। এত নেতাকর্মীদের আক্রমণে মোটেও বিচলিত হননি মুসকান। তিনি তারস্বরে চিৎকার করে স্লোগান দিয়েছেন- ‘আল্লাহু আকবর’ বলে। তার এই ভিডিও

শরীরে চিপ লাগিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডোভালের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা! চাঞ্চল্য রাজধানীতে-আজকাল

এ কী বিপত্তি!‌ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের বাড়িতে গাড়ি নিয়ে জোর করে ঢুকে পড়ায় চেষ্টা!‌ গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি।

ধরা পড়ার পর ওই ব্যক্তির দাবি, তার শরীরে চিপ লাগানো রয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে অবশ্য তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। ধৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর দিল্লি পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি সম্ভবত মানসিকভাবে অসুস্থ। আপাতত পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে তাকে। জিজ্ঞাসাবাদ করছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ। ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গীতশ্রীর মৃত্যুতে পদ্মশ্রী ইস্যু নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ মমতার

‘শেষ বয়সে বড় ধাক্কা খেয়েছেন সন্ধ্যাদি’, গীতশ্রীর মৃত্যুতে পদ্মশ্রী ইস্যু নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ মমতার-সংবাদ প্রতিদিন

কোচবিহারের সভা থেকে ফের গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উষ্মা প্রকাশ করলেন পদ্মশ্রী ইস্যু নিয়ে। বললেন, “শেষ বয়সে চরম ধাক্কা খেয়েছেন প্রিয় সন্ধ্যাদি।”

মঙ্গলবার সন্ধেয় হাসপাতালে বাংলার সুরসম্রাজ্ঞীকে অপমান করে তাড়ানো গ্যাছে।' 'উগ্র হিন্দুবাদী'র বিরুদ্ধে বরাবরই সরব কবীর সুমন। 'পদ্মশ্রী' ইস্যুকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর আবারও কেন্দ্রের সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন কবীর সুমন। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলায়।

'হিন্দি হিন্দুত্ব হিন্দিয়াবাদীরা সফল!', সন্ধ্যার মৃত্যুতে ক্ষোভ কবির সুমনের

 'হিন্দি হিন্দুত্ব হিন্দিয়াবাদীরা সফল!', সন্ধ্যার মৃত্যুতে ক্ষোভ উগরে দিলেন কবীর সুমন-এ শিরোনামটি আজকাল পত্রিকায়।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৬

ট্যাগ