ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২ ১৬:৪৭ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা! কথাবার্তার প্রাত্যহিক আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আজ ১৭ ফেব্রয়ারি বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকার কয়েকটি খবরের শিরোনাম

  • ফাস ফাইন্যান্সের ৫১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ
  • পিকে হালদারসহ ১৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৩ মামলা অনুমোদন:-মানবজমিন
  • বিনা বেতনে চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষকরা-ইত্তেফাক
  • সার্চ কমিটির কার্যক্রম তামাশা: বিএনপি-যুগান্তর
  • 'সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা'-কালের কণ্ঠ
  • মতামত-নির্বাচন কমিশনের নাম প্রস্তাব নিয়ে লুকোচুরি কেন প্রথম আলো

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ‘পাশে আছি’, ওয়েইসির গাড়িতে গুলি কাণ্ডে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে আশ্বাস যোগীর মন্ত্রীরসংবাদ প্রতিদিন
  • মসজিদ সরুক, চাইছে কৃষ্ণ জন্মভূমির মথুরা, তবে ‘পেয়ার সে’, আর ‘অযোধ্যা’র দরকার নেই-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • আলোচনায় বসুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল-আজকাল
  • হিজাব নিষিদ্ধ: উত্তরপ্রদেশে মুসলিম নারীদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিপেটা-এনডিটিভি অনলাইন

এবারে বিশ্লেষণে যাচ্ছি।

বিশ্লেষণের বিষয়:

১. বাংলাদেশে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিচ্ছে সরকার। এ সময় দুই ডোজ টিকা নেয়া শিক্ষার্থীরা সশরীরে ক্লাস করতে পারবে। কীভাবে দেখছেন খবরটিকে?

২. হিজাব-বিতর্কের মধ্যে ভারতের উত্তর প্রদেশে মুসলিম নারীদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিপেটা। কী বলবেন আপনি?

বিশ্লেষণের বাইরের কয়েকটি খবর:

ফাস ফাইন্যান্সের ৫১৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ-পিকে হালদারসহ ১৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৩ মামলা অনুমোদন-মানবজমিন

ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ভুয়া কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে ৫২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পিকে হালদার, ফাস ফাইন্যান্সের সাবেক এমডি রাসেল শাহরিয়ারসহ ১৪ ব্যক্তির নামে ১৩টি মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরইমধ্যে ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লি: চেয়ারম্যান, বোর্ড সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিদেশ গমনের  নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

বিনা বেতনে চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষকরা-ইত্তেফাক

১১৭টি কলেজে আবেদন করে শেষ পর্যন্ত একটি নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে ‘জ’ আদ্যক্ষরের এক ব্যক্তিকে চাকরি দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। পরে ওই প্রার্থী সংশ্লিষ্ট নওগাঁর মান্দা উপজেলার মফিউদ্দিন মোল্লা কলেজে যোগদান করতে গেলে বলা হয়, ‘যোগদান করলেও কোন বেতন-ভাতা দেওয়া যাবে না। কারণ কলেজের আয় নেই।’ 

এই পরিস্থিতিতে চাকরিতে যোগ দিবেন কি না তা নিয়ে দোলাচালে রয়েছেন শিক্ষক হতে যাওয়া এই প্রাথী‌র্। ইতিমধ্যে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নন-এমপিও পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কলেজগুলোতে পাঠানো হয়েছে। যারা যোগ দিয়েছেন তাদের বেতন পুরোটাই অনিশ্চয়তায়। এছাড়া আরো আড়াই হাজার শিক্ষককে নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

জানা গেছে, নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার পর বেশিরভাগই কোন বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। বেতন-ভাতা না দেওয়ায় অনেকেই চাকরি ছেড়ে চলে আসছেন। স্কুল-কলেজের প্রধানরা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানের আয় নেই। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সামান্যই টিউশন ফি আদায় হয়। আবার অনেকে শিক্ষার্থীরই দেয় না। শিক্ষকদের বেতন দিবো কীভাবে।’ তাহলে প্রশ্ন উঠছে, নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার  দায়িত্ব এনটিআরসিএ কেন নিলো?

নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এ কারণে বাধ্য হয়ে এনটিআরসিএতে শূন্য পদের তালিকা পাঠাই। এনটিআরসিএ-ই এখন নিয়োগ দেয়।

সার্চ কমিটির কার্যক্রম তামাশা: বিএনপি-যুগান্তর

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সার্চ কমিটির কার্যক্রম তামাশা ছাড়া কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেছেন, এই সার্চ কমিটির একমাত্র লক্ষ্য হলো জনগণকে বিভ্রান্ত করা, ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া। এত এত পদ্ধতিতে, সুশীল সমাজের মতামত নিয়ে এতগুলো নাম প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন হচ্ছে- এটাই তারা দেখাতে চায়। মূলত গত দুটি নির্বাচনের মতো একই পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। 

বুধবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারগুলোর নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিএনপি মনে করে যে, এখন সার্চ কমিটিতে নাম প্রেরণ এবং নির্বাচন কমিশন গঠন একেবারেই অর্থহীন। বিএনপি বিশ্বাস করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখার নীলনকশার অংশ হিসাবে পুনরায় নির্বাচন কমিশন গঠনে সরকারি তৎপরতা সেই চক্রান্তের অংশ।

স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো অবস্থাতেই নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারগুলোর নির্বাচনে এই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। আমরা মনে করি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সবার গ্রহণযোগ্য একটি অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক পার্লামেন্ট ও সরকার প্রতিষ্ঠাই বর্তমান সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

মসজিদ সরুক, চাইছে কৃষ্ণ জন্মভূমির মথুরা, তবে ‘পেয়ার সে’, আর ‘অযোধ্যা’র দরকার নেই-আনন্দবাজার পত্রিকা

যমুনা তীরে মথুরায় মন্দির মসজিদ পাশাপাশি

তিরিশ বছর আগে অযোধ্যার বিতর্কিত সৌধ ভাঙার সময় স্লোগান উঠেছিল, ‘ইয়ে তো সির্ফ ইক ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়’। অর্থাৎ, এ তো সামান্য ঝাঁকুনি। এখনও কাশী-মথুরা বাকি। অর্থাৎ, এর পর কাশী আর মথুরার পালা। সেখানেও মসজিদ ভেঙে মন্দিরই একচ্ছত্র আধিপত্য রাখবে।

মথুরা

মথুরার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন এবং ওয়াকিবহাল হিন্দুরা বলছেন বটে, নরসিংহ রাওয়ের প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে সংসদে বিল পাস হয়েছিল যে, অযোধ্যা ছাড়া যে যে জায়গায় মন্দির-মসজিদ পাশাপাশি আছে, তারা সেখানেই অটুট থাকবে। অযোধ্যায় তো মন্দিরই ছিল না। কাশী-মথুরায় মন্দিরও আছে। মসজিদও। ফলে এই মসজিদের কিছু করতে গেলে প্রথমে সংসদে গিয়ে সেই বিল ফেরাতে হবে। তা অত সহজ নয়। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের আবহে আবার কৃষ্ণ জন্মভূমি আন্দোলন মাথাচাড়া দিয়েছে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল এক-দেড় বছর আগে। একটি হিন্দু সংগঠন দাবি তুলেছিল, তারা মসজিদে ঢুকে ‘জলাভিষেক’ করবে। তার পরেই প্রশাসন মসজিদের আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি করে। তারই আরও কড়াক্কড় ছবি দেখল কলকাতা থেকে-যাওয়া সাংবাদিক। থামুন! আর যাওয়া যাবে না!

কেন যাওয়া যাবে না? যাবে না, কারণ বাইরের লোকের ভিতরে যাওয়া নিষেধ। খুব কেঠো এবং কেজো গলায় বললেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দুই শস্ত্রধারী খাকি উর্দি। কয়েকশো ফুট দূরে শাহি মসজিদের গম্বুজ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে তার খিলান। সামনে প্রশস্ত চবুতরা। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। গোলমাল নেই। তা হলে কেন যাওয়া যাবে না ভিতরে?

—সেটা তো আমরা বলতে পারব না। কিন্তু বাইরের লোককে ভিতরে যেতে দেওয়া নিষেধ। এখান থেকে সরে যান। ওই রেললাইনে ওপারে গিয়ে দাঁড়ান। তার পর যার সঙ্গে খুশি কথা বলুন। যত খুশি ছবি তুলুন।

আলোচনায় বসুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল-আজকাল

রাজ্যের আমলাদের বারবার তলব করেও সাড়া মেলেনি।

এবার সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে রাজভবনে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। চলতি সপ্তাহের যে কোনও দিন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে উপস্থিত হতে অনুরোধ করে চিঠি দিলেন তিনি। সেই চিঠি টুইটও করেছেন রাজ্যপাল।

মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে তথ্য চেয়েও পায়নি। এই সব তথ্য না পেলে রাজ্যে সাংবিধানিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। সেটা এড়িয়ে চলা আমাদের দু’জনেরই সাংবিধানিক কর্তব্য। আপনার তরফ থেকে দীর্ঘদিন কোনও জবাব না পাওয়ায় সব আলোচনার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাই আপনার কাছে আমার অনুরোধ চলতি সপ্তাহের যে কোনও দিন রাজভবনে এসে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসুন।’

এই নিয়ে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ রাজ্যপাল একটি সাংবিধানিক পদ। ধনখড় সেই পদের অমর্যাদা করেছেন। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতেই পারেন, ডেকেও পাঠাতে পারেন। কিন্তু তা এইভাবে কেন টুইট করে বলবেন? প্রকাশ্যে টুইট করা অসভ্যতা। উনি কি বলতে চাইছেন উনি জমিদার?’ যদিও মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তিনি রাজভবনে যাবেন কিনা তা অবশ্য সময়ই বলবে।

‘পাশে আছি’, ওয়েইসির গাড়িতে গুলি কাণ্ডে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে আশ্বাস যোগীর মন্ত্রীর-সংবাদ প্রতিদিন

নির্বাচনী (UP election 2022) প্রচার সেরে ফেরার সময় হামলার মুখে পড়েছিল এআইএমআইএম সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েসির (Asaduddin Owaisi) গাড়ি। তিন থেকে চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল সেই গাড়ি লক্ষ্য করে। যদিও আঁচড়টুকুও লাগেনি নেতার। তবু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত শচীন শর্মার বাড়িতে যোগী আদিত্যনাথের এক মন্ত্রীর হাজিরা ঘিরে বিতর্ক অন্যদিকে মোড় নিল।গতকাল, বুধবার সুনীল ভারালা নামের ওই মন্ত্রী কেবল শচীনের বাড়িই যাননি। কার্যত তাঁকে ‘নির্দোষ’ বলেও দাবি করেছেন তিনি।

এদিকে হিজাব বিতর্কেও ওয়েইসির বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। খোদ যোগীই ওয়েইসিকে তোপ দেগে বলেছেন, ”উনি কি দেশটাকে তালিবানি মুলুক বানাতে চান? এই সব বিষয়ে কথা বলতে হলে তা আফগানিস্তানে করা উচিত।” কয়েকদিন আগেই ওয়েইসি দাবি করেছিলেন, ভবিষ্যতে হিজাব পরিহিতা মহিলাই হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরেই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এবার সেই বিষয়ে তাঁকে আক্রমণ করলেন যোগীও।

হিজাব নিষিদ্ধ: উত্তরপ্রদেশে মুসলিম নারীদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিপেটা-এনডিটিভি

ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে হিজাব নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বোরকা পরিহিত মুসলিম নারীদের বিক্ষোভে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে।  ওই বিক্ষোভের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ লাঠি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। এ সময় এক নারী বিক্ষোভকারী পুলিশের লাঠিপেটা থামানোর চেষ্টা করছেন। ঘটনাটি গত রোববার ঘটলেও বুধবার এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা যায়। 

 কর্ণাটকের একটি কলেজে প্রথম হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর কর্ণাটকসহ দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ চলছে। হিজাব নিষিদ্ধের বিষয়টি নিয়ে দেশটির উচ্চ আদালতে শুনানি চলছে।   

ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে কিছু মানুষ পুলিশের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। আর পুলিশ বলছে, তারা ভিডিওটি খতিয়ে দেখছে। এ ছাড়া পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে থানায় প্রাথমিক অভিযোগ (এফআইআর) দায়ের করেছে। # 

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৭

ট্যাগ