কথাবার্তা
ক্ষমতাসীনরা পুলিশকে নিজেদের সম্পদ মনে করে: পুলিশের সাবেক আইজিপি শহীদুল হক
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! আজ ২৯ মে রোবিবার। প্রাত্যহিক আয়োজন পত্রপত্রিকার পাতা বিশ্লেষন অনুষ্ঠান কথাবার্তায় আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি রেজওয়ান হোসেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো।
প্রথমে বাংলাদেশ:
আজকের প্রায় সবগুলো দৈনিকে ২২ যাত্রী নিয়ে নেপালে বিমান নিখোজের খবরটি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোর শিরোনাম আসামে আন্তর্জাতিক সম্মেলন: মিয়ানমারের নাগরিকদের এখনই ফেরত পাঠানো প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিরপেক্ষ সরকার ফখরুলের মামা বাড়ির আবদার: কাদের-দৈনিক যুগান্ত
- শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করতে চায় স্বার্থান্বেষী মহল: শিক্ষামন্ত্রী-দৈনিক নয়াদিগন্ত।
- ‘পল্লী উন্নয়ন’ পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক ইত্তেফাক
- ‘ক্ষমতাসীনরা পুলিশকে নিজেদের সম্পদ মনে করে': পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক -দৈনিক মানবজমিন
- রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৫৩- এ খবর দিয়েছে দৈনিক কালের কণ্ঠ
- জিয়াকে বড়ো করতে কাউকে ছোটো-বড়ো করতে হয় না: গয়েশ্বর: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন।
কোলকাতার দৈনিকগুলোর কিছু শিরোনাম:
- Dilip Ghosh-Babul Supriyo: ‘বাবুলকে বলেছিলাম, এটা বিজেপি, এখানে ওসব চলবে না! শিল্পীরা রাজনীতিতে ফিট নন’-দৈনিক আানন্দ বাজার
- দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, আধার কার্ডের জেরক্স জমা দেওয়ার আগে সাবধান, সতর্ক করল কেন্দ্র
- দৈনিক আজকাল লিখেছে, আড়াই বছর পর কলকাতা-খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. দুধের দুই শিশু নিয়ে সৈকতে হকারি করছেন নাজমা। এটি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার একটি শিরোনাম। বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
২. পারস্য উপসাগরে ইরান গ্রিসের দুটি তেলবাহী জাহাজ আটক করেছে। কি বলবেন আপনি এ ঘটনা সম্পর্কে,?
জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
আন্তর্জাতিক সম্মেলন: মিয়ানমারের নাগরিকদের এখনই ফেরত পাঠানো প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী - শীর্ষক খবরে দৈনিক প্রথমআলো লিখেছে, আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে অনেকগুলো ক্ষেত্রে পরস্পরের হাত ধরার পাশাপাশি এই অঞ্চলের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের নাগরিকদের এখনই ফেরত পাঠানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ দক্ষিণ এশিয়া, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত ১২টি দেশের প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূত ও মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ কে আব্দুল মোমেন এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আজ শনিবার শুরু হওয়া দুই দিনের একটি সম্মেলনে আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে একত্র হয়েছেন। সরকারি পর্যায়ের না হলেও ভারতের একাধিক রাজ্যের সরকারি প্রতিনিধি, মন্ত্রী, কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও যোগ দিয়েছেন সম্মেলনে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করে আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকেরা বাংলাদেশে নির্দিষ্ট অঞ্চলে রয়েছেন। সেখানে অপরাধ ও উগ্রবাদ বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে পারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ মিয়ানমারের নাগরিকদের বাসস্থান ও খাদ্য দিয়ে চলেছে; তাঁদের আশ্রয় সুরক্ষিত করছে। কিন্তু এটা বরাবরের জন্য চলতে পারে না।
এটা একটা ক্ষণস্থায়ী ব্যবস্থা। তাঁদের ফেরত পাঠানোর কাজ এখনো শুরু হয়নি। ইতিমধ্যে কিছু অঞ্চলে, যেখানে তাঁরা রয়েছেন, সেখানে অপরাধ ও উগ্রবাদ বাড়ছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাব্যবস্থাকে এ থেকে মুক্ত রাখতে হবে, বলেন আব্দুল মোমেন।
শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করতে চায় স্বার্থান্বেষী মহল : শিক্ষামন্ত্রী -শীর্ষক খবরে দৈনিক নয়াদিগন্ত লিখেছে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করতে চায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল। যারা শিক্ষাঙ্গনকে রক্তাক্ত করতে চায়, তাদের প্রতিহত করবে বাংলার মানুষ।
রোববার সকালে চাঁদপুর বাবুরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, একটি মহল শিক্ষাঙ্গনে বিশৃঙ্খলা করে অরাজকতা তৈরি করতে চায়, আমরা কখনোই তা হতে দেব না। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে বলেই দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, যারা এ দেশে দুঃশাসন চালিয়েছে, সেসব অপশক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। বিএনপি নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তাদের অন্যায়ের সুযোগ-সুবিধা আদায়ের অপচেষ্টা করছে। তবে তাদের কোনো অপচেষ্টাই সফল হবে না।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোঃ ইউসুফ গাজী প্রমুখ।
‘পল্লী উন্নয়ন’ পদক পেলেন প্রধানমন্ত্রী - শীর্ষক খবরে দৈনিক কালের কণ্ঠ লিখেছে, ‘পল্লী উন্নয়ন’ পদক পেলেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পল্লী উন্নয়নের জন্য তাঁকে এই পদক প্রদান করে সেন্টার অন ইন্ট্রিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক।
আজ রবিবার (২৯ মে) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ‘আজিজুল হক পল্লী উন্নয়ন পদক ২০২১’ তুলে দেন সিরডাপের মহাপরিচালক ডা. চেরদসাক ভিরাপা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
‘ক্ষমতাসীনরা পুলিশকে নিজেদের সম্পদ মনে করে': পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক - শীর্ষক খবরে দৈনিক মানবজমিন লিখেছে, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক শক্তি ও আমলাতন্ত্র- এরা কখনো পুলিশের পরিবর্তন চাইবে না। এ দেশের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল চায়, তারা যা বলবে, পুলিশ তাই করবে। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীনরা মনে করে, পুলিশ তাদের নিজের সম্পদ। সংসদ সদস্য চান, তিনি যা বলবেন, ওসি সেটাই করবেন। এসব চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে কাজ করা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে নিজের লেখা ‘পুলিশ জীবনের স্মৃতি: স্বৈরাচার পতন থেকে জঙ্গি দমন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে এসব কথা বলেন তিনি।
সাবেক আইজিপি বলেন, আমি রাজনৈতিক অপশক্তির কাছে কখনো মাথা নত করিনি। আমি চেয়ার ধরে চাকরি করিনি। বদলি হয়েছে, চলে গিয়েছি। চাকরিতে থাকা অবস্থায় মৌলভীবাজারে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পিছপা হইনি। তবে আমার মতো তো সবাই পারবে না।
এজন্য একটা সিস্টেম বা পদ্ধতি চালু করা উচিত, যাতে পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে।
বিচারব্যবস্থা নিয়ে শহীদুল হক বলেন, বিচারব্যবস্থার একটি অংশ পুলিশ। তারা যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে না পারে তাহলে ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম কখনো কার্যকর হবে না। পুলিশ যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে না পারে তাহলে সুষ্ঠু তদন্ত সম্ভব নয়। প্রথম রায়টা তো পুলিশ দিয়ে দিয়েছে যে, ঘটনা সত্য না মিথ্যা। পুলিশকে ঢেলে সাজানোর কথা বলা হয়। তবে এটা রাজনৈতিক কথা, কিভাবে ঢেলে সাজাতে হয় সেটা আমি জানি না।
সাবেক এই পুলিশপ্রধান আরও বলেন, পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হলে আইনের সংস্কার প্রয়োজন। আমি দায়িত্বে থাকাকালে ২০১৭ সালে উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্তু তা আর হয়নি। সেখানে পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব যেমন ছিল, তেমনি পুলিশ কমপ্লেইন কমিশন গঠনেরও প্রস্তাব ছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে একটি স্বাধীন স্বতন্ত্র সংস্থা সেটা তদন্ত করবে। কিন্তু সেটা হয়নি আমলাদের কারণে। আর রাজনীতিকরা তো চাইবেই না। যদি রাজনৈতিক ও আমলাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন না ঘটে তাহলে সুশাসন যে কথাটা সেটা শুধু স্লোগানের মধ্যেই থাকবে। পুলিশকে অনেক বৈরী পরিবেশের মধ্যে কাজ করতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই পুলিশের সেবা চায় কিন্তু কেউ পুলিশকে পছন্দ করে না। পুলিশকে ভয় পায়, কিন্তু পুলিশকে ভালো জানে না।
জিয়াকে বড়ো করতে কাউকে ছোটো-বড়ো করতে হয় না: গয়েশ্বর- শীর্ষক খবরে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন লিখেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এক দলীয় বাকশাল থেকে বহু দলীয় গণতন্ত্রে প্রবর্তন করায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সাধারণ মানুষ উপরে স্থান দিয়েছে। জিয়াউর রহমানকে শ্রেষ্ঠ করতে কাউকে ছোটো বড়ো করতে হয় না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কর্মকান্ডের তুলনা নিজেই। আমরা যেন ভুল করে জিয়াউর রহমানের সাথে অন্য কারো তুলনা করতে না যাই। জিয়াউর রহমান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আজ রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার উল্লেখযোগ্য বিষয় নিয়ে খ্যাতনামা জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রামান্য চিত্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সাক্ষাৎকার ভিত্তিক প্রামান্য চিত্রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমান সর্বকালের একজন শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক। জিয়াউর রহমান একজন দূরদর্শী রাজনৈতিবিদ ছিলেন। জিয়াউর রহমান শ্রেষ্ঠ সংগঠক। একটি রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সাংগঠনিক দক্ষতা দরকার। এটি অল্প সময়ের মধ্যে জিয়াউর রহমান করতে পেরেছিলেন। পূর্ব পরিখল্পনা ছাড়াই স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি মুক্তিযুদ্ধে সবাইকে মাঠে নামাতে পেরেছিলেন। এবং সম্মুখ ভাগে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তিনি ইচ্ছা করে আসেন নাই। সিপাহী জনতা তাকে উদ্বুদ্ধ করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনেছে। জনগণ যে প্রত্যাশা নিয়ে জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন তিনি জনগণের সে প্রত্যাশা পূরন করতে পেরেছেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশকে একত্রিত করতে জিয়াউর রহমান সার্ক তৈরি করেছিলেন। সার্কের কার্যকারিতা না থাকায় দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে। বড় দেশগুলো যখন আমাদের নিয়ে খেলবে তখন আমরা বিপদে পড়ে যাবো। এসব থেকে মুক্তি পেতেই জিয়াউর রহমান র্সাক গঠন করেছিলেন। এটাই জিয়াউর রহমানে দূরদর্শীতা।
এবারে কোলকাতার দৈনিকের কিছু খবররে বিস্তারিত
Dilip Ghosh-Babul Supriyo: ‘বাবুলকে বলেছিলাম, এটা বিজেপি, এখানে ওসব চলবে না! শিল্পীরা রাজনীতিতে ফিট নন’-শীর্ষক খবরে দৈনিক আানন্দ বাজার লিখেছে, পর পর দু’বার আসানসোল থেকে জেতেন এবং মোদী মন্ত্রিসভায় জায়গা পান বাবুল। সেই সময়ে বার বার দিলীপ-বাবুল ‘সু-সম্পর্ক’ প্রকাশ্যে এসেছে।
শিল্পীরা রাজনীতিতে এসে মানিয়ে নিতে পারেন না বলেই মনে করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিতে থাকার সময়ের সমস্যা প্রসঙ্গে কথা বললেও দিলীপের তির অবশ্য সব শিল্পীর দিকেই।
শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভ ‘অ-জানাকথা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘রাজনীতিতে খুব একটা ফিট হন না শিল্পীরা। প্রত্যেককে নিয়েই সমস্যা আছে। আর এটা থাকবেই। কারণ, তাঁরা এক অন্য ধরনের জীবনযাপন করেন। নিজেদের ভগবানের পর্যায়ে নিয়ে যান। সবাই কাছে পেলে হই হই করে। ভাবেন আমি খুব জনপ্রিয়। রাজনীতিতে এসে দলের কর্মীদের সঙ্গেও তাঁরা সেই ধরনের ব্যবহার করেন যেটা সাধারণ মানুষের সঙ্গে করেন। দলের রীতি-নীতি, শৃঙ্খলা মানার অভ্যাস থাকে না। শুধু অভ্যাস নয়, ইচ্ছাও থাকে না।’
আধার কার্ডের জেরক্স জমা দেওয়ার আগে সাবধান, সতর্ক করল কেন্দ্র -শীর্ষক খবরে দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, আধার কার্ড (Aadhaar) ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সাবধান। আধারের জেরক্স নয়, কেবল মাত্র ‘মাস্কড’ আধার ব্যবহার করার পরামর্শ দিল ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। উল্লেখ্য, মাস্কড আধারে ১২ সংখ্যার আধার নম্বরের কেবল শেষ চারটিই দৃশ্যমান হয়। আধার কার্ডের অপব্যবহার রুখতেই এমন পরামর্শ কেন্দ্রের।
একটি নির্দেশিকায় কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কেউ যেন আধারের জেরক্স কোনও সংস্থার সঙ্গে শেয়ার না করেন। এটির অপব্যবহার হতে পারে। পরিবর্তে মাস্কড আধার ব্যবহার করা যাবে, যেটিতে স্রেফ আধার নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা দেখা যায়।
আবারও শুরু হয়েছে খুলনা-কলকাতা রুটে ট্রেন চলাচল - শীর্ষক খবরে দৈনিক আজকাল লিখেছে, আড়াই বছর পর কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে বন্ধন এক্সপ্রেস। স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে। অন্যদিকে, খুলনা থেকে দুপুর দেড়টায় কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেন বন্ধন। এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টায় কলকাতা থেকে খুলনায় এসে পৌঁছবে ট্রেনটি।
এর মধ্যে দিয়ে আড়াই বছর পর চালু হল আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। করোনায় ২০২০ সালের ১৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় বন্ধন এক্সপ্রেস।
ট্রেনটি যশোর স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে বেনাপোল বন্দর হয়ে সরাসরি পৌঁছবে কলকাতায়। প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ট্রেনটি চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মাঝে। ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা চিকিৎসা নিতে ভারতে যাতায়াতে ভোগান্তি কমবে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।
তাঁদের কথায়, বেনাপোলে যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড় থাকে। কিন্তু এখান থেকে গেলে আমাদের ভোগান্তি অনেক কম হয়। এতে আমাদের একটু খরচ বেশি হলেও সুবিধা হয়।
এদিকে খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিসের জন্য সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ। খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, প্রথম প্রথম চালু হওয়ায় টিকিট বিক্রি একটু কম। লোকজন ইতিমধ্যেই খবর পেয়ে গেছেন। আশা করি, কয়েক দিনের মধ্যে টিকিট বিক্রি বেড়ে যাবে। এর আগে সপ্তাহে একদিন চললেও এখন থেকে সপ্তাহে দু'দিন, রবিবার ও বৃহস্পতিবার ৮টি যাত্রীবাহী বগিতে চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে চলবে এই রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস। আর এই খবরে খুশি ভারতগামী যাত্রীরা।
শ্রোতাবন্ধুরা, কথাবার্তার অনুষ্ঠান আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আমাদের সঙ্গ দেয়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।