জুন ১৬, ২০২২ ১৬:২২ Asia/Dhaka
  • পত্রপত্রিকার পাতা
    পত্রপত্রিকার পাতা

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৬ জুন বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • কুমিল্লা সিটি নির্বাচন-আমাকে হারানো হয়েছে: সাক্কু-মানবজমিন
  • ফল ঘোষণায় দেরির কারণ বৃষ্টি-বিদ্যুৎবিভ্রাট-মারামারি, বললেন রিটার্নিং অফিসার-সমকাল
  • কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে যে কারণে হারলেন মনিরুল-প্রথম আলো
  • সেভেরোদোনেৎস্কে তীব্র লড়াই, হাজার হাজার মানুষ আটকা-ইত্তেফাক
  • দুই মামলায় হাইকোর্টে স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা জিয়া-যুগান্তর
  • ‘দক্ষিণাঞ্চলের জনগণকে উন্নত জীবন উপহার দিতে চাই’-প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • ঢাকায় জমি বা ফ্ল্যাট আছে সবাই কালো টাকার মালিক-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:

  • ‘বাড়ি ভাঙতে হলে মানতে হবে আইন’, বুলডোজার ইস্যুতে যোগী সরকারকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের-সংবাদ প্রতিদিন
  • অস্থায়ী ভিত্তিতে সেনা নিয়োগ!‌ ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে উত্তাল বিহার, ভাঙচুর ট্রেন-আজকাল 
  • কমিশনের সদস্য চাকরি দিয়েছেন বোনকেও! ফলের জন্য তৈরি হন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়-আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

জনাব সিরাজুল ইসলাম কথাবার্তার বিশ্লেষণে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। কিভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?

২. যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সৌদি জোট ইয়েমেনের দুটি তেল ট্যাংকার আটকে দিয়েছে, তাদেরকে হুদায়দা বন্দরে ভিড়তে দেয়নি। তাহলে এই যুদ্ধবিরতির কি অর্থ থাকতে পারে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

আমাকে হারানো হয়েছে: সাক্কু-মানবজমিন

তুমুল উত্তেজনা আর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। বেসরকারি ফলাফলে বলা হয়, নৌকা মার্কার প্রার্থী পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। তবে ফল কারচুপির অভিযোগ এনেছেন পরাজিত প্রার্থী সাক্কু। বুধবার রাতে ফল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। আমাকে হারানো হয়েছে।

১০১টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণার পরও সাক্কু তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রিফাতের চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। এর মধ্যে রিফাতের সমর্থকরা সেখানে তুমুল হট্টগোল শুরু করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দেয়। এই উত্তেজনার মধ্যে বেশ কিছু সময় ফল ঘোষণা বন্ধ থাকে। সে সময় সাক্কু বলেন, আমি রেজাল্ট না নিয়ে এখান থেকে যাব না। প্রয়োজনে লাশ যাবে।

ফল ঘোষণায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, আর চারটা কেন্দ্র বাকি আছে, দেন না কেন?

এর পরপরই রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১০৫টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটির ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী।

ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্রে থাকা সাক্কু তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল পেয়ে যোগ করে দেখেছি, আমি ৯৮০ ভোটের ব্যবধানে পাস করেছি।যে পরিস্থিতির মধ্যে যেভাবে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাক্কু বলেন, রাতে ধারাবাহিকভাবে ফলাফল ঘোষণা হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই রিটার্নিং কর্মকর্তা কিছুক্ষণের জন্য ফলাফল ঘোষণা বন্ধ করে দেন। তিনি ফোনে কথা বলেছেন।

সব কেন্দ্রের ফলাফল হাতে আছে দাবি করে সিটি করপোরেশনের দুইবারের এই মেয়র সাক্কু বলেন, আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেব।

ফল ঘোষণায় দেরির কারণ বৃষ্টি-বিদ্যুৎবিভ্রাট-মারামারি, বললেন রিটার্নিং অফিসার-সমকাল

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের ফল ঘোষণায় দেরি হওয়া কারণ হিসেবে ঝড়-বৃষ্টি, বিদ্যুৎ চলে যাওয়া ও দুই পক্ষের গোলযোগের কথা উল্লেখ করেছেন রিটার্নিং অফিসার মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এসব কারণে চারটি কেন্দ্রের ফল আসতে দেরি হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসারদের ফল তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

‘আধা ঘণ্টার বেশি কেন ভোটের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত ছিল? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটার পেছনে অন্য কোনো কারণ ছিল না। পরিস্থিতি প্রতিকূলে ছিল বিধায় সময় লেগেছে। দুই পক্ষই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল।’ওই সময় বারবার কার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হচ্ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, ‘তখনকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমি ফোনে কথা বলছিলাম সিইসি, ডিসি ও এসপির সঙ্গে। অন্য কারোর ফোন আসেনি।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পরাজিত প্রার্থী চাইলে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। তবে নতুন করে ফলাফল দেওয়া সম্ভব নয়। ফল ঘোষণার সময় তারা কেন অভিযোগ জানাননি। কারণ তাদের হাতে তো রেজাল্ট শিট ছিল।’

ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল-নির্বাচন কমিশন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে-যুগান্তর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই দেশ এখন আর কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়। দেশকে বর্বর, অসভ্য রাষ্ট্রে পরিণত করেছে আওয়ামী লীগ।

বাংলাদেশ একটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কুমিল্লার নির্বাচন নিয়ে ফখরুল বলেন, এখানে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। একজন সংসদ সদস্যকে কুমিল্লা থেকে বের করতে না পেরে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে কমিশন। তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্বাচন কী হবে? বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রথমেই নির্বাচন কমিশন দেখাল তার ক্ষমতা নেই। সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপিসহ কোনো রাজনৈতিক দল। বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতীপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থমন্ত্রী তো অনেক কিছুই করছেন। যেগুলোর সঙ্গে আইন, সংবিধান, নৈতিকতার কোনো সংযোগ নেই। তিনি পাচার করা টাকার বৈধতা চেয়েছেন পার্লামেন্টে। তারাই টাকা পাচার করছেন আবার তা ফিরিয়ে আনতে আইন তৈরি করছেন। দেশটার সব সম্পদ লুটপাট করছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচিত কলাম-খোলা চোখে-স্বপ্নের সেতু উদ্বোধন এবং রাজধানীর যানজট-মানবজমিন

প্রমত্তা পদ্মার দুই পাড় যুক্ত করেছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে পদ্মা পারাপারের দিনগুলো ২৫শে জুনের পর থেকে অতীত হতে শুরু করবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের জন্য এই সেতু নতুন করে জেগে ওঠার এক হাতিয়ার। অবহেলিত জনপদের মানুষের সামনে নতুন এক সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে পদ্মা সেতু। এই অঞ্চলের কৃষি, মৎস্য, পর্যটন শিল্পে এই সেতু অপার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। স্বপ্ন জাগিয়েছে মানুষের জীবন জীবিকার উন্নয়নে। খরস্রোতা পদ্মার দুই তীরকে এক করে এই স্বপ্নমালা গাঁথার কাজটি অবশ্য সহজ ছিল না। স্থপতি প্রকৌশলীরা যেমন অসাধ্য সাধনের মতো এক কাজ করেছেন, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার সাহসী চরিত্রটিকে আরেকবার জানান দিয়েছেন। নিজেদের অর্থে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ নিজের সক্ষমতারও জানান দিয়েছে বিশ্বকে। 

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ২৫শে জুন খুলছে পদ্মা সেতু। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের দুয়ার খুলে দেবেন।এক সময়ের দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি আর কষ্টের ইতি টেনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে রাজধানী হয়ে উঠবে ঘরের কাছের কোনো গন্তব্য। পুরো দিনের ভ্রমণ দূরত্ব কমে দাঁড়াবে কয়েক ঘণ্টায়। পদ্মা সেতু নিঃসন্দেহে দেশের স্থাপত্য ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। এই দেশের মানুষের সাহস আর অদম্য মানসিকতারও দৃঢ় এক প্রতিকৃতি। পদ্মা জয়ের এই সাফল্য পুরো জাতির। এই সাফল্য সরকারের। এই সাফল্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার সাহসী ভূমিকার কারণেই নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এই সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে লক্ষ্য অনুযায়ী। 

পদ্মার এমন সম্ভাবনার হাতছানির মধ্যেও নতুন এক ভয় জাগছে রাজধানীর মানুষের মনে। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত যানজটের আগুনে পদ্মার গাড়ির স্রোত নতুন করে ঘি ঢেলে দিতে পারে বলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন। বলা হচ্ছে, এতদিন ফেরির ভোগান্তির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক যানবাহন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করে গন্তব্যে যেতো। পদ্মা সেতু চালু হলে এই রুটে যাওয়া যানবাহন মুখ ফিরিয়ে নেবে। বিশেষজ্ঞদের একটি পরিসংখ্যান বলছে, সেতু চালুর পর পাটুরিয়া-দৌলদিয়া রুট ৪০ শতাংশের মতো আকর্ষন হারাবে। তার মানে এই রুটের ৪০ শতাংশ যানবাহন পদ্মা সেতু ব্যবহার করবে। 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চেহারা পাল্টে যাবে। প্রভাব ফেলবে পুরো দেশের অর্থনীতিতে। বাড়বে  মোট দেশজ উৎপাদন বা জিপিডি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য, মাছ, ফলমূল দ্রুত পরিবহন করা যাবে দেশের অন্য জেলায়। একইভাবে অন্য জেলাগুলোতে উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে পৌঁছে যাবে নদী বিধৌত এই জনপদে। পদ্মা বাধা কাটায় শিল্পায়ন সহজ হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ সমস্যার সংকট কেটে যাবে। খুলবে বিনিয়োগের নতুন দুয়ার। কাজের জন্য দক্ষিণের জেলাগুলো থেকে ঢাকা ছুটে আসা মানুষের স্রোত কমে যাবে শিল্প বিনিয়োগের ছোঁয়ায়।

পদ্মার এমন সম্ভাবনার হাতছানির মধ্যেও নতুন এক ভয় জাগছে রাজধানীর মানুষের মনে। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত যানজটের আগুনে পদ্মার গাড়ির স্রোত নতুন করে ঘি ঢেলে দিতে পারে বলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা আভাস দিয়েছেন। বলা হচ্ছে, এতদিন ফেরির ভোগান্তির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক যানবাহন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করে গন্তব্যে যেতো। পদ্মা সেতু চালু হলে এই রুটে যাওয়া যানবাহন মুখ ফিরিয়ে নেবে। বিশেষজ্ঞদের একটি পরিসংখ্যান বলছে, সেতু চালুর পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুট ৪০ শতাংশের মতো আকর্ষন হারাবে। তার মানে এই রুটের ৪০ শতাংশ যানবাহন পদ্মা সেতু ব্যবহার করবে। একইসঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গেও সরাসরি যোগাযোগ বেড়ে যাবে দক্ষিণের জেলার সঙ্গে। 

পদ্মা সেতু হয়ে দিনে ২৫ হাজারের বেশি যানবাহন চলবে। বছর বছর গাড়ি চলাচলের এই সংখ্যা বাড়তে থাকবে। এই যানবাহন পুরোটাই আসা যাওয়া করবে রাজধানীর উপর দিয়ে। বিশেষ করে রাজধানীর দুটি সড়ক ব্যবহার করে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে এসব যানবাহন যাবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে। এই দু’টি সড়কের একটি বাবুবাজার ব্রিজ হয়ে গেছে। অন্যটি জুরাইন-পোস্তাগোলা হয়ে গেছে। এই দুই সড়কে এমননিতে যানজট নিত্যদিনের চিত্র। সেতু চালু হলে এই যানজট নতুন রূপে দেখা যেতে পারে। তখন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোনো জেলা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দ্রুত ঢাকায় পৌঁছার পর নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে নতুন ভোগান্তির কারণ হতে পারে ঢাকার যানজট। পদ্মা সেতু প্রকল্প হাতে নেয়ার পরই এই যানজটের বিষয়টি সামনে এসেছিল। তখন বলা হচ্ছিল রাজধানীর যানজট এড়াতে আউটারে এক্সপ্রেসওয়ের মতো চার লেনের রিং রোড করা হবে। এমন সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনাও নেয়া হয়। যদিও এই প্রকল্পের এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো কিছু দেখা যাচ্ছে না। 

যানজটের কারণে রাজধানী এখন অনেকের কাছে অভিশাপের মতো। বিশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থা। অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন আর সেবা সংস্থাগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা দিনে দিনে নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। জীবন জীবিকার তাগিদে বসবাস করা এখানকার বাসিন্দাদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ সঙ্গী করে পথ চলতে হচ্ছে। যানজট কমাতে একের পর এক উড়াল সেতু, ওভার পাস নির্মাণ করা হলেও এর প্রভাব খুব একটা পড়ছে না। নতুন করে তৈরি হচ্ছে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে। চলছে বিআরটি প্রকল্পের কাজ। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে ভবিষ্যতে নগরীর যানজট কমবে এমনটি আশা করা হচ্ছে। যদিও নগরবিদরা বলছেন, ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন না হলে এমন বড় প্রকল্প দিয়ে রাজধানীর যানজট কমানো অসম্ভব।

সেভেরোদোনেৎস্কে তীব্র লড়াই, হাজার হাজার মানুষ আটকা-ইত্তেফাক

সেভেরোদোনেৎস্ক শহরে রুশ বাহিনী ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। শহরটিতে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ আটকে পড়ার পর জাতিসংঘ সতর্ক করে বলছে, তাদের প্রয়োজনীয় সরবরাহ শেষ হয়ে আসছে। এদিকে সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইউক্রেনের অস্তিত্ব টিকে থাকবে না।

ঢাকায় জমি বা ফ্ল্যাট আছে সবাই কালো টাকার মালিক-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকা শহরে যাদের জমি বা ফ্ল্যাট আছে, তারা সবাই কালো টাকার মালিক বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ পরিস্থিতির জন্য সরকারের বিদ্যমান ব্যবস্থাকে দায়ী করেন তিনি।

গতকাল অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিমত প্রকাশ করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর গুলশান এলাকায় জমির যে দাম দেখিয়ে নিবন্ধন করা হয়, জমির প্রকৃত দাম তার চেয়ে বেশি। কিন্তু বেশি দামে তো নিবন্ধন করানো যায় না, প্রতিটি মৌজার জন্য দাম ঠিক করে দেওয়া আছে, এর বেশি দামে নিবন্ধন করা যাবে না; সুতরাং কালোটাকা তো সেখানেই সৃষ্টি হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, যে ফ্ল্যাট ২ কোটি টাকায় নিবন্ধিত হচ্ছে, সেই ফ্ল্যাটের প্রকৃত দাম ১০  কোটি টাকা। ফলে সরকার বাড়তি নিবন্ধন মাশুল পাচ্ছে না। এখানেই কালোটাকা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়গুলো সবাইকে বুঝতে হবে। ঢাকা শহরে যার জায়গা আছে কিংবা যে ব্যক্তি জায়গা কিনেছেন, শুধু তিনিই বলতে পারবেন, কত টাকায় নিবন্ধন হয়েছে এবং জমির প্রকৃত বাজারদর কত।

এ জন্য সরকারের বিদ্যমান ব্যবস্থাকে দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, আমিও একসময় দায়িত্বে ছিলাম। ঢাকা শহরে জমির দাম বাড়ানো যায় কি না, সেটা নিয়ে চিন্তা করলেও শেষ পর্যন্ত দাম বাড়াতে পারিনি। যে দাম ছিল, এখনো সে দামই আছে।

পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়ে চাপে আছেন কি না- জানতে চাইলে  অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি  কোনোরকম চাপে নেই। যা বলেছি, তা করব। আমি অর্ধেক রাস্তা থেকে ফিরে আসি না।

তিনি বলেন, যখন বিদেশে পাচার হওয়া কালোটাকা দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি, তখন বলা হচ্ছে, সরকার নাকি কালোটাকা সাদা করার ক্ষেত্রে প্রশ্রয় দিচ্ছে। আমি বারবার বলি, এটা অপ্রদর্শিত টাকা, এখানে লজ্জার কিছু নেই।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

‘বাড়ি ভাঙতে হলে মানতে হবে আইন’, বুলডোজার ইস্যুতে যোগী সরকারকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের-সংবাদ প্রতিদিন

বুলডোজার চালিয়ে বাড়ি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তিনদিনের মধ্যে শীর্ষ আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে হবে যোগী সরকারকে (Uttar Pradesh)। জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দের তরফে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আপিল করা হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। আদালতের তরফে আরও বলা হয়েছে, সঠিক প্রক্রিয়া না মেনে বাড়ি ভাঙা যাবে না। আগামী সপ্তাহে ফের শুনানি হবে এই মামলায়।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে, সরকার অনেক সময় পাবে অভিযোগ জানানোর জন্য। কিন্তু তার মধ্যে সব নাগরিককে সুরক্ষিত রাখতে হবে। সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়েই সমাজ গড়ে ওঠে। তাই তাঁদের কোনও সমস্যা হলে, তার সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। বাড়ি ভেঙে দেওয়ার মতো কাজ করতে গেলে আইন মেনে করতে হবে।তবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে বলা হয়েছে, নিয়মমতোই বাড়ি ভাঙা হয়েছে।

কেন্দ্রের ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের প্রতিবাদে উত্তাল বিহার, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর, পালটা কাঁদানে গ্যাস-/আজকাল/ সংবাদ প্রতিদিন

মঙ্গলবার ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পরিকল্পনা ‘অগ্নিপথ’-এর (Agnipath) কথা ঘোষণা করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defense Ministry)। তারপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন সেনাবাহিনীতে চাকরি করার স্বপ্ন দেখা বহু মানুষ। সেই অসন্তোষ থেকেই তীব্র বিক্ষোভ শুরু হল বিহারে (Bihar)। রেল ও সড়ক পথ অবরোধ করল বিক্ষোভকারীরা। ট্রেন ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় প্রতিবাদীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে স্লোগানও দেন তাঁরা।জানা গিয়েছে, গত দু’দিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে বিহার (Bihar Protest)। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস চালাচ্ছে পুলিশ। পালটা পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়ে প্রতিবাদীরা। জাহানাবাদ এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে পুলিশ বন্দুক তাক করে পুলিশ।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৬

ট্যাগ