জুলাই ০৪, ২০২২ ১৪:৩২ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৪ জুলাই সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • গ্যাস স্বল্পতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দুঃখপ্রকাশ–ইত্তেফাক
  • শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ, না জানাতে কোরআন ছুঁয়ে শপথ-মানবজমিন
  • পদ্মা সেতু পার হয়ে টুঙ্গিপাড়া গেলেন প্রধানমন্ত্রী- প্রথম আলো
  • ‘শাহজালালে দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষ-যুগান্তর
  • ঈদ উপলক্ষে ১ লাখ ৩০০ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ -বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • ঢাবির ‘ক’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০ শতাংশ -কালের কণ্ঠ
  • বিদেশে বাংলাদেশি নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে? -ডেইলি স্টার

ভারতের শিরোনাম:

  • অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ন্যায়ের পথে চলার শিক্ষা দেব, স্কুলে যোগ দিয়ে বললেন ববিতা-আনন্দবাজার
  • এবার করোনা প্রাণ কাড়ল বাঘের, কোভিড ঘিরে ফের ত্রাস ছড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে-আজকাল

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

ইসিতে ১৪ কূটনীতিক স্বচ্ছ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য অত্যাবশ্যক-মানবজমিন

জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) সদস্য দেশগুলো। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে যেকোনো প্রকার সহযোগিতা দিতেও প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রতিনিধি দল। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ওইসিডিভুক্ত ১৪টি দেশের কূটনীতিকরা ইসির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

মানবজমিনের নির্বাচিত কলাম- শিরোনাম-ভেতর বাহির-পদ্মা সেতু কি সত্যিই ‘জাদু’ দেখাবে? ডা. জাহেদ উর রহমান তাঁর এ কলামে লিখেছেন, গত কিছুদিন ধরেই পদ্মা সেতু দেশে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্কের এক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে আছে। এখন তীব্রতা কমে এসেছে অনেকটা। এই দেশে বিবদমান রাজনৈতিক পক্ষগুলো সেতুটি নিয়ে চরম বিতর্কে জড়িয়ে পড়া একরকম অনিবার্যই ছিল। তুলনামূলকভাবে আরও অনেক ছোট ইস্যুতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী বক্তব্য নিয়ে মাঠ উত্তপ্ত করে তোলে। পদ্মা সেতুর মতো এতবড় বিষয় এবং যেটিকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হবার নানা কারণ আছে, তা নিয়ে বিতর্ক তো হবারই কথা।  পদ্মা সেতুর ব্যয় দফায় দফায় বেড়ে বিশ্বব্যাংক থাকাকালীন প্রাক্কলিত প্রাথমিক ব্যয়ের তিনগুণ হয়েছে। ওদিকে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুতে যাবার পথ ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কটি ১১ হাজার কোটি টাকায় তৈরি হয়েছিল। অর্থাৎ প্রতি কিলোমিটার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই মহাসড়ক তৈরি হয়েছে একই মানের ইউরোপ/আমেরিকায় তৈরি করা সড়কের অন্তত ৬ গুণ বেশি খরচে। এছাড়াও সেতুর রেল সংযোগের পেছনে চীনা ঋণ নির্ভর ৪০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অর্থনৈতিক উপযোগ নিয়ে গুরুতর সংশয় রয়েছে।

সর্বোপরি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সেতুটির অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দল এবং নাগরিক সমাজের পুরনো বিতর্কটি আবার এসেছে। এসব বিতর্কের মুখে দাঁড়িয়ে সরকার এই সেতু সম্পন্ন করতে পারাকে এক ধরনের যুদ্ধ জয় হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করেছে।

সেতুটি নিয়ে সারা দেশের বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভীষণ উচ্ছ্বাস থাকারই কথা। অন্তত যে মানুষগুলো নিয়মিতভাবে ঢাকায় আসা-যাওয়া করেন এই রাস্তার ফেরিতে যাবার কষ্টের কথা ভুলতে পারবেন না নিশ্চয়ই। তবে তাদের কষ্ট খুব সহজে শেষ হয়েছে, এমনটা চট করে বলে ফেলা যাবে না। এর মধ্যেই আমাদের সামনে খবর এসেছে ভাঙ্গার পরে দক্ষিণাঞ্চলের বিরাট একটা এলাকায় রাস্তা সরু, আবার ঢাকায় ঢোকার পর ওই এলাকার তীব্র জ্যাম, সব মিলিয়ে সময় কমানোর ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদে এই সেতুর সুবিধা কতোটা পাবেন তারা, সেটা খুব নিশ্চিত নয়। কিন্তু সবকিছুর পরও প্রাথমিক উচ্ছ্বাসটা আছে নিশ্চয়ই। 

নিজের টাকায় সেতু বানানো কি ভালো? 

এই সেতু এবং এর অবিচ্ছেদ্য অংশ অন্যান্য প্রকল্পগুলোর ব্যয় যেভাবে বেড়েছে, তাতে দুর্নীতির আলোচনা এই কলামে সরিয়ে রাখলেও এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এই বিশাল ব্যয় সার্বিকভাবে এই প্রকল্পগুলোর অর্থনৈতিক উপযোগিতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সঙ্গে নিজ অর্থে সেতু বানানোও অর্থনৈতিক বিবেচনায় আমাদের জন্য সঠিক কাজ হয়নি। নিজেদের তহবিল থেকে সেতু তৈরি করার যে গর্ব সরকারের দিক থেকে দেখানো হচ্ছে, তাতে এক ধরনের জাতীয়তাবাদ উস্কে দেয়ার চেষ্টা আছে কিন্তু নেই অর্থনৈতিক জ্ঞান। একজন সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তিও নতুন কোনো শিল্প নিজের নগদ টাকায় তৈরি না করে ব্যাংকে যান এবং নিজের কিছু অংশের সঙ্গে বেশিরভাগ টাকাই নেন ব্যাংক ঋণ থেকে। ব্যাংক ঋণ নিয়ে শিল্প স্থাপন করে উৎপাদন করে ব্যবসা করতে করতে সেই আয় থেকে ঋণ পরিশোধ করাটাই অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি ভালো পন্থা। এতে ঋণের সুদের পেছনে যে ব্যয় হয়, ব্যবসা থেকে আয় সেটাকে ছাড়িয়ে যায় বহুগুণে। যেকোনো বিবেচনায় ঋণ করে পদ্মা সেতু বানাতে পারলে সেটাই হতো সবচেয়ে ভালো ব্যাপার। এসব ক্ষেত্রে প্রকল্পের ধরন অনুযায়ী ঋণের ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত গ্রেস পিরিয়ড থাকে। ওই সময়ের মধ্যে প্রকল্প শেষ করে প্রকল্প যখন তার অর্থনৈতিক প্রভাব রাখতে শুরু করে তখন তার ঋণ ২০ বা তারও বেশি সময়ে শোধ করা যায়।  

বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সংকটের সময়ের সেতু সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া দৈনিক সমকালে (২৬শে জুন) সাক্ষাৎকার দিয়ে স্পষ্টভাবে বলেছেন, দোষী না হলেও তাকে সরকার জেলে পাঠিয়েছিল ব্যাংককে খুশি করার জন্য যাতে ঋণটা পাওয়া যায়। একজন মানুষ দোষী না হলেও তাকে জেলে পাঠানো তো এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ। আবার দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি রীতিমতো এক গুরুতর প্রশ্ন তুলে তিনি এটাও জানিয়েছিলেন, তাকে সরকারই আবার আদালতকে দিয়ে জেল থেকে বের করে। এই সাক্ষাৎকারের ব্যবচ্ছেদে ঢুকছি না, এই কলামের স্বার্থে এটুকু বলতে চেয়েছি, সরকারও আসলে শুরুতে সব রকমভাবে চেষ্টা করেছিল ঋণটা পেতে। 

পদ্মা সেতুর ‘জাদু’ নিয়ে সরকারি দাবি 

সবকিছুর পরও সেতু তৈরি সম্পন্ন হয়ে গেল। সেতু নিয়ে দুর্নীতির সমালোচনা এবং ব্যক্তিগত উচ্ছ্বাস সরিয়ে রেখে জাতি হিসাবে আমাদের সামনে এখন এই আলাপ জরুরি, পদ্মা সেতু আমাদের কতোটা অর্থনৈতিক উপযোগ দেবে এবং সেটা পাওয়া যাবে কী করে।  সরকারের দিক থেকে মন্ত্রী এবং সরকার দলীয় নেতাদের অনেকে তো বটেই, কিছু অর্থনীতিবিদ পদ্মা সেতুকে আমাদের সামনে এমনভাবে উপস্থাপন করছেন, যাতে মনে হয় এই সেতু স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেক কিছু করে ফেলবে। যেমন- দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি দুই শতাংশ বাড়বে, ওই এলাকার মানুষদের অর্থনৈতিক অবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি হয়ে যাবে, মানুষের দারিদ্র্য দ্রুত অনেক কমে যাবে ইত্যাদি। শুনতে মনে হয় অনেকটা জাদু ঘটিয়ে দেবে সেতুটি।  

আরেক বড় সেতু যমুনা কি জাদু দেখিয়েছিল? 

শুধু একটা সেতু কি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাদু ঘটিয়ে দেয়? সেতুর মাধ্যমে সংযুক্তি নিশ্চিত হলেই কি মানুষ বাকি কাজ করে ফেলতে পারে? তাহলে আমাদের এদেশে পদ্মার আগের বৃহৎ সেতুটি নিয়ে কিছুটা আলাপ করা যাক। যমুনা সেতু তার আয়ুর সিকি শতাব্দী পূর্ণ করেছে। তাই এখন বলাই যায়, যথেষ্ট সময় হয়েছে এই সেতুর প্রভাব বিবেচনার জন্য। বলা বাহুল্য যখন যমুনা সেতু উদ্বোধন হয়েছিল, তখনো এখনকার মতোই উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগ রাজশাহী আর রংপুরের মানুষদের মধ্যে। দেখে নেয়া যাক বর্তমান পরিস্থিতিটা কি? এই পর্যায়ে রংপুর আর রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি জেলার ২০১০ এবং ২০১৬ সালে জাতীয় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের শতকরা অবস্থান দেখে নেই। এখানে ব্যবহৃত ডেটা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা জরিপ থেকে নেয়া হয়েছে। 

প্রতিটি জেলার ক্ষেত্রে ব্র্যাকেটের প্রথম সংখ্যাটি ২০১০ এবং পরবর্তী সংখ্যাটি ২০১৬ সালে দারিদ্র্যের শতকরা হার নির্দেশ করে- কুড়িগ্রাম (৬৩.৭ এবং ৭০.৮), দিনাজপুর (৩৭.৯ এবং ৬৪.৩), লালমনিরহাট (৩৪.৫ এবং ৪২), নওগাঁ (১৬.৯ এবং ৩২.২), চাঁপাই নবাবগঞ্জ (৩৩.৪ এবং ৩৯.৬), পাবনা (৩১.৫ এবং ৩৩)। অর্থাৎ এই জেলাগুলোতে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৫ বছর ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার পরও দেশের দরিদ্রতম বিভাগ রংপুরের দারিদ্র্য দেশের সার্বিক দারিদ্র্যের দ্বিগুণের বেশি (৪৭.২৩ শতাংশ) আর তৃতীয় দরিদ্রতম বিভাগ রাজশাহীতে সেটা প্রায় দেড়গুণ (২৮.৯৩ শতাংশ)। এখানে এই তথ্যও জরুরি, রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগের যেসব জেলায় দারিদ্র্য কমেছে সেগুলোতে এই কমার হার দেশের অন্য অনেক অঞ্চলের তুলনায় অনেক ধীর।  মজার ব্যাপার আবহমানকাল থেকে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ময়মনসিংহ বিভাগ বাংলাদেশের দ্বিতীয় দরিদ্রতম বিভাগ যার ৩২.৭৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। 

আবার অনাদিকাল থেকে সড়কপথে ঢাকা হতে বিচ্ছিন্ন দুই বিভাগ বরিশাল বিভাগ (২৬.৪৯ শতাংশ) খুলনা বিভাগের (২৭.৪৮ শতাংশ) দারিদ্র্য সর্বোচ্চ তিনে নেই।  আমাদের অনেককে হয়তো ভীষণ অবাক করবে হয়তো এই তথ্য- দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভোলায় দারিদ্র্যের হার মাত্র ১৫.৫ শতাংশ যা জাতীয় হারের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। এছাড়াও পদ্মা নদী দিয়ে বিচ্ছিন্ন দুইটি জেলা মাদারীপুর (৩.৭ শতাংশ) এবং ফরিদপুরের (৭.৭ শতাংশ) দারিদ্র্যের হার অকল্পনীয় রকম কম। এসব তথ্য এটা নিশ্চয়ই প্রমাণ করে, রাজধানী এবং দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ থাকাই একটি এলাকাকে আমূল পাল্টে দেয় না। এর সঙ্গে আছে আরও অনেকগুলো জরুরি বিষয়। 

মঙ্গা কি দূর হয়েছে যমুনা সেতুর কারণে? 

যমুনা সেতুর প্রভাব উল্লেখ করতে গিয়ে অনেকেই উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা শেষ হবার উদাহরণ দেন। প্রশ্ন হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা কী সত্যিই শেষ হয়েছে?  এই বছরের ২২শে মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. আহমেদ মুশফিক মোবারক ‘সিজনাল প্রভার্টি, ক্রেডিট অ্যান্ড রেমিট্যান্স’ শীর্ষক একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে। গবেষণাপত্রটির মাধ্যমে ড. মুশফিক প্রমাণ করেছেন, বাংলাদেশ থেকে মঙ্গা এখনো দূর হয়নি, তবে তীব্রতা কিছুটা কমেছে।  ড. মুশফিক আমাদের জানান- ‘গবেষণায় অংশ নেয়া মানুষের মধ্যে ২৫ শতাংশ বলেছে, এ সময়ে তারা ঠিকমতো খেতে পায় না অথবা তিনবেলা খেতে পেলেও তার পরিমাণ কম থাকে। পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবারও খেতে পায় না। ফলে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। এ মানুষগুলো বছরের নির্দিষ্ট এ সময়টায় খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায়ও ভোগে।’ 

আইজিপির কড়া বার্তা-গরুর ট্রাকে চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না-যুগান্তর

ঈদুল আজহা ঘিরে পশু বহনের ট্রাকে কেউ চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যাতে এ ধরনের অপরাধে যুক্ত হতে না পারে সেজন্য পুলিশকে আগাম সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। মাঠপর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে রোববার এক ভিডিও কনফারেন্স পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদ এ নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, পুলিশের কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বন্যাকবলিত এলাকাসহ দেশজুড়ে ঈদের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আগাম প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বেশ কিছু নির্দেশনা দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক।

ঈদ আনন্দ যেন দুঃস্বপ্ন, মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন বানভাসিরা-যুগান্তরের এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা কদিন পরেই। করোনা মহামারির কারণে কিছুটা কম হলেও সারা দেশে বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। কিন্তু এ আমেজ পুরোপুরি উধাও বন্যাকবলিত নেত্রকোনা জেলায়। 

ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ১০ লাখ পরিবার পানিবন্দি। সরকারি হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫০ জন মানুষ। তিন সপ্তাহের বেশি সময় জেলার মানুষ বানের পানিতে ভাসছেন। বানের পানিতে চোখের পলকে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে সহস্রাধিক পরিবার। এ অবস্থায় বানভাসিদের ঈদের আনন্দ পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নে।

জেলার বেশিরভাগ জনপদে এখনও থইথই করছে বন্যার পানি। ফলে ঈদের আমেজ অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে।

বিদেশে বাংলাদেশি নারী শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কে?-ডেইলি স্টার

স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার মাত্র এক বছরের মাথায় গত এপ্রিলে প্রায় ৩৪০ জন নারী অভিবাসী দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। দৈনিকটি অপর এক খবরে লিখেছে, কেমন আছেন বানভাসি প্রান্তিক মানুষ? স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ভেসে গেছে মানুষের সর্বস্ব। বন্যায় সব হারানো মানুষগুলো কীভাবে টিকে আছেন।

এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

এবার করোনা প্রাণ কাড়ল বাঘের, কোভিড ঘিরে ফের ত্রাস ছড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে-আজকাল

অতিমারির পরিসমাপ্তি এখনও ঘটেনি। তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকেই করোনাবিধিতে ঢিলেমি এবং বুস্টার ডোজে অনীহা সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নতুন করে বিশ্বের ১১০টি দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। সংক্রমণের পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর হার। মানুষের পর এবার করোনার থাবা পশুদের শরীরেও। এবার প্রাণ কাড়ল এক পূর্ণবয়স্ক বাঘের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিয়োর কলম্বাস জু অ্যান্ড অ্যাকোয়ারিমের তরফে ২৬ জুন জানানো হয়েছে, ১৪ বছরের জুপিটার সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়। অতিমারির শুরু থেকেই বহু প্রাণীই করোনা আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় প্রাণ হারিয়েছে বহু প্রাণীও। কিন্তু চলতি বছরে জুপিটার প্রাণীদের মধ্যে প্রথম প্রাণ হারাল।এরপর চিড়িয়াখানায় প্রাণীদের দেখাশোনার ক্ষেত্রে কর্মীদের মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ন্যায়ের পথে চলার শিক্ষা দেব, স্কুলে যোগ দিয়ে বললেন ববিতা-আনন্দবাজার পত্রিকা

দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে সাফল্য পেলেন ববিতা সরকার। সোমবার সপ্তাহের শুরুর দিনেই কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবে কাজে যোগ দিলেন তিনি। ওই স্কুলেই চাকরি করতেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। সেই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলেন ববিতা। অবশেষে হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন অঙ্কিতা। তাঁর স্থানে নিয়োগপত্র দেওয়া হয় ববিতাকে।

সোমবার মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসাবে যোগ দেন ববিতা। দীর্ঘ লড়াইয়ের স্বীকৃতি মেলায় তিনি উচ্ছ্বসিত। ববিতা বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিনের লড়াইয়ের অবসান হল। আমি খুব খুশি হয়েছি। হাই কোর্টের নির্দেশে এই স্কুলে যোগ দিয়েছি। আগামী দিনে দায়িত্ব সহকারে এই কাজ করার চেষ্টা করব।’’

ছ’মাসের মধ্যেই পতন হবে শিন্ডে সরকারের, শক্তিপরীক্ষার আগে ভবিষ্যদ্বাণী পওয়ারের- আনন্দবাজার পত্রিকা

এক সপ্তাহও হয়নি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন একনাথ শিন্ডে। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে শিন্ডে শিবির মহারাষ্ট্রের মসনদে বসেছে। সোমবার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছেন একনাথ। এই প্রেক্ষাপটে নতুন সরকার কত দিন টিকবে তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। রবিবার সন্ধ্যায় এনসিপির বৈঠকে পওয়ার বলেন, আগামী ছ’মাসের মধ্যেই পতন হতে পারে মহারাষ্ট্রের নতুন সরকারের। সে কারণে মহারাষ্ট্রে অসময়ে নির্বাচনও হতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। তাই সকলকে প্রস্তুত থাকার আবেদন করেছেন। উদ্ধব ঠাকরে বনাম একনাথ শিন্ডে সঙ্ঘাতের পারদ ক্রমশ চড়ছে। শিবসেনার অন্দরে জটিলতা রোজই বাড়ছে। এই অবস্থায় পওয়ারের মন্তব্য নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করা হচ্ছে। পওয়ারকে উদ্ধৃত করে বৈঠক শেষে এক এনসিপি নেতা বলেছেন, ‘‘শিন্ডেকে যাঁরা সমর্থন করেছেন, সেই সমস্ত বিদ্রোহী বিধায়কের অনেকেই খুশি নন। এ কথা বলেছেন পওয়ার। মন্ত্রিত্ব বণ্টনের পরই অসন্তোষ বাড়বে। যার ফলেই সরকার পড়ে যাবে।’’#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৪

ট্যাগ