পত্র পত্রিকার পাতার গুরুত্বপূর্ণ খবর
অফিসে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে, অন্যথায় ব্যবস্থা: রাষ্ট্রপতি
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
-
অফিসে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে, অন্যথায় ব্যবস্থা: রাষ্ট্রপতি–দৈনিক প্রথম আলো
- ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
- রোহিঙ্গা সংকটের ৫ বছর: ভূরাজনীতির ফাঁদে আটকে একটি জাতি-দৈনিক মানবজমিন
- রোহিঙ্গা সঙ্কটকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার : মির্জা ফখরুল- দৈনিক নয়াদিগন্ত
- ‘ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা, সিটি করপোরেশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়নি’-দৈনিক যুগান্তর
ভারতের শিরোনাম:
- সিবিআই-তৃণমূল ‘সেটিং’! কেন্দ্রীয় সরকারি সভায় হাজির হয়ে কলকাতায় বিস্ফোরক দাবি দিলীপের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- জেলে হঠাৎ অসুস্থ পার্থ, নিয়ে যাওয়া হল এসএসকেএমে -দৈনিক আজকাল
- তালিবানের হাতে আটক মার্কিন পরিচালক, চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হল গোপন স্থানে-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
শ্রোতাবন্ধুরা! এবরে গুরুত্বপুর্ণ খবরের বিশ্লেষণে যাওয়া যাক।
জনাব সিরাজুল ইসলাম কথাবার্তার বিশ্লেষণে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
কথাবার্তার প্রশ্ন (২৫ আগস্ট)
১. বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ১৫০ আসনে ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে এবং এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত মুখ্য নয়। কীভাবে দেখছেন তার এ বক্তব্যেকে?
২. সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মার্কিন সেনারা হামলা চালাচ্ছে। তারা দাবি করছে- ইরান সমর্থিত গেরিলাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন?
এবারে বাংলাদেশের পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবরের দিকে নজর দেয়া যাক।
অফিসে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে, অন্যথায় ব্যবস্থা: রাষ্ট্রপতি–দৈনিক প্রথম আলো
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্বশীল ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় গতকাল বুধবার স্থানীয় কর্মকর্তা ও পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘অফিসে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা।’ স্থানীয় একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া হয় না, এ অভিযোগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি কর্মচারীদের সব নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। ছেলেমেয়েরা যাতে সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে, সেই পরিবেশও নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যাঁরা মনে করেন, এলাকার উন্নয়নের ফলে তাঁদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সংকুচিত হচ্ছে, তাঁরাই বিভিন্ন অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। ভোটারদের উদ্দেশে আবদুল হামিদ বলেন, ‘রাজনীতিবিদ আসবেন ও যাবেন। কিন্তু হাওরের উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন, ব্যক্তি ও পারিবারিক উন্নয়নের পরিবর্তে জনগণের উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন, তাঁকেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুন।’
নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ কষ্টে আছে : সেতুমন্ত্রী-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ কষ্টে আছে। তবে এই অস্থিরতা, বাস্তবতা আমাদের সৃষ্টি নয়, আমরা বিশ্ব পরিস্থিতির মূল্য দিচ্ছি। এরকম দিন থাকবে না। মানুষের কষ্ট হচ্ছে সরকার এটা জানে। এই অবস্থাও থাকবে না। আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তান হবে না, উন্নত দেশ হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। এই বৈরী পরিস্থিতিতেও তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এদেশে গণতন্ত্রের জন্য একটি পরিবার পর্যন্ত শেষ হয়ে গেল। তারা এই সেক্রিফাইস করেছিলেন বলেই আজকে বাংলাদেশ আলোকিত বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর হাতে স্বাধীনতা, শেখ হাসিনার হাতে মুক্তি। এটাই নিয়তি।
কাদের আরো বলেন, পৃথিবীতে যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এযাবত হয়েছে এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে সবথেকে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হলো বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড। ’৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ’৭৫ এর হত্যাকাণ্ড। একটি হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান, আরেকটি ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তার ছেলে তারেক রহমান।
‘ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা, সিটি করপোরেশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়নি’-দৈনিক যুগান্তর
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, 'রাত ১২টার পর ওষুধ বিক্রি বন্ধ বা হাসপাতালের সময়সীমা কমানোর কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে।'
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন যদি এটা (রাত ১২টার পর বন্ধ) বলে থাকে, তাহলে তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই সিদ্ধান্ত তারা আলোচনা করে নেয়নি।'
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে হাসপাতাল বিষয়ক এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
প্রসঙ্গত, ওষুধের দোকান রাত ১২টার পর বন্ধের নির্দেশনা জারি করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। বর্তমান সরকার মেডিকেল শিক্ষা ও সেবার মান নিয়ে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজ শিক্ষা কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। সাবজেক্ট হিসেবে রোগীর সঙ্গে কীভাবে ভালো ব্যবহার করা হবে, উন্নত চিকিৎসা দেওয়া যায়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয় যোগ করা হয়েছে।'তিনি বলেন, শিক্ষকের হার অনেক কম। অধ্যাপকের তুলনায় অর্ধেক। এটা পূরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা সংকটের ৫ বছর: ভূরাজনীতির ফাঁদে আটকে একটি জাতি-দৈনিক মানবজমিন
গত ১৯শে জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবসের পূর্বে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পের মধ্যে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জরো হয়েছিল। ‘চলো বাড়ি ফিরি’ প্রচারণার প্রথম দিন উপলক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ ওই সমাবেশটি আয়োজিত হয়েছিল। উখিয়ার ২১ ক্যাম্প এবং টেকনাফের ২ ক্যাম্পে এই প্রচারণা চলে। ওই সমাবেশে যোগ দেয়াদের একজন ২৩ বছরের জানে আলম। তিনি জানালেন, আমরা এখানে একই ব্যানারের নিচে জরো হয়ে বলতে চাই যে, ‘আমরা মিয়ানমারে ফিরতে চাই’। আমাদের গত বছর কিংবা তার আগের বছর সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। আমাদের বাংলাদেশে আসার পাঁচ বছর পূর্তিতে জরো হতে পারবো কিনা তাও জানি না।
২০১৯ সালে রোহিঙ্গাদের লক্ষাধিক মানুষের এক সমাবেশের পর তাদের সমাবেশের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তবে গত ১৯শে জুন কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল। আলম বলেন, আমরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই তবে শুধুমাত্র সেটি নিরাপদ হলেই। এখন আমরা শুনছি, সেখানে যুদ্ধ আরও বেড়েছে।
তাহলে আমরা কীভাবে যাব?
২৫শে আগস্ট রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার ৫ বছর পূর্ন হলো। প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেই অবশ্য বাংলাদেশে ৩ লাখ রোহিঙ্গা আগে থেকেই ছিল। ১৯৭৮ এবং ১৯৯১ সালের এক অভিযানের পর ওই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর শুরু করে গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগ। তাদের বর্বর অত্যাচার নির্যাতনের মুখে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। গত ৫ বছরে তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে আরও দেড় লাখের উপরে।
রোহিঙ্গা সঙ্কটকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার : মির্জা ফখরুল- দৈনিক নয়াদিগন্ত
সরকার রোহিঙ্গা সঙ্কটকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কটকে এখন আর গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে না বিশ্ব। অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সঙ্কটকে বিশ্ব দরবারে যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাঁচ পাঁচটি বছর পার হয়ে গেলেও বাংলাদেশের অবৈধ, অনির্বাচিত গণবিচ্ছিন্ন সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মূলত শুরু থেকেই এ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।’ তিনি বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বোঝা বহন করে চলেছে। একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী প্রতিবছর গড়ে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু যুক্ত হচ্ছে। সে হিসেবে গত চার বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং এ সংখ্যা দিন-দিন বাড়তেই থাকবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা একদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর অসহনীয় চাপ সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে পরিবেশ, প্রতিবেশ এবং সামাজিকভাবে জীবন-জীবিকায় চরম অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মাদক ব্যবসা, নারী পাচার ও নানাবিধ অসামাজিক ও আইন বিরোধী কার্যকলাপে সৃষ্ট অশান্ত ও অস্থির পরিস্থিতি, মাদক চোরাচালান ও মাদক পাচারে রোহিঙ্গাদের জড়িয়ে পড়া, রোহিঙ্গাদের অন্তর্দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গা নেতা হত্যা- ইত্যাদি বিষয় চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে ভালো ভবিষ্যতের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ পথে, যেমন সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করছেন।’
হাতে ৮০০ কোটি, ৪০ বিধায়ককে কিনে আপ সরকার ফেলার ছক বিজেপির: কেজরীবাল-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
দিল্লিতে সরকার ফেলতে ৮০০ কোটি টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে বিজেপি। লক্ষ্য ৪০ জন আপ বিধায়ককে ‘কিনে’ সরকার ফেলে দেওয়া। বৃহস্পতিবার রাজঘাটে দাঁড়িয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। কেজরীবাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের তল্লাশির পর দিনই সিসৌদিয়ার কাছে প্রস্তাব এসেছিল আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার। ভাগ্যিস মণীশের মতো মানুষকে পাশে পেয়েছিলাম যাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনও মোহ নেই। আপ বিধায়করা মরে যাবেন, কিন্তু বিক্রি হবেন না। বিজেপি দিল্লিতে আমার সরকার ফেলার জন্য ৮০০ কোটি টাকা হাতে নিয়ে নেমেছে। ওদের লক্ষ্য ৪০ বিধায়ককে কিনে আমার সরকার ফেলে দেওয়া।’’
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির ‘অপারেশন লোটাস’কে ব্যর্থ করে দেওয়ার দাবি করে আপ বিধায়করা জড়ো হয়েছিলেন মহাত্মা গাঁধীর সমাধিস্থলে। আম আদমি পার্টির অভিযোগ, তাদের ৪০ জন বিধায়ককে নিশানা করেছে বিজেপি। তাদের প্রত্যেককে ২০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও এসেছে গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে। কেজরীবালের বাসভবনে আপ বিধায়কদের বৈঠকে ১২ জন বিধায়ক দাবি করেছেন, তাদের কাছে বিজেপি প্রস্তাব দিয়েছিল আপ ভেঙে বেরিয়ে আসার।
বিলকিস বানো মামলায় নয়া মোড়, গুজরাট সরকারকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের -দৈনিক আজকাল
বিলকিস বানো মামলায় নয়া মোড়, গুজরাট সরকারকে নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ জন অভিযুক্তকে ১৫ আগস্ট মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। তারপর থেকেই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। খোদ বিলকিস বলেছিলেন, দু’দশক আগের আতঙ্ক ফের ফিরে এসেছে তাঁর জীবনে। ভয়হীন বেঁচে থাকার অধিকারটুকু ফিরে পেতে চেয়েছেন বানো। গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামালা দায়ের হয়েছিল দিন কয়েক আগেই।
২৩ আগস্ট বিলকিস মামলায় গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য সুভাষিণী আলি, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আজ, বৃহস্পতিবার বিলকিস মামলায় গুজরাট সরকারকে নোটিস দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম নির্দেশে বলা হয়েছে, কেন ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তার জবাব দিতে হবে গুজরাট সরকারকে।
দু’সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি। তার আগে জবাব দিতে হবে গুজরাট সরকারকে। ২০০২ সালে বানোর সঙ্গে ঘটে ভয়াবহ ঘটনা। ২১ বছরের বানোকে গণধর্ষণ করা হয়, বানো তখন ৫ মাসের গর্ভবতী। এক সন্তানের মা। সেই সন্তানকে তার সামনেই মেরে ফেলা হয়। খুন করা হয়ে তাঁর পরিবারের লোকেদেরও। ২০০৮ সালে অভিযুক্ত ১১ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট ধর্ষণে অভিযুক্ত ১১ জনকে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার।
বিদেশনীতিতে নয়া মোড়? ইউক্রেন প্রসঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট ভারতের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
রাষ্ট্রসংঘে প্রথমবার রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাষ্ট্রসংঘের (UN) অধিবেশনে ভিডিও কনফারেন্সে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তাঁকে সভায় বক্তৃতা দিতে অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে ভোটাভুটি হয়। বুধবারের সেই ভোটাভুটিতে প্রথমবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে মতামত জানাল ভারত (India)। রাষ্ট্রসংঘে ইউক্রেনে হামলা সংক্রান্ত ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেনি ভারত। প্রথমবার নিজেদের অবস্থান বদল করল নয়াদিল্লি।
২৪ আগস্ট ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলেনস্কিকে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তিনি বক্তব্য পেশ করতে পারবেন কিনা, সেই বিষয়টি নিয়েই ভোটাভুটি শুরু হয়। স্বভাবতই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয় রাশিয়া। বরাবরের অবস্থান বজায় রেখে ভোটদান থেকে বিরত থাকে চিন। পনেরো সদস্যের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ভারত-সহ তেরোটি দেশ। কিন্তু প্রথমবার প্রকাশ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গেল ভারত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে ভারতের তরফে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধন করুক, এমনটাই বরাবর বলা হয়েছে। তাহলে কেন হঠাৎ রাষ্টসংঘে রুশ বিরোধী অবস্থান নিল ভারত? প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations Security Council) অস্থায়ী সদস্য হিসাবে ভারতের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। আগামী ডিসেম্বরেই নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বিদায় নিতে হবে ভারতকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট না দেওয়ার কারণে ভারতের উপরে বেশ ক্ষুব্ধ পশ্চিমি দেশগুলি। ফলে ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, পশ্চিমি দেশগুলির সুনজরে থাকতেই হয়তো নতুন কৌশল নিচ্ছে ভারত।#
পার্সটুডে/বাবুুল আখতার/২৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।