সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২২ ১৭:৩১ Asia/Dhaka
  •  হার্ডলাইনে সরকার, রাজপথে থাকতে চায় বিএনপি-রাজনীতিতে হঠাৎ নয়া দৃশ্যপট

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ২ দিন বন্ধ থাকার পর নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবার গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক–দৈনিক প্রথম আলো
  • অমৃতকালে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো নতুন উচ্চতায় উঠবে : মোদি-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা হবে বন্ধুর মতো, মহাজনের মতো নয়' - দৈনিক যুগান্তর
  • বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘প্রতিবেশি কূটনীতির’ রোল মডেল: শেখ হাসিনা -দৈনিক ইত্তেফাক
  • হার্ডলাইনে সরকার, রাজপথে থাকতে চায় বিএনপি-রাজনীতিতে হঠাৎ নয়া দৃশ্যপট-দৈনিক মানবজমিন

  • সরকার জনসমর্থনহীন বলেই ভারতের সাথে অভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারছে না : মির্জা ফখরুল- দৈনিক নয়াদিগন্ত

ভারতের শিরোনাম:

  • ভরদুপুরে ব্যাঙ্ক-লুটের ছক, মাঝপথে হাজির হয়ে ডাকাতদের ছত্রভঙ্গ করল ধানবাদের পুলিশ, নিহত এক-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • সিবিআই-এর পরে দিল্লির ৩৫টি জায়গায় হানা দিল ইডি, কটাক্ষ করলেন সিসোদিয়া-দৈনিক আজকাল

  • অধিকারের দোহাই দিয়ে স্কুলে কি মিনি স্কার্ট পরা যায়?’ হিজাব মামলায় প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

২ দিন বন্ধ থাকার পর নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবার গোলাগুলি, এপারে আতঙ্ক–দৈনিক প্রথম আলো

দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে আবার গোলাগুলি শুরু হয়েছে। থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে আর্টিলারি ও মর্টার শেল। তবে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আকাশে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টারের ওড়াউড়ি দেখা যায়নি।

পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, গত শনিবার পর্যন্ত টানা ২৩ দিন রাখাইন রাজ্যের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছিল। এ সময় আরকান আর্মির লক্ষ্যবস্তুতে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, মর্টার শেল ও বোমা নিক্ষেপ করে আসছিল মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। কিন্তু গত রোববার সকাল থেকে হঠাৎ গোলাগুলি থেমে যায়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত দুই দিন সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির কোনো শব্দ আসেনি। আকাশেও মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টার দেখা যায়নি। আজ সকাল থেকে নতুন করে গোলাগুলির শব্দে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এবং শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

অমৃতকালে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো নতুন উচ্চতায় উঠবে : মোদি-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘অমৃতকালে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো নতুন উচ্চতায় উঠবে। ’ আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এ কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি।

আজ দুপুরে নয়াদিলির হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সাল থেকে ১২ দফা বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসব বৈঠক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য মাত্রা যোগ করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি আজ তাদের বৈঠকে বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করেছেন। এ সম্পর্ক কিভাবে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় মোদিসহ তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে রাষ্ট্রীয় রীতিতে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান। এ সময় তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।  প্রধানমন্ত্রীকে বর্ণাঢ্য মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁর সম্মানে গানস্যালুট দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করেন।

আইএমএফের সঙ্গে আলোচনা হবে বন্ধুর মতো, মহাজনের মতো নয়' - দৈনিক যুগান্তর

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেনন, বাজেটে সহায়তার শর্ত নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা হবে বন্ধুর মতো, মহাজনের মতো নয়। তবে এটা বলতে পারি আইএমএফ থেকে অবশ্যই আমরা ঋণ পাবো, এটা গ্যারান্টি। আইএমএফ আমাদেরই অংশ। এর আগেও আমরা আইএমএফ থেকে ঋণ পেয়েছি। তাদের এদেশে আসাটা একটা রুটিন ওয়ার্ক। 

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সন্মেলনের কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ‘ডিজেএফবি উন্নয়ন সংলাপে’ এসব কথা বলেন তিনি। সংলাপের সভাপতিত্ব করেন ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান। সংলাপ সঞ্চালন করেন ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহিন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি বড়, আমাদের অর্থের ক্ষুধা আছে। তাই আমরা আগের তুলনায় বেশি ঋণ চেয়েছি। আমরা অবশ্যই ঋণ পাবো। শর্তের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু শর্ত তো থাকে। বন্ধুর কাছেও তো টাকা ধার নিলে বলে কবে টাকা ফেরত দিবি। আইএমএফ আসবে আমাদের সঙ্গে কথা বলবে বন্ধুর মতো। কিন্তু মহাজনের মতো নয়। 

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘প্রতিবেশি কূটনীতির’ রোল মডেল: শেখ হাসিনা -দৈনিক ইত্তেফাক

বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যকার অনেক বিষয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান টেনেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ‘প্রতিবেশী কূটনীতির’ রোল মডেল। আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লির ‘হায়দরাবাদ হাউস’-এ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মোদীজির দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করি। এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গতি প্রদান করে চলেছে। ভারত হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নিকটতম প্রতিবেশী। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল হিসাবে পরিচিত।

তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং আমি ফলপ্রসূ আলোচনার আরেকটি দফা শেষ করেছি। এই আলোচনার ফলাফল উভয় দেশের জনগণের জন্য সুবিধা বয়ে আনবে। আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে বৈঠক করেছি।

হার্ডলাইনে সরকার, রাজপথে থাকতে চায় বিএনপি-রাজনীতিতে হঠাৎ নয়া দৃশ্যপট-দৈনিক মানবজমিন

চেনা ছকেই চলছিল রাজনীতি। জাতীয় প্রেস ক্লাব, ডিআরইউ কিংবা অন্য কোনো মিলনায়তন। আলোচনা সভা, সেমিনার। কখনো কখনো প্রেস ক্লাবের সামনে রাস্তা আটকিয়ে সমাবেশ। সরকারের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি। বাধার মুখে পড়তে হয়েছে কমই। পশ্চিমা কূটনীতিকদের ভাষায় বিরোধীদের ‘স্পেস’ দেয়া  হচ্ছিল। কেউ কেউ প্রশংসা করছিলেন সরকারেরও।

গেল দুই সপ্তায় দৃশ্যপটে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। যদিও পরিবর্তনের শুরুটা হয় গত ১১ই আগস্ট। সেদিন নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বড় ধরনের শোডাউন করে বিএনপি।

গেল কয়েক বছরে বিএনপি’র সবচেয়ে বড় সমাবেশ। আর এটিই দেখা দেয়, টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে। এমনিতে আগামী নির্বাচন ঘিরে বিএনপি’র কৌশল আসলে কী তা নিয়ে রাজনীতিতে একধরনের ধোঁয়াশা রয়েছে। পর্দার আড়ালে আলোচনায় রয়েছে নানা তত্ত্ব ও গুজব। কিন্তু রাজপথে দলটির শক্তি প্রদর্শনের পরই দেখা যায় হার্ডলাইনের নীতি। বিএনপি’র সমাবেশের এক সপ্তাহের মধ্যেই ঢাকার রাজপথে বড় ধরনের শোডাউন করে সরকারি দল। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার মুখে উচ্চারিত হয় সেই স্লোগান, ‘খেলা হবে।’ আলোচিত নেতা, শামীম ওসমান তো খেলার ডেটই চেয়ে বসেন। একই ধরনের কথা শোনা যায় বিএনপি নেতাদের মুখেও।

সরকার জনসমর্থনহীন বলেই ভারতের সাথে অভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারছে না : মির্জা ফখরুল- দৈনিক নয়াদিগন্ত

সরকার ‘জনসমর্থনহীন’ বলেই ভারতের সাথে অভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার দুপুরে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের সাথে আমাদের যে অভিন্ন সমস্যাগুলো আছে, অভিন্ন নদীর পানি বন্টন, সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা এবং অন্যান্য যে সমস্যাগুলো আছে তার সমাধান বাংলাদেশ সরকার এখনো পর্যন্ত করতে পারেনি। পারেনি কারণ ওদের পেছনে জনগণের সমর্থন নেই। সেজন্য এখন পর্যন্ত সেই শক্তি নিয়ে এই সরকার কোনো কাজ করতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি গতকালও বলেছি, উনি (শেখ হাসিনা) যতবার গেছেন, আমাদের অনেক আশা দিয়ে গেছেন। এই তিস্তা চুক্তি সই হবে, ওমুক হবে, তমুক হবে- এখন পর্যন্ত কোনোটাই হয় নাই। তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, এক শ’ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছিলো সেটারও আপনার ৩০% মাত্র কাজ হয়েছে। আর কোনো কাজ হয়নি। এই বিষয়গুলো নির্ভর করে জনগণের শক্তির উপরে। জনগণ যদি এই সরকারকে সমর্থন দিতো তাহলে প্রত্যেকটি কাজই ইতোমধ্যে হয়ে যেতো। আমি আবারো বলছি, উনি ফিরে আসুন, কী কী আনছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য- সেটাই হবে এই সফরের সাফল্য।

ভরদুপুরে ব্যাঙ্ক-লুটের ছক, মাঝপথে হাজির হয়ে ডাকাতদের ছত্রভঙ্গ করল ধানবাদের পুলিশ, নিহত এক-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতে এসেছিল ছ’জনের একটি দল। সকাল ১১টা নাগাদ তারা ব্যাঙ্কে প্রবেশ করে। ম্যানেজারকে ঘেরাও করে রেখে লুঠপাটও শুরু করে। কিন্তু আচমকাই সেখানে পুলিশ চলে আসায় বানচাল হয়ে যায় ডাকাতির ছক। এর পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ব্যাঙ্ক চত্বর থেকে পালানোর চেষ্টা করে ডাকাতেরা। পুলিশও তত ক্ষণে চারপাশ থেকে ব্যাঙ্কটিকে ঘিরে ফেলেছে। শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। পুলিশের গুলিতে ডাকাত দলের এক জনের মৃত্যু হয়। দু’জনকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকি তিন জন পালিয়ে যায়।

‘মানি হাইস্ট’-এর চিত্রনাট্য থেকে ছেঁকে তোলা দৃশ্য মনে হতে পারে। কিন্তু ব্যাঙ্ক ডাকাতির এই ঘটনা এবং তার পরের নাটকীয় অভিযান ঘটেছে বাস্তবে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ ধানবাদের ব্যাঙ্ক মোড়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখায় ছয় দুষ্কৃতীর দলটি হামলা করে। গ্রাহক সেজে তারা ঢুকেছিল ব্যাঙ্কে। কিন্তু পরে তাদের কাছে অস্ত্র দেখে ব্যাঙ্কের রক্ষীরা বাধা দিতে পারেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের ভিতরেও ম্যানেজারকে ঘিরে ধরে মারধর করে ডাকাতেরা। একটি দল টাকা লুঠ করতে শুরু করে। বাইরে পাহা়রায় ছিল আরেক দল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে প্রথমে তারাই সতর্ক করে ব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা সঙ্গীদের, তারপরই গুলির লড়াই শুরু হয় বলে সূত্রের খবর।

সিবিআই-এর পরে দিল্লির ৩৫টি জায়গায় হানা দিল ইডি, কটাক্ষ করলেন সিসোদিয়া-দৈনিক আজকাল

আবগারি নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগে আজ দিল্লির ৩৫টি জায়গায় হানা দিল ইডি।

এই নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করলেন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। অভিযুক্ত সমীর মহেন্দ্রুর বাড়িতেও আজ হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। রাজধানী ছাড়াও গুরগাঁও, লখনউ, হায়দরাবাদ, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরুতেও চলেছে তল্লাশি। তবে সূত্রের খবর, মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে এদিন কোনও তল্লাশি চলেনি। কটাক্ষ করে সিসোদিয়া বললেন, ‘প্রথমে সিবিআই হানা দিল, কিন্তু কিছুই পেল না। এবার ইডি হানা দিচ্ছে। কিন্তু ওরাও কিছু পাবে না। এটা আসলে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ভাল কাজ স্তব্ধ করার চেষ্টা। ওরা সিবিআই, ইডি কাজে লাগাক, আমাদের কাজ থামাতে পারবে না। আমার কাছে কোনও তথ্য নেই, ওরা আরও কিছু স্কুলের নীল নকশা পাবে।’ আবগারি নীতিতে দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সিসোদিয়া। তাঁর বাড়িতে আগেই হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তল্লাশি চলেছিল ১৫ ঘণ্টা ধরে। কিন্তু তেমন কোনও সূত্র বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই খবর

অধিকারের দোহাই দিয়ে স্কুলে কি মিনি স্কার্ট পরা যায়?’ হিজাব মামলায় প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

ধর্মাচরণের অধিকার সকলেরই আছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে কি সেই অধিকার দেখানো যায়? কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কে (Hijab row) এমনই প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতেই বিষয়টি তুলে ধরল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি আদালতর বক্তব্য, অধিকারের দোহাই দিয়ে পড়ুয়ারা মিনি, মিডি স্কার্ট পরেও বিদ্যালয়ে আসতে চাইলে তাও কি মেনে নিতে হবে।

উল্লেখ্য, কর্ণাটক সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই সেরাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিশেষ করে উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করেছিল। বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে।

কর্ণাটক হাই কোর্টে (Karnataka High Court) আরজি জানানো হয় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া নিয়ে। কিন্তু হাই কোর্ট সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কিছু মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। তারই শুনানিতে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশনের স্পষ্ট বক্তব্য, ”আপনাদের ধর্মাচরণের অধিকার থাকতেই পারে। কিন্তু তা কি স্কুলে দেখানো যায়, যেখানে একটি নির্দিষ্ট পোশাকই সকলকে পরতে হয়? এটাই হল প্রশ্ন।” এমনকি বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রশ্নও তোলে, ”তাহলে কি পড়ুয়ারা মিনি, মিডি যা খুশি পরে আসতে পারে?” তাঁরা এই প্রশ্ন করেন আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়েকে, যিনি বেশ কয়েকজন পিটিশন দাখিলকারীর হয়ে মামলা লড়ছেন।#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৬

ট্যাগ