কথাবার্তা
কথাবার্তা: সীমান্তে গোলাগুলি চলছেই, মানুষ আতঙ্কে!
শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা!কথাবার্তার প্রাত্যহিক আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আজ ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
ঢাকার কয়েকটি খবরের শিরোনাম
- পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক ৮৭১১ কোটি টাকায় ইভিএম কিনতে ইসির প্রকল্প
- ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেওয়ার অজুহাতের সুযোগ দিতে চাই না’ -যুগান্তর
- বন্ধুকে আটক রেখে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, ৩ যুবক গ্রেফতার –ইত্তেফাক
- ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট -মানবজমিন
- ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলি চলছেই, ১৫ গ্রামের মানুষ আতঙ্কে-প্রথম আলো
- রাজশাহীতে অধ্যক্ষকে এমপির মারধরের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি -বাংলাদেশ প্রতিদিন
- আ. লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ -কালের কণ্ঠ
কোলকাতার শিরোনাম:
- ভারতের মানচিত্র থেকে বাদ অরুণাচল, লাদাখ! এসসিও-তে ‘চিনা-কীর্তি’ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে-সংবাদ প্রতিদিন
- ভিডিও ফাঁস করা ছাত্রী নিজেই ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার! চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে নয়া মোড় -আজকাল
- প্রবীণ নেতাদের জন্য সময় নেই রাহুল-প্রিয়ঙ্কার, তাই দলে অসন্তোষ!’ মত হিমাচলের কংগ্রেস নেত্রীর-আনন্দবাজার পত্রিকা
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবারে বিশ্লেষণে যাচ্ছি। জনাব সিরাজুল ইসলাম কথাবার্তার আসরে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
বিশ্লেষণের বিষয়:
১. ২০১৪ সালের সহিংসতার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার। কেন এই উদ্যোগ, আপনার কী মনে হয়?
২. জাতিসংঘকে সত্যিকার অর্থে সব দেশের সংস্থা হতে হবে- এই কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রায়িসি। তাহলে কী জাতিসংঘ এখন সবার নয়?
বিশ্লেষণের বাইরের কয়েকটি খবর:
ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলি চলছেই, ১৫ গ্রামের মানুষ আতঙ্কে-প্রথম আলো
সোমবার সকাল সাড়ে নয়টা! বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু পশ্চিমকুল গ্রাম। গ্রামের দক্ষিণ দিকে ১০০ গজ দূরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তুমব্রুরাইট পাহাড়। সেখানে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একটি সীমান্তচৌকি। চৌকির নিচে ঘাঁটি। ঘাঁটির আশপাশ থেকে ছোড়া হচ্ছে মুহুর্মুহু গুলি। থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে আর্টিলারি, মর্টারের গোলা। গোলার ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে দূরের (রাখাইন রাজ্য) পাহাড়ে। গোলার বিকট শব্দে কাঁপছে এপারের তুমব্রুর পশ্চিমকুল, ক্যাম্পপাড়া, বাজারপাড়া, কোনারপাড়া, খিজারীঘোনা, ভূমিহীন পাড়াসহ অন্তত ১৫ গ্রামের ঘরবাড়ি-ভূখণ্ড। গোলা–আতঙ্কে ভুগছেন গ্রামের মানুষ।
রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যা দিল মিয়ানমার-প্রথম আলো
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তসহ আশপাশের এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য মিয়ানমার এবার আরাকান আর্মির পাশাপাশি রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরসার ওপর দায় চাপিয়েছে। দেশটি বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান ‘আন্তরিক সম্পর্ক’ নষ্ট করার স্বার্থে এই দুই পক্ষ মিলে সীমান্ত এলাকায় চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
সোমবার সকালে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের মহাপরিচালক জ ফিউ উইন এমনটা বলেছেন। সোমবার রাতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক পেজে এই বৈঠকের তথ্য প্রকাশ করেছে।
পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক-৮৭১১ কোটি টাকায় ইভিএম কিনতে ইসির প্রকল্প-যুগান্তর
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার জন্য ৮৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। সংসদ নির্বাচনে এ মেশিন ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তর্কবিতর্ক চলছেই।
এর মধ্যেই ‘নির্বাচনি ব্যবস্থায় ইভিএম ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আরও দুই লাখ মেশিন কিনতে যাচ্ছে ইসি। সোমবার কমিশনের মুলতুবি সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠাবে ইসি সচিবালয়। সোমবার কমিশন সভায় নেওয়া এসব সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইসি।
এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অপরদিকে ইসি সরকারের আজ্ঞাবহ, তার প্রমাণ দিচ্ছে বলে মন্তব্য বিএনপির।
জানা যায়, গতবারের চেয়ে এবারের ইভিএম কেনায় খরচ বেড়ে গেছে। ডলারের দাম বৃদ্ধিকে এর কারণ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। প্রস্তাবিত ডিপিপিতে প্রতি ইভিএমের দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ভ্যাটসহ আনুষঙ্গিক শুল্ক। অথচ ইসির হাতে বর্তমানে যে দেড় লাখ ইভিএম আছে, এর প্রতিটির দাম পড়েছিল ২ লাখ ৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশসহ দাম পড়েছিল ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় চারটি পাজেরো জিপ ও প্রতিটি উপজেলা এবং থানায় ইভিএম পরিবহণের জন্য পাঁচ শতাধিক পিকআপ কেনার টাকা ধরা হয়েছে। ইভিএম সংরক্ষণের জন্য ১০টি অঞ্চলে ওয়ারহাউজ নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পে এক হাজার তিনশর বেশি জনবল ধরা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, চলমান দেড় লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্পে ওয়ারহাউজ, জনবল ও গাড়ি কেনা হয়নি। নতুন প্রকল্পে এসব অনুষঙ্গ ধরায় সার্বিক ব্যয় বেড়েছে।
নির্বাচিত কলাম-খোলা চোখে-তাহলে বিএনপি’র কর্মসূচিতে হামলা করছে কারা?-মানবজমিন
এখন প্রশ্ন হলো দলের অবস্থান যদি বিরোধী দলের কর্মসূচির বিষয়ে নমনীয় বা সহনীয় হয় তাহলে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে কারা? কারা কর্মসূচিতে হামলা করছে। কারা বিএনপি’র সিনিয়র নেতাদের ওপর হামলা করে রক্তাক্ত করছে? বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের পদ-পদবিধারী নেতাদের নেতৃত্বে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়েছে। হামলায় নেতৃত্ব দিতেও দেখা গেছে কাউকে কাউকে। প্রশ্ন হলো দলের নির্দেশনা না থাকলে তারা কেন হামলায় জড়াচ্ছেন?
গত কয়েকদিনের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন বোধহয় খুব কাছে। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বিভিন্ন ইস্যুতে টানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। বিপরীতে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের তরফে পাল্টা কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি কোথাও কোথাও সংঘর্ষে রূপ পাচ্ছে। আবার দুই পক্ষ একই সময়ে একই স্থানে সমাবেশ করায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় বিএনপি আগে ঘোষণা দিয়েও কর্মসূচি পালন করতে পারছে না। দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে জনমনেও দেখা দিয়েছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা।
উদ্বেগ আছে বিরোধী দলগুলোর মাঝেও। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্নস্থানে হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীরা। সরকারি দলের কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপি’র বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার দলীয় এক সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি নির্দেশনা একটি স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের বলেছেন, বিএনপি’র ওপর হামলা করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনো নির্দেশনা দেয়নি। দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে কেউ এ ধরনের হামলায় জড়ালে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। তিনি বলেন, নেত্রীর নির্দেশনার বাইরে কেউ যদি হামলায় জড়িয়ে পড়েন, আমরা কিন্তু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব। আমরা কাউকে ছাড় দেব না। এখানে কেন্দ্রের কোনো নির্দেশ নেই। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিচ্ছিন্নভাবে এখানে-ওখানে দুয়েকটা ঘটনা ঘটিয়ে আজকে সরকারের দুর্নাম, আওয়ামী লীগের দুর্নাম- এগুলো যারা করবে সহ্য করা হবে না। আর এটার সুযোগ নিয়ে তারা আমাদের অপবাদ দেবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এই বার্তায় স্পষ্ট দলটির কেন্দ্র থেকে এমন কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি যে, বিএনপি সমাবেশে বাধা দিতে হবে বা হামলা করতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে ‘নেত্রীর নির্দেশনা’ উল্লেখ করে এটিও বুঝাতে চেয়েছেন যে ইতিপূর্বে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের কর্মসূচি নিয়ে যে ইতিবাচক বক্তব্য দিয়েছেন বা অবস্থান প্রকাশ করেছেন তার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এখন প্রশ্ন হলো দলের অবস্থান যদি বিরোধী দলের কর্মসূচির বিষয়ে নমনীয় বা সহনীয় হয় তাহলে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে কারা? কারা কর্মসূচিতে হামলা করছে।
বন্ধুকে আটক রেখে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ, ৩ যুবক গ্রেফতার-ইত্তেফাক
খুলনায় বন্ধুকে আটক রেখে এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ দিকে নগরীর খালিশপুর থানার মদিনাবাগ আবাসিক এলাকায় ঐ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার ঐ কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ভারতের মানচিত্র থেকে বাদ অরুণাচল, লাদাখ! এসসিও-তে ‘চিনা-কীর্তি’ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে-সংবাদ প্রতিদিন
সাংহাই কো-অপারেশন সম্মেলনে চিনের পক্ষ থেকে যে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ এবং লাদাখকে ।এমনকী কাশ্মীরকেও দেখানো হয় পাকিস্তানের অংশ হিসেবে! স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে এই ঘটনায়। পাশাপাশি চিনের এই প্রবণতাকে মারাত্মক বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যেহেতু বিকৃত মানচিত্র পেশ করার মঞ্চ হিসেবে সরাসরি এসসিও সম্মেলনের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চকে বেছে নিয়েছে তারা। আরও বিস্ময়কর বিষয় হল, ওই সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন খোদ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য লড়াইয়ে থারুর বনাম গেহলট! কার পাল্লা ভারী?-সংবাদ প্রতিদিন
প্রায় তিন দশক বাদে অ-গান্ধী সভাপতি পেতে চলেছে কংগ্রেস)। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য এবারের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। যদিও শেষ মুহূর্তে রাহুল গান্ধীকে সভাপতি পদে চেয়ে সাতটি প্রদেশ কমিটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তবে তাতেও রাহুলের মত বদলের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। অতএব, লড়াই এবার অ-গান্ধীদের। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের অন্দরে যা পরিস্থিতি, তাতে এবারে সভাপতি নির্বাচনে সরাসরি লড়াই হতে চলেছে শশী থারুর এবং অশোক গেহলটের ।১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন।
প্রবীণ নেতাদের জন্য সময় নেই রাহুল-প্রিয়ঙ্কার, তাই দলে অসন্তোষ!’ মত হিমাচলের কংগ্রেস নেত্রীর-আনন্দবাজার পত্রিকা
এদিকে আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে লেখা হয়েছে, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আঁচ এ বার হিমাচল প্রদেশে। মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী তথা লোকসভা সাংসদ প্রতিভা সিংহ অভিযোগ করেছেন, ‘‘কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের জন্য সময় নেই রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর। সে কারণেই দলের অন্দরে অসন্তোষ বাড়ছে।’’
ভিডিও ফাঁস করা ছাত্রী নিজেই ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার! চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে নয়া মোড় -আজকাল
চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস হওয়ার ঘটনায় নয়া মোড়। ভিডিও ফাঁস করার অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে ছিলেন এক ছাত্রী এবং সানি মেহতা এবং রঙ্কজ বর্মা নামে আরও দুই। নতুন তথ্য, ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে ভিডিও ফাঁস করতে বাধ্য করেছিল এই দু’জন।
অভিযোগ, ছাত্রীটির ব্যক্তিগত কিছু ভিডিও ছিল সানি মেহতা এবং রঙ্কজ বর্মার কাছে। ছাত্রীটি যদি তাঁর হস্টেলের কমন বাথরুমে অন্য মেয়েদের ভিডিও রেকর্ড ও ফাঁস না করে তাহলে তাঁর ওই ভিডিও ফাঁস করা হবে বলে ব্ল্যাকমেল করে সানি ও রঙ্কজ। শনিবার থেকেই প্রবল প্রতিবাদে নেমেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর প্রতিবাদ বন্ধ হয়েছিল। তবে ডামাডোলের আবহে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২০