জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ ১১:১৬ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১৩ জানুয়ারি শুক্রবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • মতামত-খাবি খা, তাই বলে কাবিখা? -প্রথম আলো
  • সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-আইনিভাবে আড়ি পাতার ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ -কালের কণ্ঠ
  • বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পাঁচ ঝুঁকিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম -বাংলাদেশ প্রতিদিন 
  • নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে নিপীড়ন বেড়েছে –হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট- মানবজমিন
  • বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণ জানালেন প্রতিমন্ত্রী - যুগান্তর 
  • বিশ্ব ইজতেমায় দুই মুসল্লির মৃত্যু,ইজতেমার প্রভাব সড়কে, যানজটে ফ্লাইট বিলম্বিত-ইত্তেফাক

ভারতের শিরোনাম:

  • দিল্লিতে সরকারের কী প্রয়োজন? কেন্দ্র-কেজরীওয়াল দ্বন্দ্বের আবহে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ‘বাড়ছে লাল ফৌজের সক্রিয়তা’, চিন সীমান্ত নিয়ে সতর্ক ভারতীয় সেনাপ্রধান -সংবাদ প্রতিদিন
  • করোনায় কাঁপছে চিন, সংক্রমণের আতঙ্কে অবসাদে আত্মহত্যা বয়স্কদের!সংবাদ প্রতিদিন
  • প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ যাদব প্রয়াত -আজকাল

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

বিদ্যুতের দাম বাড়ল ৫ শতাংশ

বিদ্যুৎ খাত বিশেষজ্ঞ অভিমত ম তামিমের অভিমত কলাম ছাপা হয়েছে প্রথম আলোতে। শিরোনাম এরকম- জরুরি পরিস্থিতি ছাড়াই ক্ষমতা ব্যবহার করল সরকার। এতে লেখা হয়েছে, বিদ্যুৎ, গ্যাসের দাম নির্ধারণের জন্য এক মাস সময় লাগতেই পারে। এটা তেমন বেশি সময় নয়। বিশ্বে কোথাও প্রতি মাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় হয় না। পরিস্থিতি তৈরি হলে এটা সমন্বয় করা হয়। তবে সরকার আইন সংশোধন করে দাম বাড়ানোর ক্ষমতা নেওয়ার পর বিইআরসি গণশুনানি করেছে। এতে আশাবাদী হয়েছিলাম। ভেবেছি, সরকার জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া তাদের মূল্য সমন্বয়ের ক্ষমতা ব্যবহার করবে না। কিন্তু এখন জরুরি পরিস্থিতি ছাড়াই ক্ষমতা ব্যবহার করল সরকার। বিদ্যুতের দাম বাড়ল ৫ শতাংশ।

নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়াল। এতে কোনো যৌক্তিক কারণ দেখি না। কোনো পক্ষের পরামর্শে এটা হতে পারে। এখন কমিশনের কিছু করার থাকল না। তাদের ক্ষমতা খর্ব করা হলো।এতে কোনো যৌক্তিক কারণ দেখি না। কোনো পক্ষের পরামর্শে এটা হতে পারে। এখন কমিশনের কিছু করার থাকল না। তাদের ক্ষমতা খর্ব করা হলো। তবু দেখা যাবে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। ৫ টাকা বাড়লে বাজারে জিনিসপত্রের দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা এখানে পুরোনো।

জ্বালানি তেলের দাম ১৫ শতাংশ বাড়লে পরিবহন ভাড়া ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। এতে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। তাই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি। শক্ত হাতে সরকারকে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

আর যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের সার্বিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনা ও বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ সমন্বয় (বাড়ানো) করা হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে নিপীড়ন বেড়েছে-মানবজমিন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর সহিংসতা ও দমনপীড়ন বেড়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংগঠনটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেন, আন্তর্জাতিক চাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু উল্টো তারা দমন-পীড়ন বাড়িয়ে দিয়েছে। দাতাগোষ্ঠী  এবং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারদের জোর দেয়া উচিত, যাতে বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে নির্ভয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করতে এবং তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে। 

২০২২ সালে বিশ্বে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক ৭১২ পৃষ্ঠার বার্ষিক ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এতে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে সমালোচকদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা এই নিপীড়নমূলক আইন স্থগিত এবং সংস্কারের আহ্বান জানালেও সরকার তা উপেক্ষা করছে। পক্ষান্তরে জুলাইয়ে সরকার ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্ট-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর ফলে নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার লংঘিত হবে।

ইয়াবা কারবার নতুন তালিকায় ৯৩ নাম অধিকাংশই দলীয় কর্মী-ইত্তেফাক

ইয়াবা

সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ৯৩ ইয়াবা কারবারির নতুন খসড়া তালিকা করেছে। এ তালিকায় চার জন পৌরসভার কাউন্সিলর রয়েছেন, আছেন দুই সাংবাদিক। চার কাউন্সিলরের মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগের, দুজন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া ৯৩ জনের মধ্যে ৪৮ জন বিএনপি ও ১১ জন আওয়ামী লীগ এবং একজন জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তালিকাটি সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইনিভাবে আড়ি পাতার ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ-কালের কণ্ঠ

ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনে আইনসম্মতভাবে আড়ি পাতার ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একটি ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম লফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম (আইএলআইএস) চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে ইসরায়েল থেকে বাংলাদেশ সরকারের নজরদারির বিতর্কিত প্রযুক্তি কেনার বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলনে, ‘জনগণের ব্যক্তিগত তথ্যের ও যোগাযোগের গোপনীয়তা, সুরক্ষা, বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হয় এবং সর্বোপরি ব্যক্তির জীবন ও জীবিকার জন্য হুমকি হতে পারে—এমন প্রযুক্তি কেনা ও ব্যবহারের বিস্তৃতি ও পরিধি সম্পর্কে সরকারের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা জানার অধিকার দেশবাসীর আছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেত্জ-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলের সাবেক এক গোয়েন্দা কমান্ডার পরিচালিত এক কম্পানি থেকে নজরদারির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কেনে বাংলাদেশ, যা গত বছর জুনে বাংলাদেশে পৌঁছায়।

প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও সাহিত্যিক- আনিসুল হক-তার মতামত কলামের  শিরোনাম করেছেন এরকম, খাবি খা, তাই বলে কাবিখা?

বাংলাদেশ লুৎফর রহমান রিটনের বিখ্যাত ছড়া ‘খিদে’র আবদুল হাইয়ে ভরে গেছে। সেই এরশাদ আমলে রিটন ছড়ায় লিখেছিলেন:

আবদুল হাই

করে খাই খাই

এক্ষুনি খেয়ে বলে

কিছু খাই নাই।

এই দেশে আবদুল হাইয়েরা রব তুলছে: খাই খাই। কত ধরনের খেকোতে দেশটা ভরে গেছে। বনখেকো, বালুখেকো, নদীখেকো, মাটিখেকো, ব্যাংকখেকো! কী খায় না এরা! আমরা কত কাহিনি পড়ছি, কত খবর পড়ছি, কত খবর শুনছি, আর দেখছি!

 ঠিকানাবিহীন সংস্থা ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে, এবং তারপর পালিয়ে যাচ্ছে বিদেশে, খাঁচাও নেই, পাখিও নেই। টাকা তো সবার আগে উড়ে গেছে দূর দেশে। এই দেশে বালিশ আর পর্দা কেনার বিল হয়েছে কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা, প্রতিটার জন্য; আর সেই বালিশ নিচতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত তোলার জন্য আবার বালিশপ্রতি বরাদ্দ হয়েছে শত শত টাকা। এই দেশে করোনা টেস্ট না করে হাসপাতাল থেকে ইচ্ছেমতো পজিটিভ-নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে করোনা-অতিমারির সেই ভয়াল দিনগুলোতে।

বছর দুয়েক আগে টেলিভিশনে খবরে দেখলাম, উত্তরার একটি ফ্ল্যাটবাড়িতে মেঝেতে বসে পরিচারিকারা ক্যাপসুলের ক্যাপে মাটি ভরছেন, সুন্দর প্যাকেটে সুন্দর কৌটায় সেগুলো পোরা হচ্ছে, সেগুলো চলে যাচ্ছে শহরের সবচেয়ে নামী ওষুধের দোকানে, বিক্রি হচ্ছে বিদেশ থেকে আমদানি করা ভিটামিন হিসেবে। কী সর্বনাশের কথা! বাংলার আবদুল হাইদের হাতজোড় করে বলি, আপনারা নকল করবেন, করুন; কিন্তু দয়া করে এমন সব পণ্য নকল করবেন না, যা আমাদের প্রাণ বাঁচায়, বা যে নকলটা ব্যবহার করলে আমাদের প্রাণ যায়। 

উদাহরণ দিয়ে বলি। আপনারা যদি বড় কোম্পানির জুতা-স্যান্ডেল নকল করেন তাতে আমরা দাম দিয়ে জুতা-স্যান্ডেল কিনে প্রতারিত হব, কিন্তু মারা যাব না। আপনি যদি কলম-পেনসিল নকল করেন, কাপ-পিরিচ নকল করেন, সে আঘাত হয়তো সহ্য হবে; কিন্তু যে অ্যান্টিবায়োটিক মানুষ সেবন করে জীবন বাঁচাতে, তা নকল করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন না। শিশুদের প্যারাসিটামল সিরাপ নকল করে শত শিশুর মৃত্যু ঘটাবেন না।

আবদুল হাইয়েরা সব খাচ্ছে। তারা ট্যাংক খাচ্ছে, ব্যাংক খাচ্ছে; আলু খাচ্ছে, বালু খাচ্ছে; গদি খাচ্ছে, নদী খাচ্ছে; রেল খাচ্ছে, তেল খাচ্ছে; খাচ্ছে তো, আমরা তো প্রতিবাদও করছি না। চিঁচিঁ করি কেউ কেউ। মৃদু গলায়। শালিক পাখির ছানার মতো। তাতে তো আবদুল হাইদের কোনো অসুবিধা হয় না। তারা আরামেই থাকেন। আরামেই ঘুমান।

কিন্তু তাই বলে কাবিখা! কাবিটা! টিআর! কাজের বিনিময়ে খাদ্য, কাজের বিনিময়ে টাকা, টেস্ট রিলিফ। প্রথমে একটা খবর পড়ুন: ‘কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই পাঁচপীর মিয়াজিপাড়া কবরস্থান সংস্কারের জন্য সরকারি বরাদ্দ দেখানো হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। প্রকল্পের বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে গোড়াই পাঁচপীর মিয়াজিপাড়া মসজিদ কমিটির হিসাবরক্ষক আবদুর রহিম বলেন, ‘কবরস্থান সংস্কারের কোনো বাজেট আমরা পাইনি। গত এক বছরে কবরস্থানের কোনো সংস্কারকাজও হয়নি।’

‘উলিপুর উপজেলা ঘুরে এই প্রকল্পের মতো এমন কিছু প্রকল্প পাওয়া গেছে, যেগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সমাপ্ত। গত জুন মাসের মধ্যে এসব প্রকল্পের জন্য বরাদ্দের টাকাও তুলে নেওয়া হয়েছে। অথচ বাস্তবে এসব প্রকল্পের কোনো কাজই শুরু হয়নি।’ (কুড়িগ্রামে টিআর, কাবিখা: কাজ হয়নি কিছুই, টাকা তোলা শেষ, প্রথম আলো, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২)।

এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

‘বাড়ছে লাল ফৌজের সক্রিয়তা’, চিন সীমান্ত নিয়ে সতর্ক ভারতীয় সেনাপ্রধান-সংবাদ প্রতিদিন

তাওয়াং সংঘর্ষের (Tawang Clash) স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই আবহেই এবার চিন সীমান্তে সেনা বাড়ানোর কথা জানালেন ভারতীয় সেনাপ্রধান (Indian Army) মনোজ পাণ্ডে। বৃহস্পতিবার আর্মি ডে উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি। প্রসঙ্গত, যোশিমঠের (Joshimath) বিপর্যয়ের ফলে সেখান থেকে বেশ কয়েক ইউনিট সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে ভারত। তার মধ্যেই চিন সীমান্তে বাড়তি সতর্কতায় চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। আরও জানা গিয়েছে, ভারতের পূর্ব ও উত্তরদিকে হঠাৎই চিন সেনার সক্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে।

সেনার অনুষ্ঠানে মনোজ বলেন, “আমাদের ইস্টার্ন কমান্ডের অন্তর্ভুক্ত এলাকার উল্টোদিকে চিনা সেনার সক্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্ব দিকে লালফৌজের সক্রিয়তার দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। তবে সীমান্তে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। দু দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদের অনেকটাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া গিয়েছে। তাও সেনাবাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিনা সীমান্তে কিছু পরিমাণ সেনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর;দিল্লিতে নির্বাচিত সরকার রাখার প্রয়োজন কী? মেয়র নির্বাচন ঘিরে দিল্লি পুরসভায় আম আদমি পার্টি (আপ) এবং বিজেপির সংঘাত এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের আবহে এই প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব তলব করেছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।

মমতাকে নিয়ে ‘ঘৃণা ভাষণ’ শুভেন্দুর, ‘বিচারপতি মান্থা কি দেখতে পাচ্ছেন না?’, প্রশ্ন কুণালের-সংবাদ প্রতিদিন

ফের ‘হিন্দুত্ব’কে ইস্যু করে তৃণমূলকে (TMC) বিঁধতে গিয়ে পালটা আক্রমণের মুখে পড়লেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। উলুবেড়িয়ার সভায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ভেজাল হিন্দু’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তারই জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) কড়া প্রতিক্রিয়া, এহেন মন্তব্য ‘ঘৃণা ভাষণে’র আওতায় পড়ে। এরপর তিনি বিচারপতি মান্থার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ”বিচারপতি মান্থা কি এসব দেখতে পাচ্ছেন না? এই সময়ে চোখে সানগ্লাস পড়ে থাকবেন, সেটা হবে না।”#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৩

ট্যাগ