এপ্রিল ৩০, ২০২৩ ১৬:১৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৩০ এপ্রিল রোববারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া-মানবজমিন
  • চিকিৎসকদের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ খালেদা জিয়া : ডা. জাহিদ-নয়া দিগন্ত
  • খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো বিএনপির পরিকল্পনার অংশ: তথ্যমন্ত্রী–ইত্তেফাক
  • দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে শ্রমিকরা অমানবিক জীবনযাপন করছে : মির্জা ফখরুল- বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • সরকারের লোকজনই বিধি ভঙ্গ করছেন: ইসি আলমগীর-যুগান্তর
  • একজন শ্রমিকের মাসিক আয় ৫২ হাজার টাকা হওয়া উচিত: জরিপের তথ্য-প্রথম আলো

কোলকাতার শিরোনাম:

  • সমলিঙ্গ বিয়েকে স্বীকার করে না বেদ, ‘সংস্কৃতি’র ধুয়ো তুলে সমকামিতাকে তোপ ধর্মগুরুর-সংবাদ প্রতিদিন
  • চাষের সঙ্কট বেআব্রু, ছ’মাসে শুধু বর্ধমানের মর্গেই ১৫০ গরিবের দেহ-গণশক্তি
  • রাজ্যে প্রথম বার তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নামছে সঙ্ঘ পরিবার, বুদ্ধপূর্ণিমায় কি যুদ্ধ শুরু?-আনন্দবাজার

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. বাংলাদেশের ভাগ্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশের জনগণ নির্ধারণ করবে: আইনমন্ত্রী। দৈনিক প্রথম আলোর শিরোনাম এটি। কী বলবেন আপনি?

২. আমেরিকা ও ইসরাইলকে পারস্য উপসাগর ত্যাগ করতে হবে- একথা বলেছেন আইআরজিসির নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলীরেজা তাংসিরি। প্রশ্ন হচ্ছে- তার এই কথায় কী আমেরিকা-ইসরাইল পারস্য উপসাগর ছেড়ে চলে যাবে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া-মানবজমিন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রয়েছেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক  অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন আজ রোববার গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডাম হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন আছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গতকাল সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।  গতকাল ভর্তি হওয়ার পর মেডিকেল বোর্ডের একটি বৈঠক হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক জাহিদ।

তিনি বলেন, ‘গতকাল ভর্তি হওয়ার পর ম্যাডামের বেশকিছু পরীক্ষা মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে করা হয়েছে। ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট আসা শুরু করেছে। মেডিকেল বোর্ড আজকে (রোববার) সন্ধ্যায় কোনো একটা সময়ে বসবেন এবং রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করে উনার পরবর্তী পর্যায়ে যে চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন তা করবেন। 

ডা. জাহিদ জানান, অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা হচ্ছেন, অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী, অধ্যাপক নুর উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক একিউএম মহসিন, অধ্যাপক শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক জিয়াউল হক এবং অধ্যাপক সাদেকুল ইসলাম।

এছাড়া লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানসহ অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন বলে জানান তিনি।

এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা রহমান সিঁথি। লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান সবসময় খোঁজ রাখছেন বলে জানান অধ্যাপক জাহিদ।

খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো বিএনপির পরিকল্পনার অংশ: তথ্যমন্ত্রী-ইত্তেফাক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো বিএনপির পরিকল্পনার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'আমার মনে হয়, বিএনপির পরিকল্পনার অংশ হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ দেখানো। কারণ খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। কিছু দিন আগে বিএনপি নেতারা বলছিল যে, খালেদা জিয়াকে যদি বিদেশে নেওয়া না হয় তাহলে তার জীবন শঙ্কা আছে। সেটি বলার মধ্যেই আমরা দেখতে পেলাম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ভালো হয়ে চলে যাচ্ছেন এবং বলেছেন যে, তিনি খুব ভালো আছেন।'

'বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে খালেদা জিয়াকে অসুস্থ বানিয়ে রাখা ও অসুস্থ দেখানো। রাজনৈতিক ফায়দা লাভের উদ্দেশ্যে বিএনপি সেটা সব সময় করে আসছে,' যোগ করেন তিনি।

একজন শ্রমিকের মাসিক আয় ৫২ হাজার টাকা হওয়া উচিত: জরিপের তথ্য-প্রথম আলো

মহামারির পর মূল্যস্ফীতির কারণে পারিবারিক ব্যয় অনেক বেড়েছে, কিন্তু শ্রমিকদের আয় বাড়েনি। তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরিবারের দুজন সদস্য কাজ করেও ব্যয় নির্বাহ করা যাচ্ছে না। 

২০২১ সালে চালানো এক জরিপে দেখা গেছে, সে সময় শ্রমিকদের পরিবারের মাসিক গড় ব্যয় ছিল ২৪ হাজার ৩৭৩ টাকা। অথচ সামগ্রিকভাবে দুজনে কাজ করেও আয় হয় ২১ হাজার ৬৪২ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি মাসেই তাদের ধার করে চলতে হচ্ছে। দেশের বিদ্যমান মজুরি কাঠামো তৈরি পোশাকশ্রমিকদের ঋণের চক্রে ঠেলে দিচ্ছে।

এশিয়া ফ্লোর ওয়েজ অ্যালায়েন্স (এফডব্লিউএ) গতকাল শনিবার এক অনলাইন আলোচনায় এসব তথ্য দিয়েছে। ২০২১ সালের শেষ প্রান্তিকে ৬৩টি কারখানার ৩০০ শ্রমিকের ওপর পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে এ তথ্য দিয়েছে এফডব্লিউএ।

তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বা দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ও দুজন শিশু আছে, এমন পরিবারের জন্য মাসে প্রায় ৫২ হাজার টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে এফডব্লিউএ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত—উভয় ব্যয় মিলিয়েই এই অর্থ প্রয়োজন। পরিবারের একজন সদস্য কাজ করবে, সেই বিবেচনায় তারা এই হিসাব দিয়েছে।

এফডব্লিউএ মনে করে, বর্তমানে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ায় শ্রমিক পরিবারের শিশুদের স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার বাড়বে। বাধ্য হয়ে অনেক শ্রমিক শিশুদের কাজে পাঠাবেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে ২৪ হাজার ৩৭৩ টাকার পারিবারিক ব্যয়ের মধ্যে খাদ্য বাবদ ব্যয় হয় এর ৪৪ শতাংশ বা ১০ হাজার ৭৫৪ টাকা। খাদ্যবহির্ভূত, অর্থাৎ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, শিক্ষা, পোশাক—এসব বাবদ ব্যয় হয় ৫৬ শতাংশ বা ১৩ হাজার ৬১৯ টাকা।

এদিকে মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশের ৭৪ শতাংশ নিম্ন আয়ের পরিবার ধার করে চলছে বলে সম্প্রতি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং-সানেমের এক জরিপে উঠে এসেছে। মার্চে প্রকাশ করা ওই জরিপে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে এসব পরিবারের ব্যয় বেড়েছে ১৩ শতাংশ, কিন্তু তাদের আয় বাড়েনি।

দেশের গ্রাম ও শহরের নিম্ন আয়ের পরিবারের ওপর করা এই জরিপে যেসব পরিবার অংশ নিয়েছে, তাদের ৯০ শতাংশ পরিবার জানিয়েছে, অর্থনৈতিক চাপে তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির জন্য বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, দেশে মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও বাজার অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছে গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটি।

দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে শ্রমিকরা অমানবিক জীবনযাপন করছে : মির্জা ফখরুল-বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শ্রমিকরা ন্যায্য মুজুরি পাচ্ছে না, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে তারা অমানবিক জীবনযাপন করছে।’

মে দিবস উপলক্ষে রবিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা জানান।  বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন বিএনপির মহাসচিব।

তিনি বলেন, বিশ্ব ইতিহাসে মে দিবস একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দিন। শ্রমিকের ন্যায্য দাবি ও শ্রমের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আমেরিকায় শিকাগো শহরে ১৮৮৬ সালের মে মাসে রচিত হয়েছিলো এক রক্তমাখা ইতিহাস। শোষকদের বিরুদ্ধে শোষণ ও বঞ্চনার শিকার প্রতিবাদী শ্রমিকদের আত্মাহুতির রক্তাক্ত পথে সারাবিশ্বে শ্রমিকদের দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের ন্যায্য অধিকার  স্বীকৃতি পেয়েছিলো।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সকল শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষায় আমরা সর্বদা সচেতন ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সমাজ প্রগতির পতাকাবাহী শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা সংকল্পবদ্ধ। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আগামীতেও আমরা একইভাবে শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো।’

সরকারের লোকজনই বিধি ভঙ্গ করছেন: ইসি আলমগীর-যুগান্তর

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার কথা বলা হলেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সরকারের লোকজনই বিধি ভঙ্গ করছেন। আজ আমরা বসেছিলাম। যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা হলো, যারা সরকারে থাকেন তারাই আচরণবিধি ভঙ্গ করে থাকেন। সরকারে যারা থাকেন তাদের আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি আমরা। 

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, সব প্রার্থীকে আচরণবিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। মেনে চলতে তারা বাধ্য। আমরা কমিশন থেকে যেটা অনুরোধ করেছি, সবাই যেন বিধিমালা মেনে চলেন। তারপরও কারো কারো মধ্যে দেখা যাচ্ছে, কিছুটা হলেও কৌশল করে না মানার একটা প্রবণতা। গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সূত্রে কিছু ভিডিও ক্লিপস আমাদের কাছে আসছে, যেখানে কোনো কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আচরণবিধি না মানার প্রবণতা দেখছি।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

আইনের বাইরে নন বিচারকও! ‘সুপ্রিম’ তোপে পড়েন কলকাতা হাই কোর্টের এই বিচারপতি-সংবাদ প্রতিদিন

আইন মেনে অপরাধীদের শাস্তি দেন তিনি। কিন্তু খোদ সেই বিচারপতিও যে আইনের শাসনের বাইরে নন, তেমনটাই জানায় দেশের শীর্ষ আদালত। আর আইন অমান্য করার দরুনই কলকাতা হাই কোর্টের এক প্রধান বিচারপতিকে কারাবাসের সাজা শুনিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ফের উসকে উঠেছে সেই প্রসঙ্গ।সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত জোড়া মামলা সরে গিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক বড় রায় দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই শিরোনামে উঠে এসেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের এই বিচারপতি। কিন্তু আইনের নির্দেশ মোতাবেকই দুই মামলা থেকে সরে যেতে হয়েছে তাঁকে। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এক টিভি চ্যানেলে তাঁর সাক্ষাৎকার দেওয়ার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

চাষের সঙ্কট বেআব্রু, ছ’মাসে শুধু বর্ধমানের মর্গেই ১৫০ গরিবের দেহ-গণশক্তি

সলদার ধু ধু মাঠ। নিমো-২ পঞ্চায়েতের এই মাঠে একসময় সোনালি ধানের শিষে ঢেউ খেলত। এখন সেই জমি বন্ধ্যা হয়ে পড়ে রয়েছে। কৃষকের চাষে অনীহা। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা, গতর খাটিয়ে চাষ করার পরে খরচটুকুও উঠছে না। ফলে গরিবরাও আর জমির ধারেকাছে যাচ্ছেন না। জমিতে কৃষকের চাষ নেই মানে খেতমজুরেরও কাজ নেই। বোরোচাষ হলে খেতমজুর যে কাজ পেতেন, এখন সেই জমি অনাবাদি পড়ে থাকায় খেতমজুররাও বেকার। তাই কৃষকের ঘরে এখন যেমন অভাব, প্রায় অনাহার চলছে খেতমজুরের ঘরেও। খোঁজখবর করে দেখা যাচ্ছে, গত ছ’মাসে শুধুমাত্র বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গেই জমা পড়েছে ১৫০ জনের বেশি আত্মঘাতী গরিবের দেহ। এই মর্মান্তিক মৃত্যুগুলির পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ, ঋণের ফাঁস আর ভয়াবহ দারিদ্র।

সমলিঙ্গ বিয়েকে স্বীকার করে না বেদ, ‘সংস্কৃতি’র ধুয়ো তুলে সমকামিতাকে তোপ ধর্মগুরুর-সংবাদ প্রতিদিন

সমলিঙ্গ বিয়ের দাবিতে সরব হয়েছেন সমকামী যুগলেরা। এই ইস্যুতে বেশ কয়েকদিন ধরেই মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে, চলছে নানা মতের চাপানউতোর। এর মধ্যেই সমলিঙ্গ বিয়েকে মান্যতা দেয় না বেদ, এই মর্মে তোপ দাগলেন এক হিন্দু ধর্মগুরু। তাঁর মতে, এহেন বিয়ে মানবসভ্যতাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে। সুপ্রিম কোর্টের যাতে সমলিঙ্গ বিয়েতে সায় না দেয়, এই দাবিতে জোর সওয়াল করেছেন ওই হিন্দুত্ববাদী গুরু।সমলিঙ্গ বিয়ে হিন্দু ধর্মের পরিপন্থী। এর মাধ্যমে বিয়ের মতো পবিত্র অনুষ্ঠানকে অপমান করা হয়। তাই কোনওভাবেই এই বিয়ে যেন আইনি স্বীকৃতি না পায়। সম্প্রতি দেশের সুপ্রিম বিচারপতির কাছে এমনই আর্জি জানিয়েছেন হরিদ্বারের ধর্মগুরু স্বামী অবধেশানন্দ।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩০

ট্যাগ