মে ০৬, ২০২৩ ১০:৪০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ৬ এপ্রিল শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • আপনি আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা, শেখ হাসিনাকে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা দেখতে পেয়েছি: আরআরআরসি কমিশনার-ডেইলি স্টার বাংলা 
  • আরাভের জেলে যাওয়ার বিষয়ে যা বলল পুলিশ-যুগান্তর
  • করোনায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ২ কোটির কাছাকাছি: ডব্লিউএইচও-যুগান্তর
  • নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে-মানবজমিন
  • পাগলা মসজিদের ৮ সিন্দুকে এবার মিলল ১৯ বস্তা টাকা-প্রথম আলো
  • রূপগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ৫-ইত্তেফাক

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ঘরে ডেকে কর্মীদের শারীরিক হেনস্থা! পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতেই পলাতক ইস্কনের সন্ন্যাসী-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • মমতার কথা মেনে পাটনায় বিরোধী জোট বৈঠক, শুরু তোড়জোড়-সংবাদ প্রতিদিন
  • কর্নাটকে মোদীর ভরসা সেই ‘কেরালা স্টোরি’!-গণশক্তি

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

ভূমিকম্প ঝুঁকিতে ঢাকা

ঢাকাকে ঘিরে ভূমিকম্পের কেন্দ্র-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশ সময় গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। গত এক যুগে ঢাকার আশপাশে আটটি ভূমিকম্প হয়েছে। এর আগের ভূমিকম্পগুলোর বেশির ভাগ কেন্দ্রস্থল ছিল সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকায়।চলতি বছরের দুটি ভূমিকম্পের ধরনের সঙ্গে প্রায় ২১১ বছর আগে হওয়া ভূমিকম্পের একটি মিল আছে। ১৮১২ সালের এপ্রিল ও মে মাসে ঢাকার আশপাশে পরপর দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্প ঠিক কত মাত্রার ছিল, তা নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও এতে ঢাকার দুটি এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়। যেসব এলাকার ভূ-অভ্যন্তরে চ্যুতি বা ফাটল থাকে, সেখানে প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ বছর পরপর মাঝারি থেকে তীব্র ভূমিকম্প হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই হিসাবে ঢাকার আশপাশে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে—এমন ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে।

শরণার্থী হয়ে থাকতে মিয়ানমার যাবো না: রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল-ইত্তেফাক

মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেখানকার ‘পরিবেশ-পরিস্থিতি’ দেখে ফিরে এসেছে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিদল। শুক্রবার (৫ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা টেকনাফ জেটি ঘাটে এসে পৌঁছায়। জেটি ঘাটেই অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাখাইন এস্টেট ঘুরে আসা রোহিঙ্গা মো. সেলিম। তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারে পৌঁছার পর তাদের তৈরি করা ক্যাম্পে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের আমরা জিজ্ঞাসা করলাম এগুলো কাদের জন্য? মিয়ানমার প্রতিনিধিরা উত্তরে জানান, এসব ক্যাম্প আমাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আমাদের প্রত্যাবাসন করা হলে এসব ক্যাম্পে রাখা হবে।সেলিম বলেন, তখন আমরা তাদের (মিয়ানমার প্রতিনিধিদের) বললাম- আমরা ক্যাম্পে কেন থাকবো? আমরা এ দেশের (মিয়ানমারের) নাগরিক আমরা আমাদের নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফেরত যাবো।

সেলিম আরো বলেন, আমরা তাদের (মিয়ানমার প্রতিনিধিদের) আরো বলেছি- আমরাসহ মিয়ানমারের ৩৬ জাতি আছে, ৩৫ জাতি যদি নাগরিক সুবিধা নিয়ে থাকতে পারে, আমরা কেন নাগরিক সুবিধা পাবো না।  আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার নাগরিত্বসহ এম্বেসি কার্ড না পেলে মিয়ানমার ফিরে যাবো না।

তবে ডেইলি স্টার বাংলা ভার্সনের খবরে লেখা হয়েছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা দেখতে পেয়েছি বলে জানিয়েছেন আরআরআরসি কমিশনারমোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আরাভের জেলে যাওয়ার বিষয়ে যা বলল পুলিশ-যুগান্তরের এ খবরে লেখা হয়েছে, পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি দুবাইয়ে পলাতক আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম এক ফেসবুক লাইভে দাবি করেছেন, তিনি ৩৭ দিন দুবাইয়ের জেলে ছিলেন। ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পর তাকে জেলে নেওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানে না দেশের পুলিশ। মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পুলিশ সদর দফতর এখনো এ বিষয়ে অন্ধকারে আছে।আরাভ খান বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, বিনা অপরাধে আমাকে ৩৭ দিন জেল খাটানো হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মনজুর রহমান শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, রবিউল ওরফে আরাভকে ফেরানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এজন্য সবগুলো চ্যানেলে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তিনি কারাগারে ছিলেন এমন কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই। রেড নোটিশ জারির পর থেকে আমাদের কাছে আর কোনো তথ্য নেই।

আমার নামে যখন ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি হয় তখন তারা আমাকে ফোন করে। আমাকে ফোন করে জানায় যে, তাদের কাছে আমার নামে একটি ফাইল এসেছে। ইন্টারপোল বলেছে, তারা আমাকে গ্রেফতার করবে। তবে তারা বলেছে, গ্রেফতার করার থেকে আপনি আমাদের কাছে এলে তা সবচেয়ে ভালো হবে। তখন আমি দেখলাম পালিয়ে গেলে তারা আমাকে গ্রেফতার করবে। কিন্তু আমি কেন পালাব, আমি তো কোনো চোর নই। আমাকে ইন্টারপোল নিয়ে গেল, সেখানে রাখল ১ মাস ৭ দিন। আমার জীবন থেকে ১ মাস ৭ দিন চলে গেছে ইন্টারপোলের জেলে। আমি অনেক বড় বড় আসামির সঙ্গে জেল খেটেছি। সেখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন মাফিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহে ফেসবুকে সক্রিয় হয়ে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন আরাভ খান। তার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। জেলে বিভিন্ন দেশে মাফিয়াদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিনা অপরাধে আমাকে ৩৭ দিন জেল খাটানো হয়েছে। একটা দিকে ভালো হয়েছে, সারা বিশ্বের বড় বড় মাফিয়ার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে।

করোনায় প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ২ কোটির কাছাকাছি: ডব্লিউএইচও-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, কোভিড-১৯ আর ‘বিশ্ব জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা’ নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।শুক্রবার সংস্থাটির দেওয়া এ ঘোষণা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারির সমাপ্তি জানান দেওয়ার পথে বড় ধরনের পদক্ষেপ।  ২০২০ সালে প্রথম কোভিডের জন্য ডব্লিউএইচওর সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা জারির তিন বছর পর তা তুলে নেওয়ার এ ঘোষণা এলো। ডব্লিউএইচওর ‘জরুরি অবস্থা’ কোভিড মহামারির ওপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য সহায়ক ছিল।

নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে-মানবজমিন

Image Caption

 

নাম নামিরা। রাজধানীর নামকরা একটি কলেজের শিক্ষার্থী। একই কলেজের সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলে বেশকিছু দিন। এক সময় প্রেমে ফাটল ধরে। বাবা গার্মেন্ট ব্যবসায়ী। অর্থ-বিত্তের মাঝে বড় হয়েছেন। প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলে হতাশ হয়ে পড়েন নামিরা। এ সময় তার সহযোগী হন আরেক বন্ধু রায়হান। হতাশা থেকে ফিরে আসতে রায়হান মাদক তুলে দেন নামিরার হাতে। একদিন-দু’দিন করতে করতে মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে যান নামিরা।

নাম নামিরা। রাজধানীর নামকরা একটি কলেজের শিক্ষার্থী। একই কলেজের সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলে বেশকিছু দিন। এক সময় প্রেমে ফাটল ধরে। বাবা গার্মেন্ট ব্যবসায়ী। অর্থ-বিত্তের মাঝে বড় হয়েছেন। প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলে হতাশ হয়ে পড়েন নামিরা। এ সময় তার সহযোগী হন আরেক বন্ধু রায়হান। হতাশা থেকে ফিরে আসতে রায়হান মাদক তুলে দেন নামিরার হাতে। একদিন-দু’দিন করতে করতে মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে যান নামিরা।

এখন রায়হান নামিরার বাসায় পৌঁছে দেন মাদক। বিনিময়ে রায়হান পান অর্থ। এক সময় নামিরার পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে একটি বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা করায়।

সামিয়া আক্তার এবং সাদিক দম্পতি। সামিয়া রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর বিয়ে হয়ে যায়। সাদিক পেশায় ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সময় ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে নেশার জগতে জড়িয়ে পড়েন সাদিক। ধূমপান দিয়ে শুরু হলেও পরর্তীতে ইয়াবা, গাঁজা, মদ্যপানসহ বিভিন্ন নেশায় আসক্ত হন। এক সময় বাসার বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে নেশা করলেও পরবর্তীতে বাসায় বসে নেশা শুরু করেন। পরে নেশার পার্টনার হিসেবে স্ত্রীকে যুক্ত করেন। এক সময় দু’জনই মাদকাসক্ত হয়ে ওঠেন।  নিয়মিত মাদক না নিতে পারলে তারা অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাদের মাদক সেবনের বিষয়টি সামনে আসে। 

মুনিরা। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রংপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোচিং করতে ঢাকায় আসেন। রাজাবাজারের একটি মেসবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেন। বন্ধুদের সঙ্গে গভীররাত পর্যন্ত আড্ডা দেন। শহুরে পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে প্রথমে সিগারেট পরবর্তীতে বন্ধুদের সঙ্গ দিতে গিয়ে আইস, শিসা ও ইয়াবায় আসক্ত হন। রাতের ঢাকায় বনানীসহ বিভিন্ন এলাকার শিসাবারে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন। এক পর্যায়ে পড়াশোনায় অনিয়মিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতে শুরু করেন। নেশার টাকা যোগাতে পরিবারের কাছে মিথ্যা কথা বলে টাকা নেয়া, বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করা শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পান্থপথের একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে পুনরায় মাদকে জড়ান এই শিক্ষার্থী। 

মাদক গ্রহণে বাধা দেয়ায় এর আগে রাজধানীর চালেমীবাগের একটি বাসায় পুলিশের বিশেষ শাখার এক কর্মকর্তা এবং তার স্ত্রীকে হত্যা করে তাদেরই কিশোরী মেয়ে ঐশী। যেটা নিয়ে তখন সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। পূলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দেশে ২৪ ধরনের মাদক থাকলেও মাদকসেবীরা ৬ থেকে ১০ ধরনের মাদক সেবন করছে। ‘গ্যাং কালচার’ কিশোর-তরুণ, পথশিশু, হতাশাগ্রস্ত বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীরা কোনো না কোনো ভাবে মাদক গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর গত বছরের তথ্য বলছে, শতকরা ৪৪ ভাগ পথশিশু মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় সাড়ে ৫ লাখ শিশু মাদকাসক্ত এবং তাদের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ শিশু মাদক গ্রহণের খরচ মেটাতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে নারী মাদকসেবীর হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে।

ঢাকা আহছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪৭ জন নারীকে চিকিৎসা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ১২৯ জন পুনরায় চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এসব নারীর মধ্যে ৩৩ শতাংশ ইয়াবা, ২৮ শতাংশ গাঁজা, ১৬ শতাংশ ঘুমের ওষুধ, ১৫ শতাংশ অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের মাদক, ২ শতাংশ মদ, ২ শতাংশ শিরায় মাদক নিয়েছেন। যাদের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়া ৩৪ শতাংশ, মুড ডিজঅর্ডার ৩০ শতাংশ, বাইপোলার ১২ শতাংশ, ডিপ্রেশন ১০ শতাংশ, ওসিডি ৬ শতাংশ ও বাকিরা অন্যান্য মানসিক রোগে আক্রান্ত।

বন্ধুদের চাপ, একাকিত্ব, পরিবারের অন্য সদস্য বা বন্ধুবান্ধবের মাদক গ্রহণ, বিষণ্নতা, হতাশা, বাবা-মায়ের অতিরিক্ত প্রশ্রয় বা শাসন, অভিভাবকের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, বিচ্ছেদ, সন্তানকে সময় না দেয়ার প্রবণতা- এর জন্য দায়ী বলে মনে করছেন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের হিসাবে দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ এবং সবচেয়ে বেশি মাদক ব্যবহারকারী ঢাকা বিভাগে। যদিও বেসরকারি হিসাবে, মাদক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০ লাখের কাছাকাছি বলে দাবি বিভিন্ন সংস্থার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক (রেজিস্ট্রার) রাইসুল ইসলাম পরাগ মানবজমিনকে বলেন, পুরুষের তুলনায় খুব কমসংখ্যক মাদকাসক্ত নারী চিকিৎসা নিতে আসেন। এক্ষেত্রে অনেক সময় প্রেমিক- প্রেমিকা, শিক্ষার্থী, স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। 

মুক্তি মানসিক হাসপাতাল ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মাদকাসক্ত বিশেষজ্ঞ ডা. আলী আসকার  কোরেশী বলেন, বর্তমানে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের মধ্যে মাদক গ্রহণের প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। বন্ধু, প্রতিবেশী, সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি থেকে মাদক গ্রহণ করে থাকে নারীরা। গণমাধ্যমে মাদকের কুফল নিয়ে অনেক বেশি প্রচার- প্রচারণা, স্কুল-কলেজে বিভিন্ন সময়ে মাদকবিরোধী সেমিনারের আয়োজন করা, সন্তানের প্রতি বাবা-মা’র নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখার মাধ্যমে নারীদের মাদকে আসক্তির ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

মমতার কথা মেনে পাটনায় বিরোধী জোট বৈঠক, শুরু তোড়জোড়-সংবাদ প্রতিদিন

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব মতোই পাটনায় বৈঠকে বসতে চলেছে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। গত মাসে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার কলকাতায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করার সময়েই এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা। সেইমতোই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন নীতীশ।জানা গিয়েছে, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই বিরোধীদের বৈঠক হতে পারে। চলতি মাসের ১৭ বা ১৮ তারিখে পাটনায় বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই নীতীশের দল জেডিইউ-এর নেতা দেবেশচন্দ্র ঠাকুর মুম্বইয়ে গিয়ে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার ও শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

দুই নেতাই বিরোধীদের বৈঠকে থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন, দাবি জেডিইউ শিবিরের। মমতার প্রস্তাব মেনে বৈঠক হলে তাতে স্বাভাবিকভাবেই তাঁরও উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা। বিরোধীদের একজোট করার কাজে নীতীশ নামায় তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টির মতো দলগুলি অনেকটা খোলা মনে তাতে অংশগ্রহণ করতে পারবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। জেডিইউ-এর পক্ষ থেকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন, সপা প্রধান অখিলেশ যাদব, আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজার সঙ্গে পাটনার বৈঠকে হাজির থাকার বিষয়ে কথা চলছে।

আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে একত্রিত করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছেন নীতীশ। তাঁর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিও। ইতিমধ্যেই খাড়গে, মমতা, অখিলেশের মতো নেতাদের সঙ্গে নীতীশ নিজে দেখা করেছেন।

‘সন্ত্রাস জগতের মুখপাত্র’, পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়ালকে তোপ জয়শংকরের-সংবাদ প্রতিদিন

সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারিকে একহাত নিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বেনজিরভাবে বিলাওয়ালকে ‘সন্ত্রাস জগতের মুখপাত্র’ বলে তোপ দাগেন তিনি।শুক্রবার গোয়ায় শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে কোনও রাখঢাক না করেই পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেন জয়শংকর। তিনি বলেন, “বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারি এসসিও সদস্য দেশের প্রতিনিধি হিসেবে এখানে এসেছেন। এটা বহুআঙ্গিক কূটনীতির অংশ মাত্র। এর চাইতে বেশি কিছু বলে আমরা মনে করি না। বিলাওয়াল সন্ত্রাস জগতের পৃষ্ঠপোষক ও মুখপাত্র।”

উল্লেখ্য, কাশ্মীর নিয়ে একাধিক যুদ্ধ। ভারতের বিরুদ্ধে আইএসআইয়ের লাগাতার ছায়াযুদ্ধ। মুম্বইয়ে জেহাদি হামলা ও পুলওয়ামার মতো ক্ষত। সবমিলিয়ে, ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক যে কোথায় দাঁড়িয়ে তা স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে প্রায় এক দশক পর ভারতে পা রাখেন পাকিস্তানের কোনও বিদেশমন্ত্রী। আর তা নিয়েই তৈরি হয় জল্পনা। অনেকেই মনে করেছিলেন আবার হয়তো আলোচনার টেবিলে দেখা যাবে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে কোনও আপোস করা হবে না তা স্পষ্ট করে দিলেন জয়শংকর।

দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সম্ভাবনার জল্পনা উড়িয়ে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর (S Jaishankar) বলেন, “ভুক্তভোগীরা সন্ত্রাসবাদের জনকের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করে না। এই বিষয়ে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্যতা তাদের বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডারের মতোই তলানিতে ঠেকেছে।”প্রসঙ্গত, শুক্রবার পাকিস্তান, চিন-সহ অন্যান্য দেশের বিদেশমন্ত্রীদের করমর্দনের বদলে হাতজোড় করে নমস্কার জানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। 

কর্নাটকে মোদীর ভরসা সেই ‘কেরালা স্টোরি’!-গণশক্তি

বত্রিশ হাজার এক ধাক্কায় নেমে এসেছে তিনে। মুসলিম যুবতীদের সন্ত্রাসবাদী হয়ে যাওয়ার এমনই ‘সত্যকাহিনী’ এই সিনেমায়। তবু কর্নাটকে ভোটপ্রচারের শেষলগ্নে সেই ‘কেরালা স্টোরি’-কে আঁকড়ে ধরলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। 

শুক্রবার বল্লারিতে নরেন্দ্র মোদী বিজেপি’র জনসভায় বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদী চক্রান্তের আসল ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ‘কেরালা স্টোরি’। সন্ত্রাসবাদী কৌশলের ভয়ঙ্কর সত্য দেখিয়ে দিয়েছে।’’

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদীর ভাষণ, ‘‘দেখে অবাক হচ্ছি যে ভোটব্যাঙ্কের জন্য সন্ত্রাসবাদের মতো বিপদের কাছে আত্মসমর্পন করছে কংগ্রেস।’’ মোদী এবং বিজেপি টানা ভোটব্যাঙ্ক মানে মুসলিমদের সমর্থনকে চিহ্নিত করে আসছে সরাসরি। 

এদিনই কেরালা হাইকোর্টে সিনেমার বিতর্কিত ‘টিজার’ সরানোর আশ্বাস দিতে বাধ্য হয়েছেন প্রযোজক বিপুল অমৃতলাল শাহ। এই টিজারেই বলা হয়েছিল কেরালায় ৩২ হাজার মুসলিম যুবতী যোগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইসিস-এ।

এমন ‘সত্য’ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই প্রথমে নির্মাতা সংস্থা বদলে দেয় ইউটিউবে নিজেদের সিনেমা সম্পর্কিত বয়ান। ৩২ হাজার থেকে সংখ্যা একদিনে নেমে আসে তিনে। বলা হয়, ‘কেরালা তিন মেয়ের কাহিনী’। কিন্তু ভোলবদলের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এদিন সেই সিনেমা মুক্তি পেলেও অসত্য প্রচারের জন্য প্রতিবাদের মুখে পড়েছে। #

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৬

ট্যাগ