নির্ভয়া কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতে
ত্রিপুরায় ফের গণধর্ষণের বলি ২ নাবালিকা!
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ১৩ এপ্রিল শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম :
- এবারের আন্দোলন আমাদের মুক্তির আন্দোলন : ফখরুল-কালের কণ্ঠ
- যে দেশ স্যাংশন দেবে তাদের থেকে কিছুই কিনব না: প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর
- র্যাগিংয়ে জড়ালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা জারি-মানবজমিন
- কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত-প্রথম আলো
- ঘূর্ণিঝড় মোখা: প্রস্তুত নৌবাহিনীর ২১ জাহাজ ও হেলিকপ্টার-ইত্তেফাক
কোলকাতার শিরোনাম:
- বিরাট ব্যবধানে কর্নাটক জয়ের পথে কংগ্রেস, পর্যুদস্ত বিজেপি - আনন্দবাজার পত্রিকা
- আজ কর্ণাটক যা ভাবছে, আগামী দিনে গোটা ভারত ভাববে’, বলছেন অর্থনীতিবিদরা-সংবাদ প্রতিদিন
- ১৩৪ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস -গণশক্তি
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ঘূর্ণিঝড় মোখা সম্পর্কিত খবরই আজকের বাংলাদেশের প্রায় সব জাতীয় দৈনিকের প্রধান খবর হিসেবে পরিবেশিত হয়েছে। প্রথম আলোর শিরোনাম -কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত। এ খবরে লেখা হয়েছে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৫ কিলোমিটার বেড়ে গেছে। এখন এর কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৯০ কিলোমিটার। সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে আগে দেওয়া ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তা ১০ নম্বর দেওয়ার কথা জানায়। আর মোখার কারণে ৬ শিক্ষা বোর্ডের দুদিনের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে সেন্ট মার্টিনের লোকজনকে সরানো হচ্ছে দ্বীপের আশ্রয়কেন্দ্রে।
ঘূর্ণিঝড়-মোখা সম্পর্কিত খবরে ইত্তেফাক লিখেছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে নৌবাহিনী। দুর্যোগ পরবর্তীসময়ে জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য নৌবাহিনীর ২১ জাহাজ, হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট প্রস্তুত রয়েছে। শনিবার (১৩ মে) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
র্যাগিংয়ে জড়ালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা জারি-মানবজমিন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩ জারি করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বুলিং ও র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটি করতে হবে। কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী এমনকি পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
যে দেশ স্যাংশন দেবে তাদের থেকে কিছুই কিনব না: প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর
নিষেধাজ্ঞা দিলে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে বাংলাদেশ কোনো কিছু কিনবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন সময় বিশ্বব্যাংক তার বরাদ্দ প্রত্যাহার করলেও একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই প্রতিষ্ঠানটিকে চ্যালেঞ্জ করেছে বলেও জানান তিনি। সরকারপ্রধান বলেন, যে কোনো দেশ এসে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে কোনো প্রকল্প করতে বললে আমি কিন্তু সেই প্রকল্প গ্রহণ করি না, এটা আপনাদের আমি জানিয়ে দিচ্ছি। এবং সেটা আমি করবও না। কারণ, আমাদের দেশের জন্য যেটা প্রযোজ্য আমরা সেটাই করব।
রাজনীতির খবরে কালের কণ্ঠে লেখা হয়েছে, চলমান আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের মুক্তির আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা এই আন্দোলনকে মনে করছি মুক্তির আন্দোলন। আমরা আশাবাদী, ১৯৭১ সালে যেভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ঠিক একইভাবে গণতন্ত্রের সংগ্রামে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।
এদিকে নয়া পল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে বলে খবর দিয়েছে নয়া দিগন্তসহ প্রায় সব দৈনিক।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ভারতের দৈনিকগুরোর প্রধান খবর আজ কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন। দৈনিকগুলো ভিন্ন ভিন্ন শিরোনাম করেছে। আনন্দবাজার পত্রিকা এমন শিরোনাম করেছে। বিরাট ব্যবধানে কর্নাটক জয়ের পথে কংগ্রেস, পর্যুদস্ত বিজেপি। গণশক্তি লিখেছে, ১৩৪ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস-এটি গণশক্তির প্রধান খবর। এখবরে লেখা হয়েছে, কর্ণাটককে ২২৪ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ৬৪টি আসনে বিজেপি ২২টি আসনে জেডিএস এবং অন্যান্যরা এগিয়ে ৪টি আসনে। কর্ণাটকে সরকার গড়তে দরকার ১১৩টি আসন। সেই হিসেবে বলতে বাধা নেই-কংগ্রেস সেখানে বিজয়ী।
আনন্দবাজার পত্রিকার অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, কর্নাটকের ফল আগামী দিনের জন্য একটা শিক্ষা।
ঘরপোড়া গরু...! কর্নাটকে জয়ী প্রার্থীদের বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতে অন্য রাজ্যে সরাবে কংগ্রেস?-আনন্দবাজার পত্রিকা
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের গন্ধ পেতেই জয়ী বিধায়কদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস। পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। কর্নাটকে সরকার গড়তে ১১৩টি আসনে জিততে হবে। ওই অংশটির আশঙ্কা, জাদুসংখ্যা ছুঁলেও বিজেপি বিধায়ক কেনাবেচার খেলায় নামতে পারে। সেই সম্ভাবনা এড়াতেই বিধায়কদের ‘সুরক্ষিত’ রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, জয়ী প্রার্থীদের পড়শি রাজ্য তামিলনাড়ুর কোনও রিসর্টে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তামিলনাড়ুতে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী ডিএমকে। তাই এই রাজ্যকেই ‘নিরাপদ’ বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেসের সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের সন্ধ্যার মধ্যে রাজধানী বেঙ্গালুরুতে আসতে বলা হয়েছে।
কর্নাটকের প্রাথমিক গণনায় জাদুসংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি।’
দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার রাজ্য হিমাচলে নভেম্বরে জিতেছিল কংগ্রেস। মে মাসে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের রাজ্য কর্নাটকেও বিজেপিকে হারিয়ে জয় পেতে চলেছে কংগ্রেস।
আরেকটি খবরে লেখা হয়েছে, কংগ্রেসমুক্ত’ ভারত এখনও দিবাস্বপ্নই! বরং কর্নাটকে কংগ্রেসের জয়ে গোটা দক্ষিণ ভারত ‘বিজেপিমুক্তভ
সংবাদ প্রতিদিনের খবরের শিরোনাম- আজ কর্ণাটক যা ভাবছে, আগামী দিনে গোটা ভারত ভাববে’, বলছেন অর্থনীতিবিদরা
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, আগামী দিনে গোটা দেশকে পথ দেখাবে কর্ণাটক। দক্ষিণের রাজ্যটির ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতেই দাবি করলেন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। অনেকদিন আগেই অবশ্য এই ধরনের ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank) প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন।
আসলে কর্ণাটক (Karnataka) বরাবরই রাজনীতি সচেতন রাজ্য। আবার একই সঙ্গে দক্ষিণের এই রাজ্যটির একটি বড় অংশে প্রভাব রয়েছে হিন্দুত্ববাদীদের। সম্ভবত সেকাণেই দক্ষিণের এই একমাত্র রাজ্যটিতে চারবার শাসন করার সুযোগ পেয়েছে বিজেপি (BJP)। এবারেও বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে পুরোপুরি হিন্দুত্ব তথা ধর্মীয় বিভাজনকে হাতিয়ার করার চেষ্টা করেছিল গেরুয়া শিবির। ভোটের আগে প্রায় এক বছর ধরে হিজাব, হালালের মতো ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত ছিল গেরুয়া শিবির। আবার নির্বাচনী প্রচারের একেবারে শেষমুহূর্তে এসে কংগ্রেসের ইস্তাহারে দেওয়া বজরং দলকে (Bajrang Dal) নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতিকে যেভাবে বজরংবলির দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেটাও পুরোপুরি মেরুকরণ করারই চেষ্টা।
উলটোদিকে কংগ্রেস বিজেপির এই মেরুকরণের ফাঁদে পা না দিয়ে, মূলত রোটি-কাপড়া-মাকানকে ইস্যু করে ভোটে লড়েছে। রাজ্যের অর্থনীতি, বেকার সমস্যা, এবং সর্বোপরি দুর্নীতি। এই ছিল হাত শিবিরের মূল হাতিয়ার। কংগ্রেসের ‘পে-সিএম’ (PayCM) স্লোগান, ‘৪০ শতাংশের সরকার’ স্লোগান, সবটাই ছিল মূলত অর্থনীতিকেন্দ্রিক। এমনকী ভোটের দিনও কংগ্রেস (Congress) নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগে গ্যাস সিলিন্ডারের পুজো করার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছেন। অর্থাৎ পুরোপুরি মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যাকে হাতিয়ার করে নির্বাচনে গিয়েছে কংগ্রেস।
কৌশিক বসু (Kaushik Basu), রঘুরাম রাজনদের মতো অর্থনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, ধর্মের নামে অশান্তি আসলে দেশের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দিচ্ছে। বিজেপির ধর্মীয় বিভাজন নীতির প্রতিবাদে রঘুরাম রাজন ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রাতেও হেঁটেছেন। তখনও বলেছেন, বিভাজন ভুলে অর্থনীতির উন্নতির কথা ভাবা উচিত সরকারের। সেটাই কর্ণাটকের ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট। সেরাজ্যের ভোটাররা ধর্ম, ভুলে অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে ভোট দিয়েছেন। সম্ভবত সেকারণেই অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু, এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, কর্ণাটকের রাজনীতি সচেতন মানুষ আজ যেটা করলেন, সেটা হয়তো ভারতের বাকি অংশ আগামী দিনে বুঝবে।
ত্রিপুরায় নির্ভয়া কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতে ফের গণধর্ষণের বলি ২ নাবালিকা! সংবাদপ্রতিদিন
আগরতলায় কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। তার আগেই ত্রিপুরায় ফের গণধর্ষণের (Gangrape) শিকার দুই উপজাতি নাবালিকা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গোমতী জেলায়। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত আটজন এখনও পলাতক।
বৃহস্পতিবারই জানা যায়, আগরতলায় (Agaratala) এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণের পর অচৈতন্য অবস্থায় একটি পরিত্যক্ত এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়। তাঁকে উদ্ধার করে গোবিন্দবল্লভ পন্থ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে নির্যাতিতার চিকিৎসা চলছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই গণধর্ষণের ঘটনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠন, বিশেষ করে ছাত্র সংগঠনগুলি। রাজ্যে এমনকী রাজধানী আগরতলাতেও মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই বলে তীব্র অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় (Tripura) সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযোগ নিতে পুলিশের টালবাহানা ও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতেই ফের জোড়া গণধর্ষণের ঘটনায় ত্রিপুরার মানিক সাহার নেতৃত্বের বিজেপি সরকার চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। এদিকে, কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় এক অভিযুক্তের বাড়ি থেকে ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সংবাদ প্রতিদিনের একটি খবর শিরোনাম করেছে এরকম,‘মমতার ফর্মুলাই প্রাসঙ্গিক’, কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়ের পরই দাবি তৃণমূলের
কর্ণাটকে (Karnataka) বিজেপির হারে উচ্ছ্বসিত বিরোধী শিবির। আর এই ফলাফল আরও একবার প্রমাণ করে দিল আগামী লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে ধরাশায়ী করতে ভীষণভাবে কার্যকর তৃণমূল সুপ্রিমোর ফর্মুলাই। অর্থাৎ দেশে যে প্রান্তে যে দল শক্তিশালী তাকে সামনে রেখেই লড়াই হোক। ঠিক যেমনটা হল কন্নড়ভূমে। সেখানে বিজেপিকে মাটি ধরিয়ে ১৩৬ আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস (Congress)। কর্ণাটকে রাহুল-সোনিয়াদের জয় নিশ্চিত হতেই টুইট করে তৃণমূল সুপ্রিমোর ফর্মুলার জয়গান করলেন ঘাসফুল শিবিরের রাজ্য় সম্পাদক কুণাল ঘোষ।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৩